আব্দুর রউফ (কমান্ডার)
আব্দুর রউফ | |
---|---|
জন্ম | ভৈরব, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি | ১১ নভেম্বর ১৯৩৩
মৃত্যু | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | (বয়স ৮১)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি ফেলো (২০১১) স্বাধীনতা পদক (২০২০) |
আব্দুর রউফ (১১ নভেম্বর ১৯৩৩ - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]আব্দুর রউফ ১৯৩৩ সালের ১১ নভেম্বর ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা আবদুল লতিফ স্থানীয় পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।[২] তিনি ১৯৫১-৫২ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৫৩-৫৪ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৫-৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[২]
কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]আব্দুর রউফ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।[২] কর্মরত অবস্থায় স্বাধীন বাংলাদেশ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে ১৯৬৮ সালে গ্রেপ্তার হোন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ১৪ মাস কারাগারে থাকেন। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের পর মুক্তি পান। এরপর নরসিংদী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হোন। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ছিলেন। মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর তিন-সদস্যবিশিষ্ট পরিচালকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের আগস্ট মাসে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৭৩ সালে কমান্ডার পদে উন্নীত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হোন। ১৯৭৬ সালে তিনি মুক্তি পান। ১৯৯৩ সালে কামাল হোসেনের সাথে গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমৃত্যু গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।[২]
গ্রন্থ
[সম্পাদনা]আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও আমার নাবিক জীবন, আমার ছেলেবেলা ও ছাত্র রাজনীতিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- বাংলা একাডেমি ফেলো (২০১১)
- স্বাধীনতা পদক ২০২০ (মরণোত্তর)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "কমান্ডার রউফ, আনোয়ার পাশাসহ ১০ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পদক"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "কমান্ডার আব্দুর রউফ আর নেই"। অর্থসূচক (bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- ↑ "কমান্ডার আব্দুর রউফ আর নেই"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- ১৯৩৩-এ জন্ম
- ২০১৫-এ মৃত্যু
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো
- ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কিশোরগঞ্জ জেলার ব্যক্তি
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী