বিষয়বস্তুতে চলুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর

স্থানাঙ্ক: ২২°২৮′১৪″ উত্তর ৯১°৪৭′০৪″ পূর্ব / ২২.৪৭০৪৩৬৮° উত্তর ৯১.৭৮৪৪৬৪২° পূর্ব / 22.4704368; 91.7844642
এটি একটি ভালো নিবন্ধ। আরও তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Ishtiak Abdullah (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:৪৩, ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ভালো নিবন্ধ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর লোগো
জাদুঘর ভবন
জাদুঘর ভবন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর
মানচিত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের অবস্থান
স্থাপিত১৪ জুন ১৯৭৩ (1973-06-14)
অবস্থানচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২২°২৮′১৪″ উত্তর ৯১°৪৭′০৪″ পূর্ব / ২২.৪৭০৪৩৬৮° উত্তর ৯১.৭৮৪৪৬৪২° পূর্ব / 22.4704368; 91.7844642
ধরনঅ্যাকাডেমিক জাদুঘর
স্বীকৃতিচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সংগ্রহপ্রাগৈতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, ভাস্কর্য, লোকশিল্প
পরিচালকভূঁইয়া ইকবাল[]
চেয়ারপারসনশিরীণ আখতার
মালিকচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
নিকটবর্তী পার্কিংহ্যাঁ
ওয়েবসাইটwww.cum.org.bd

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষায়তনিক জাদুঘর। এই জাদুঘর মানব ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সহায়তা করে থাকে। প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাসপ্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার পাশাপাশি এ সকল বিষয়ে মৌলিক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাদুঘরটি কাজ করছে।[] জাদুঘরটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রামের একমাত্র শিল্প জাদুঘর, যা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যেও একমাত্র জাদুঘর হিসেবে বিবেচিত।[]

জাদুঘরটির বর্তমান স্থায়ী সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এখানে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিকপ্রত্নতাত্ত্বিক ভাস্কর্য, লোকশিল্প, ইসলামিক এবং সমসাময়িক শিল্পের বিভিন্ন সংগ্রহ এবং বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন। পাশাপাশি রয়েছে কাঠের জীবাশ্ম; ময়নামতি, মহাস্থানপাহাড়পুর প্রত্নক্ষেত্র হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন শিল্পবস্তু; প্রাচীন ও মধ্যযুগের মুদ্রা, শিলালিপি, পাণ্ডুলিপি, ভাস্কর্য, টেরাকোটা, অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ, ধাতু শিল্পকর্ম, চীনামাটির বাসন-কোসন এবং গাত্রালঙ্কারসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র লোকশিল্প। চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড় হতে প্রাপ্ত টার্সিয়ারি যুগের একটি মৎস্য জীবাশ্ম এই সংগ্রহশালার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঐতিহাসিক দলিলপত্র; বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগৃহীত উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার, প্যাম্পলেট, সংবাদপত্রের কর্তনী, বিভিন্ন প্রকাশনা ও প্রশাসনিক দলিলপত্র রয়েছে এই জাদুঘরের সংরক্ষণাগারে।[]

শিক্ষায়তনিক জাদুঘর হিসেবে গবেষণার উপকরণের সহজলভ্যতা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাশাপাশি জনস্বার্থ উদ্দীপিত করার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব ও শিল্প ঐতিহ্যের রসাস্বাদনে উৎসাহিত করার লক্ষে জাদুঘরটি পরিচালিত হয়ে থাকে।[]

ইতিহাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া মূলত ২৬ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে শুরু হয়। একই দিনে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক জাদুঘরটির আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ১৪ জুন ১৯৭৩ সালে।[][]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ২৪টি প্রাচীন বস্তু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ধারণা জন্ম লাভ করে।[] তৎকালীন পাকিস্তান জাদুঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমতাজ হাসান উক্ত প্রদর্শনকৃত বস্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দান করেন।[][]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক আজিজুর রহমান মল্লিক এবং তৎকালীন অতিরিক্ত অধ্যাপক ও ইতিহাস বিভাগের প্রধান আবদুল করিম (পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য) সক্রিয়ভাবে প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[] পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের মে মাসের ৭, ১০ ও ১৪ তারিখে আজিজুর রহমান মল্লিকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং আবদুল করিমের নেতৃত্বে একটি সমন্বিত জরিপ-কার্য পরিচালিত হয়। এই সমন্বিত জরিপে ইতিহাস বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র শামসুল হোসাইন, মামুনুল বারী, আবদুল ওহাব, কামাল উদ-দীন সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিচালিত এই যৌথ জরিপের প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম-ঢাকা ট্রাঙ্ক সড়কের নিকটবর্তী চট্টগ্রাম থেকে ধুম পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় পুরাকীর্তি এবং অন্যান্য বস্তু সংগ্রহ করা হয়।[][] এই জরিপ থেকে প্রাপ্ত দুই খণ্ড শিলালিপি এবং মেহরাবের খিলান জাদুঘরের অন্যতম সংগ্রহ। এছাড়াও উক্ত জরিপ চলাকালে ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মহীউদ্দীন হোসাইন চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা থেকে সংগৃহীত বিষ্ণুর একটি ভাস্কর্য জাদুঘর সংগ্রহশালায় দান করেন। এই জরিপ কার্যক্রম শেষে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনসমূহ ইতিহাস বিভাগের একটি কক্ষে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। তিরিশটি পুরাকীর্তির এ সংগ্রহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নয়টি বস্ত্রসম্ভার, চৌদ্দটি যুদ্ধাস্ত্র, দুই খণ্ড শিলালিপি, দুইটি ভাস্কর্য, এক খণ্ড স্থাপত্যাংশ এবং দুইটি পিতলের থালা।[]

নির্দেশমূলক পথ সংকেত

বর্তমানে একজন পরিচালক, একজন প্রদর্শনী কর্মকর্তা, একজন সিনিয়র ক্যাটালগার, একজন গ্রন্থাগার সহকারী, দুইজন গ্যালারি তত্ত্বাবধায়ক এবং একজন জ্যেষ্ঠ অনুসন্ধান সহকারী এই জাদুঘর পরিচালনায় যুক্ত রয়েছেন।[]

স্থান পরিবর্তন

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে ক্ষুদ্র পরিসরে জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীকালে কিছুদিন উক্ত ভবনের নিচতলার দুইটি কক্ষে পূর্বের চেয়ে বাড়তি পরিসরে কিছু সময় জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।[] এরপর চট্টগ্রাম শহরের মৌলানা মোহাম্মদ আলী সড়কে অবস্থিত চট্টগ্রাম কলাভবনে (বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি) স্বল্প পরিসরে এই জাদুঘর পরিচালিত হয় এবং এরপর পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের চতৃর্থ তলায় জাদুঘরটি স্থানান্তরিত হয়।[] সর্বমোট পাঁচবার স্থান পরিবর্তন করার পর ১৯৯২ সালের ১০ আগস্টে স্থায়ীভাবে বর্তমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে একটি দ্বিতল ভবনে আনপুনরায় জাদুঘরের কার্যক্রম চালু হয়।[][][][]

সংগ্রহ সমূহ

গ্যালারি ডায়াগ্রাম

মধ্যযুগের চারটি কামান নিয়ে জাদুঘরটির যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এই জাদুঘরে শতাধিক সংগ্রহ রয়েছে। জাদুঘর ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রদর্শনীর জন্য পাঁচটি গ্যালারি রয়েছে:[][]

গ্যালারি সংগ্রহ সংখ্যা
প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি
ভাস্কর্য গ্যালারি ৭৭
ইসলামিক শিল্পকলা গ্যালারি
লোকশিল্প গ্যালারি
সমকালীন চিত্রকলা গ্যালারি

জাদুঘর ভবনের প্রথম তলায় রয়েছে:[]

  • আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার
  • প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ গবেষণাগার
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার
  • নথি ও গবেষণা সম্পদ কেন্দ্র
  • প্রদর্শনী ও কর্মশালার জন্য নির্দিষ্ট স্থান
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর কার্যালয়

জাদুঘর ভবনের দ্বিতীয় তলায় চারটি গ্যালারিতে রয়েছে বাছাইকৃত সংগ্রহের শ্রেণিবিন্যস্ত প্রদর্শনী।[]

প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি

নামফলক
প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ গবেষণাগার

উপমহাদেশের এই অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক উপাদান আবিষ্কারের ঘটনা দুর্লভ হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর শুরুর দিক থেকেই প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের বিষয়ে সচেতন ভূমিকা রাখে এবং 'প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি' সংগ্রহশালা শুরু করে। ২০২৩ সালে একুজিশন রেজিস্টারের তালিকা অনুযায়ী জাদুঘরে দুই হাজার দুইশত এগারটি প্রত্ন–সামগ্রী রয়েছে।[] এই সংগ্রহশালায় একাধিক পোড়ামাটির ফলক, ধাতুচিত্র, অলংকৃত ইট, কাদামাটির মূর্তি, প্রাচীন মুদ্রা, জপমালা এবং মৃৎশিল্প প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড় হতে প্রাপ্ত টার্সিয়ারি যুগের একটি মাছের জীবাশ্মকে এই সংগ্রহশালার সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই প্রাচীন জীবাশ্মটি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক ইতিহাস অধ্যয়ন এবং গবেষণায় সহায়ক হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। এছাড়াও সংগ্রহশালায় রয়েছে বাংলার প্রাচীন স্থানসমূহের কিছু সংখ্যক মূর্তি। এই মূর্তিগুলোর বেশিরভাগই কাদামাটি দিয়ে তৈরি। এছাড়াও পোড়ামাটি সজ্জিত মন্দিরের অভ্যন্তর ও বাহিরের ভাস্কর্যের বিভিন্ন নমুনা পাওয়া যায় এই জাদুঘরে।[]

সংগ্রহশালার একটি বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত ময়নামতি থেকে প্রাপ্ত ভাষ্কর্য। এই ভাস্কর্যগুলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে ময়নামতির পুরাকীর্তির ৫১টি প্রত্নতত্ত্ব বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালকের নিকট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর কর্তৃক ধার হিসেবে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও মহাস্থানগড় এবং পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে প্রাপ্ত বস্তু জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া ছাপাঙ্কিত মুদ্রা, পাহাড়পুর থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ফলক এবং বগুড়া জেলার প্রাচীনতম বস্তু এই জাদুঘরে রয়েছে। পাশাপাশি মহাস্থানগড় থেকে পাওয়া কিছু অষ্ট-খাদ ব্রেসলেট সংরক্ষিত রয়েছে এখানে।[]

জাদুঘরে রয়েছে বাংলার প্রাগৈতিহাসিক কালের জীবনযাত্রার চিত্রসহ দুর্লভ নিদর্শন।[] জাদুঘর ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত গ্যালারির এক কোণে মানব জাতির আদিম জীবন নিয়ে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। এই অংশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড় এলাকার আদিম পরিবারের দৈনন্দিন চিত্র ফুটে উঠেছে।[]

ভাস্কর্য গ্যালারি

ভাস্কর্য গ্যালারিতে সংরক্ষিত বিভিন্ন ভাস্কর্যসমূহ গৌরবময় অতীতের চাক্ষুষ উপস্থাপনা হিসাবে এই সংগ্রহশালার সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হিসেবে বিবেচিত। এই ভাস্কর্যগুলোর মাধ্যমে আদিম সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থার দৃষ্টান্ত চাক্ষুষ উপলব্ধি সম্ভব। এই সংগ্রহশালায় ৫২টি পাথর এবং ২৫টি ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য রয়েছে। এই সংগ্রহের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের শুল্ক ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাজেয়াপ্তকৃত হবার পর পুরাকীর্তি হিসেবে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।[]

এখানে রয়েছে কষ্টিপাথরের প্রায় ৩০টি মূর্তি[] এবং ধাতু নির্মিত ভাস্কর্য। এই মূর্তি ও ভাস্কর্যসমূহে ধর্মীয় বিশ্বাস চিত্রিত হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই পাল রাজাদের শাসনকালীন (৮০০ - ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ) নির্মিত এবং হিন্দু রীতির অন্তর্গত। এই জাদুঘরে গুপ্ত সাম্রাজ্যের (৩২০ - ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দ) একটি সূর্য মূর্তি রয়েছে। এই ব্রাহ্মণ্য এবং বৌদ্ধ প্রতিকৃতি থেকে তৎকালীন সময়ের বিশ্বাস, আচার-আচরণ, রীতিনীতি, বাস্তবায়ন, পোশাক শৈলী, গাত্রালঙ্কার, কেশবিন্যাস-প্রণালী এবং প্রাচীনত্ব থেকে অন্যান্য প্রচীন ধারণা পাওয়া যায়। পাথরের ভাস্কর্যের মধ্যে কালানুক্রমিকভাবে যথাক্রমে রয়েছে বৈষ্ণব, শিব, সুরিয়া, শাক্ত, এবং গাণপত্য পৌরাণিক চরিত্রসমূহের মূর্তি এবং ভাষ্কর্য। এগুলোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে ভাস্করের দক্ষতা, পৃষ্ঠপোষকদের আবেগ এবং ভক্তির একটি চিত্র ফুটে উঠে। এখানে নবম শতকে সেন্ড পাথর দ্বারা নির্মিত গরুড় রাধা বিষ্ণুর একটি প্রাচীনতম নিদর্শন রয়েছে, যা চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে প্রাপ্ত। জাদুঘরের অন্যদিকে রয়েছে কাঠ এবং ধাতু নির্মিত ভাস্কর্য।[]

জাদুঘরের সাবেক ডেপুটি কিউরেটর শামসুল হোসেন পাথরের ভাস্কর্যের উপর একটি বর্ণনামূলক পঞ্জি প্রস্তুত করেন, যা ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। এই পঞ্জিটি বাংলার ভাস্কর্য এবং মূর্তিতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[]

ইসলামিক শিল্পকলা গ্যালারি

এই সংগ্রহশালায় রয়েছে মোগল আমলের কামান, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, হাতে লিখিত কুরআন, মধ্যযুগীয় অস্ত্র ও প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষের ছবি।

লোকশিল্প গ্যালারি

এই সংগ্রহশালায় রয়েছে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় লোকশিল্পের সংগ্রহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাতে নির্মিত চরকা, গ্রামোফোন, পালকি ইত্যাদি। এছাড়াও সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের তামা, পিতল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বেতের ঝুড়ি, মাটির ভাস্কর্য, মাটির পুতুল প্রভৃতি নিদর্শন এখানে সংরক্ষিত আছে।

সমকালীন চিত্রকলা গ্যালারি

সমকালীন চিত্রকলা গ্যালারিতে রয়েছে শিল্পী জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, রশিদ চৌধুরী, জিয়া উদ্দীন চৌধুরী, নিতুন কুন্ডু চৌধুরীর চিত্রকর্ম এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের ভাস্কর্য।

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার

প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক এবং মধ্যযুগীয় পুঁথি সংগ্রাহক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সম্মানে জাদুঘরে 'আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার' নামে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এই গ্রন্থাগারে তালপাতা এবং তুলট কাগজে লেখা দুর্লভ পুঁথি রয়েছে।[] এছাড়াও এখানে মূর্তিতত্ত্ব, লেখতত্ত্ব, মুদ্রাতত্ত্ব, স্থাপত্য, ক্ষুদ্রশিল্প ও লোকশিল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে গবেষণায় সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুস্তক ও সাময়িকীর দুর্লভ সংগ্রহ রয়েছে।[] গ্রন্থাগারটি মূলত অধ্যয়ন এবং শিল্পকর্ম ও প্রত্ননিদর্শন চিহ্নিতকরণের জন্য একটি কার্যকর কোষ গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার প্রায় ৪,০০০ প্রাচীন বই এবং ২,০০০ মূল্যবান নথিপত্র দ্বারা সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই কোষ গ্রন্থাগার সংগ্রহশালায় রয়েছে ধর্মদর্শন, মুদ্রাতত্ত্ব, লিপিতত্ত্ব, লোকশিল্প ও কারুশিল্প, নৃবিজ্ঞান, জাতিতত্ত্ব, প্রাচীন লিপি-বিজ্ঞান, ভূগোলভূতত্ত্ব, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, ললিতকলা, স্থাপত্য, প্রদর্শনশালাসংক্রান্ত বিদ্যা, মূর্তিতত্ত্ব, ক্ষুদ্র কলা, সঙ্গীততত্ত্বনৃত্য, সমাজবিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রভৃতি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বই। উল্লেখিত বিষয়ের বইসমূহ স্বতন্ত্রভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। জাদুঘরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনার জন্য একটি নিজস্ব তাক রয়েছে।[১০]

এই কোষ গ্রন্থাগারে "চট্টগ্রাম কোণ" নামে একটি স্বতন্ত্র স্থান সংরক্ষিত আছে, যা চট্টগ্রাম অঞ্চল সম্পর্কিত বইগুলোর জন্য নির্ধারিত। ক্যাপ্টেন পোগসনের চট্টগ্রাম ভ্রমণকালীন আখ্যান, ফারসি ভাষায় মৌলভী হামিদ-আল্লাহ খান রচিত প্রথম স্থানীয় ইতিহাস হাদীস আল-খোয়ানিন বা তারিখ-ই-চ্যাথাম, তরকচন্দ্র দাস গুপ্ত রচিত প্রথম বাংলা স্থানীয় ইতিহাস চট্টগ্রামের ইতিবৃত্ত, ডক্টর সুনীতি ভূষণ কানুনগো রচিত চট্রগ্রামের একটি ইতিহাস, মিজবাউদ্দিন খান রচিত চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাজমালা (১৪৩১), আলাওল রচিত কাব্য পদ্মাবতী (১৬৪৮) প্রভৃতি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।[১০]

এছাড়াও ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বৃহৎ খণ্ড, এপিগ্রাফিয়া ইন্ডিকা, ভারতীয় লিপিতত্ত্বের বার্ষিক প্রতিবেদন, ভারতীয় ঐতিহাসিক বিষয়ে ত্রৈমাসিক, বাংলাদেশে দুর্লভ শিল্প সংগ্রহ প্রভৃতি নিদর্শন এখানে বিদ্যমান।[১০]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার

গবেষকদের ব্যবহারের জন্য প্রাচীন ও দুর্লভ আরবি, ফার্সি, সংস্কৃত, পালি ও বাংলা পান্ডুলিপি; দুষ্প্রাপ্য ছাপানো বই, পুস্তিকা, প্রচারপত্র, পোস্টার, প্রকাশনা, সাময়িকী, পত্রিকা, সংবাদপত্রের কর্তনী, আরবি ও ফারসি নথি ইত্যাদি সংগ্রহ দ্বারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার সমৃদ্ধ। এছাড়াও গবেষকদের ব্যবহারের সুবিধার জন্য এ সমস্ত পান্ডুলিপির বর্ণনামূলক পঞ্জি রয়েছে। সংরক্ষণাগারে আরো রয়েছে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের একটি বেসরকারি জাদুঘর থেকে সংগৃহীত আহোরণী নামে একটি প্রাচীন মুদ্রিত বই। বইটি ১৯৭৫ সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল। মরিচ পাতায় এবং পুরোনো কাগজে লিখিত প্রাচীন পালি ও সংস্কৃত পান্ডুলিপির ৯৮টি টুকরা এখানে রয়েছে, যা এখনো উক্ত বিষয়ে দক্ষতার অভাবে অনূদিত হয় নি। সংরক্ষণাগারে দুর্লভ বই, পত্রিকা এবং দুষ্প্রাপ্য মানচিত্রাবলীর সংগ্রহ রয়েছে; যার মধ্যে জেমস রেনেলের "হিন্দুস্থান বা মুঘল সাম্রাজ্য এবং এর বাংলার মানচিত্র" (ইংরেজি: Memoir of a map of Hindustan or the Mughal empire and his Bengal atlas) উল্লেখযোগ্য।[১১]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের অন্যান্য সংগ্রহ এবং এই সকল নথির বিভিন্ন প্রদর্শনী পণ্ডিত, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার বিষয়। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে "মুক্তিযুদ্ধের দলিল পত্রের বিশেষ প্রদর্শনী" শিরোনামে এক বিশেষ প্রদর্শনীতে উক্ত নথি তালিকা ধারণকারী একটি ছোট পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।[১১]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম:[][১১]

  • মুক্তিযুদ্ধ কর্নার
  • চট্টগ্রাম কর্নার
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্নার
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রকাশনা
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা

মুক্তিযুদ্ধ কর্নার

এই সংরক্ষণাগারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপুল নথির মূল্যবান সংগ্রহ রয়েছে, যা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিকট থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এই সংরক্ষণাগারে রয়েছে আলোকচিত্র, চিঠি, প্রকাশনা ও পোস্টার। যুদ্ধ চলাকালীন নিউজউইক, টাইম, দ্য ইকোনমিস্ট এবং বিশ্বের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় পত্রিকা এবং প্রকাশনার সংগ্রহ রয়েছে এখানে।[১১] এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ দলিলপত্র, স্মারক গ্রন্থ এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বের হওয়া বিভিন্ন প্রকাশনা।[]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রকাশনা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রকাশনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মুদ্রা পঞ্জি[১২] ও প্রদর্শনীর সুবিন্যস্ত তালিকা এবং একাধিক বক্তৃতা বিবরণী। এছাড়াও এখান থেকে প্রকাশিত হয়েছে জাদুঘরে সংগৃহীত বিভিন্ন পাথরের ভাস্কর্যের বিবরণমূলক পঞ্জি।[]

প্রকাশনা
  • ক্যাটালগ অব কয়েন্স ইন দ্যা ক্যাবিনেট অব দ্যা চিটাগাং ইউনিভার্সিটি মিউজিয়াম (১৯৭৯)[১৩]
  • আর্ট অ্যান্ড দ্য ভিন্টেজ: অ্যা ক্যাটালগ অব এক্সিবিটস্ ইন দ্য চিটাগাং ইউনিভার্সিটি মিউজিয়াম (১৯৮৮)[১৪]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. আজাদ, মোবারক (১৬ মে ২০১৮)। "দেশের একমাত্র একাডেমিক জাদুঘর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর"। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কালের কণ্ঠ। ১০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২৩ 
  2. আনোয়ার আহমেদ (নভেম্বর ১২, ২০১৫)। "চট্টগ্রামে জাদুঘর আন্দোলন"দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। suprobhat.com। ১৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০১৬ 
  3. শামসুল হোসাইন (২০১২)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  4. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বিবরণ"cu.ac.bd। চবি। ৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৩, ২০১৬ 
  5. হোসেন, মোহাম্মদ (১৮ জানুয়ারি ২০২৩)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর দেশের প্রথম একাডেমিক জাদুঘর"দৈনিক আজাদী। ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২৩ 
  6. সারোয়ার আলম (এপ্রিল ৪, ২০১১)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর"cutimes24.com। সিউটাইমস২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ মে ২৩, ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. আবদুল্লাহ আল মামুন (নভেম্বর ৩০, ২০১৩)। "সবুজে মোড়া জ্ঞানরাজ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"bd-pratidin.com। bd-pratidin.com। ২০২৩-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১, ২০১৮ 
  8. "আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কোষ গ্রন্থাগার"cum.org.bd। চবিজা। ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৪, ২০১৬ 
  9. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর সংরক্ষণাগার"cum.org.bd। চবিজা। ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৪, ২০১৬ 
  10. সায়েদুর রহমান (এপ্রিল ২৭, ২০১০)। "গ্রন্থপঞ্জী"। Historical Dictionary of Bangladesh [বাংলাদেশের ঐতিহাসিক কোষ] (মুদ্রণ) (ইংরেজি ভাষায়)। স্কেয়ারক্রো প্রেস। পৃষ্ঠা ৪১৬। ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০১৬ 
  11. Catalogue of coins in the cabinet of the Chittagong University Museum [চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রহশালায় মুদ্রা তালিকা] (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রকাশনা। জানুয়ারি ১, ১৯৭৯। এএসআইএন B0000D5SWS। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০১৬ 
  12. Art and the vintage: A catalogue of exhibits in the Chittagong University Museum [চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে চিত্র প্রদর্শনীর তালিকা] (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রকাশনা (জাদুঘর অছিপর্ষদ)। জানুয়ারি ১, ১৯৮৮। এএসআইএন B0000CQLQZ। সংগ্রহের তারিখ মে ২১, ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ