মৎস্য জাদুঘর, সিভাসু
Fisheries Museum, CVASU | |
স্থাপিত | ২০১৭ |
---|---|
অবস্থান | প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা, সিভাসু |
ধরন | বিজ্ঞান জাদুঘর |
সংগ্রহ | দেশি-বিদেশী মাছের প্রজাতি, জলজ প্রাণী, মাছ ধরার সরঞ্জাম, নৌকার রেপ্লিকা |
পরিচালক | মৎস্য সম্পদ বিভাগ, সিভাসু |
তত্ত্বাবধায়ক | শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ |
মালিক | সিভাসু |
মৎস্য জাদুঘর, সিভাসু চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত একটি মৎস্য জাদুঘর। স্বাদু পানি ও লোনা পানির মাছের জন্য পৃথক কক্ষ আছে এই জাদুঘরে। মাছ ধরার সরঞ্জামাদি আছে। বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার নৌকার মডেলও রয়েছে। জলজ বাস্তুসংস্থান দেখানোর জন্য আছে অ্যাকুরিয়াম। রয়েছে বিভিন্ন খোলসযুক্ত প্রাণী যেমন ঝিনুক, শামুক, প্রবাল। মোট ৫ টি কক্ষ নিয়ে জাদুঘরটি গঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের নিচ তলায় আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে এই জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদ স্বাদু ও লোনা পানির বিভিন্ন মাছ সংগ্রহ শুরু করে। তবে জাদুঘর হিসেবে ২০১৭ সালে এটি যাত্রা শুরু করে। মূলত শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মাঝে মাছের বিভিন্ন প্রজাতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ উপপ্রকল্পের আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ৩২৫ টি প্রজাতির মাছ থাকলেও ভবিষ্যৎ-এ ৪৭৫ প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে। ২০১৭ সালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।[২][৩]
সংগ্রহশালা
[সম্পাদনা]এই জাদুঘরে স্বাদুপানির মাছগুলো আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কর্ণফুলি, হালদা নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ, সিলেটের হাওর, পাবনার খাল থেকেও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আনা হয়েছে। আর সামুদ্রিক মাছগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে। স্বাদুপানির মাছের জন্য একটি কক্ষ ও লোনাপানি অর্থাৎ সামুদ্রিক মাছের জন্য আরেকটি কক্ষ রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির কিছু খোলসযুক্ত প্রাণীও এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শামুক, ঝিনুক ও প্রবাল অন্যতম। দেশীয় মাছের প্রজাতির মধ্যে এখানে আছে কাজলি, রানি, গুতুম, খলিশা, ঢেলা, রিঠা, মধুপাবদা, ফলি, বাইম, মহাশোলের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ। পরিচিত মাছ হিসেবে আছে রুই, কাতলা, কালিবাউস, মৃগেল, ইলিশ, ভ্যাদা ইত্যাদি। আর সামুদ্রিক মাছের মধ্যে আছে কোরাল, কামিলা, মাইট্টা, সুরমা, চান্দা, বিশতারা, তারা, ডেভিল রে, হাতুড়ি হাঙর, শাপলাপাতা, রেমুরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রতিটি মাছের স্থানীয় নাম, বৈজ্ঞানিক নাম, সাধারণ নাম এখানে উল্লেখ করা আছে। মাছের সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার নৌকা, মাছ ধরার সরঞ্জামাদি যেমন জাল, বর্ষিসহ বিভিন্ন উপাদান জাদুঘরটিতে আছে। এগুলোর জন্যও রয়েছে আলাদা কক্ষ। জাদুঘরটিতে ঢোকার সময় বাম দিকে পড়বে ৬৭০ ঘনফুট আয়তনের অ্যাকুরিয়াম। এটিতে দেখানো হয়েছে জলজ বাস্তুসংস্থান। এই অ্যাকুরিয়ামে আছে ২৫-৩০ প্রজাতির মাছ। জাদুঘরটি দেখাশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।[১]
সংগ্রহ | সংখ্যা/নাম |
---|---|
স্বাদু পানির মাছ | ২০০ টি প্রজাতি |
সামুদ্রিক মাছ | ১৫০ টি প্রজাতি |
অ্যাকুরিয়াম | ১ টি |
মাছ ধরার সরঞ্জামাদি | বর্ষি, জাল, কুলাসহ দেশীয় সরঞ্জাম |
নৌকার রেপ্লিকা | দেশি-বিদেশী বিভিন্ন নৌকা |
অন্যান্য জলজ প্রাণী | শামুক, ঝিনুক |
দর্শনার্থী
[সম্পাদনা]বন্ধের দিনগুলো ছাড়া যেকোন দিন অনুমতি নিয়ে সবাই এই জাদুঘর দর্শন করতে পারে।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "মৎস্য ও অ্যানাটমি জাদুঘর"। প্রথম আলো। ৯ জানুয়ারী ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "দেশের প্রথম এনাটমি ও মৎস্য জাদুঘর"। দ্যা নিউ নেশন। ১৩ জানুয়ারী ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চট্টগ্রামের মৎস্য জাদুঘরে ৩২৫ প্রজাতির মাছ"। আর টি ভি। ৫ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০।