সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর
সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ | (বয়স ৮৬)
জাতীয়তা | Bangladeshi |
সন্তান | লায়লা আর্জুমান্দ বানু |
আত্মীয় | সৈয়দ ইব্রাহীম দানিশমন্দ (বংশধর) |
সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর (৩ জুন ১৮৮৫ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, ঐতিহাসিক ও পুরাতত্ত্ববিদ।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ আবদুল আজিজ ছিলেন নিকটবর্তী সোনারগাঁওয়ের জমিদার। তার পিতামহ মীর গোলাম মুস্তফা আল-হুসাইনি ষোড়শ শতকের ইসলামিক পণ্ডিত এবং জমিদার সৈয়দ ইব্রাহিম দানিশমান্দের বংশধর ছিলেন। তৈফুরের পড়াশোনা ঢাকা ও কলকাতা শহরের মাদ্রাসায়। তিনি বাংলা , ইংরেজি, উর্দু এবং ফারসি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। [১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে সাব-রেজিস্ট্রার পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত হন। দীর্ঘ তেত্রিশ বৎসরের কর্মজীবনের পর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় রেজিস্ট্রার পদে অবসর গ্রহণ করেন। ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়, তিনি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি খান সাহেব উপাধি পরিত্যাগ করেন। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ এবং জগন্নাথ কলেজের পরিচালক পদে ছিলেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট এবং ঢাকা জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুরের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শ সংগ্রহের শখ ছিল। তিনি তার ২০০ টির বেশি সংগ্রহ ঢাকা জাদুঘরে দান করেন। তিনি পাকিস্তানের এশিয়াটিক সোসাইটি (বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি) কে দুর্লভ বই ও পাণ্ডুলিপি দান করেন। তিনি ব্রিটিশ আমলে ঢাকা শহরের বানান Dacca হতে Dhaka-তে পরিবর্তন করেন। তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা শহরের ঐতিহাসিক বিবর্তনের উপর রচনা করেন বিখ্যাত গ্রন্থ-"গ্লিম্পসেস অফ ওল্ড ঢাকা[১][২][৩]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]তৈফুর সারা তাইফুরকে বিবাহ করেন। তাদের তিন কন্যা সন্তানেরা হলেন লায়লা আর্জুমান্দ বানু , লুলু বিলকিস বানু এবং মালকা পারভীন বানু। [১]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তৈফুর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পরলোক গমন করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Fear not if the pearls are scattered unstrung"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ The Dhaka University Studies: Part A. (ইংরেজি ভাষায়)। The University। ১৯৮২। পৃষ্ঠা 126। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।