১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
প্রতিযোগিতা | ১৯৭৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||
তারিখ | ২৩ জুন, ১৯৭৯ | ||||||||
মাঠ | লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ||||||||
আম্পায়ার | ডিকি বার্ড এবং বারি মেয়ার | ||||||||
← ১৯৭৫ ১৯৮৩ → |
১৯৭৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল ২৩ জুন, ১৯৭৯ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলাটি লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। এ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে গত আসরের ন্যায় আবারো ওয়েস্ট ইন্ডিজ অংশগ্রহণ করে। এতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোকাবেলা করে। ইংল্যান্ডকে ৯২ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড প্রুডেন্সিয়াল ট্রফি উত্তোলন করেন।
ব্যাটিংয়ে অসামান্য অবদান রাখায় ভিভ রিচার্ডস ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
খেলার বিবরণ
[সম্পাদনা]প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের জন্যে আমন্ত্রণ জানায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সূচনাটি তেমন ভাল হয়নি। তাদের রান সংগ্রহ এক পর্যায়ে ৩/৫৫ থেকে ৪/৯৯ হয়ে যায়। গর্ডন গ্রীনিজ, ডেসমন্ড হেইন্স, আলভিন কালীচরণ এবং ক্লাইভ লয়েড আউট হয়ে যান। এরপর ৫ম উইকেট জুটিতে ভিভ রিচার্ডস ও কলিস কিং ১৩৯ রান তোলেন।[১] এতে কিং ৮৬ রান করেন।[২] অন্যদিকে রিচার্ডস একপ্রান্তে আগলে রেখে দলের রান সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকেন। নিচের সারির ব্যাটসম্যানেরা সকলেই শূন্য রানে আউট হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রিচার্ডস ১৩৮* রান করে অপরাজিত ছিলেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮/২৮৬-তে পৌঁছিয়ে দেন। ফলে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয় ৬০ ওভারে ২৮৭ রান।[৩]
উদ্বোধনী ইংরেজ ব্যাটসম্যানেরা সূচনা ভাল করলেও পরবর্তীকালে রিচার্ডসের মিতব্যয়ী ০/৩৫ বোলিংয়ে রান সংগ্রহ ধীরলয়ে ঘটে। মাইক ব্রিয়ারলি এবং জিওফ বয়কট ১২৯ রান করলেও তারা ইতোমধ্যে ৩৮ ওভার ব্যয় করে ফেলেন।[৪] ফলে তারা আউট হলেও প্রয়োজনীয় রান রেট উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানকে অতিক্রম করতে পারেনি। এরপর গ্রাহাম গুচ ও ডেরেক র্যান্ডল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলিংকে বিপর্যস্ত করেন।[৪] তারা দলটিকে অগ্রসর করালেও ২/১৮৩ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ১৯৪ রানে অল-আউট হয়ে যায় তারা। জোয়েল গার্নার মাত্র এগারো বলের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন।[৫] এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন হয়।[২][৪]
২৩ জুন, ১৯৭৯
|
ব
|
||
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Prudential World Cup, 1979 – Fall of wickets and partnerships"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ England v West Indies ১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
- ↑ "Prudential World Cup – 1979"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ গ Preston, Norman। "Prudential World Cup final, 1979"। Wisden Cricketers' Almanack (ইংরেজি ভাষায়)। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Clive Lloyd –1979"। BBC Sport (ইংরেজি ভাষায়)। British Broadcasting Corporation। ৩ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।