বাংলাদেশ–ব্রাজিল সম্পর্ক
বাংলাদেশ |
ব্রাজিল |
---|
বাংলাদেশ–ব্রাজিল সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ ও ব্রাজিল এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বোঝায়। ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘকাল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিলে বাংলাদেশের একটি দূতাবাস স্থাপন করা হয় এবং আবাসিক রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্রাজিলের দূতাবাস আছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।
উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিলে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন।[১]
আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা
[সম্পাদনা]২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে মানবাধিকার কাউন্সিলে ব্রাজিল বাংলাদেশের কাছে তাদের পক্ষে সমর্থন চেয়েছিলো। আবার ২০১৬-১৭ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্যেও বাংলাদেশের কাছে তারা সমর্থন চায়।[২] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও The Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women-এ পদের জন্য ব্রাজিল বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দেয়। বাংলাদেশও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্য ব্রাজিলকে সমর্থন দেয়।[৩] ব্রাজিল বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিলো।[৪]
সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা
[সম্পাদনা]২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিল বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত যেমন কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া ইত্যাদিতে সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তি সই করতে প্রস্তাব দেয়।[৫] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিল বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহ ব্যাপ্ত করে।[৩]
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা]২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৬] ব্রাজিল-এর প্রধান রপ্তানী পণ্য হলো কৃষি পণ্য, যেমনঃ চিনি।[৭] বাংলাদেশ ব্রাজিলে পাট, তৈরি পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানী করে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাত, বিশেষ করে নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক ব্রাজিলিয়দের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল হিসেবে মনে করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bangladesh, Brazil agree to work for closer ties"। Priyo News। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ "Dhaka to renew its relationship with Brazil"। Daily Ittefaq। ১০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ "Brazil offers support for BD agri development"। UNB Connect। ৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ https://www.wfp.org/news/news-release/brazil-assists-bangladeshs-poorest-prepare-natural-disasters
- ↑ "Brazil wants deals with Bangladesh"। দ্য ডেইলি স্টার। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ "Brazil welcomes steps to ensure security of expats"। নিউজটুডে। ২০১৬-০৮-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Bangladesh-Brazil bonhomie"। Bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।