বিষয়বস্তুতে চলুন

শিমুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বোম্বাক্স
শিমুল

Bombax

শিমুল উদ্ভিদ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্লান্টি
শ্রেণীবিহীন: অ্যানজিওস্পার্মস
শ্রেণীবিহীন: ইউডিকডস
শ্রেণীবিহীন: রোসিডস
বর্গ: মালভেলিস
পরিবার: মালভেসি
উপপরিবার: Bombacoideae
গণ: Bombax
L.[]
প্রজাতি

Bombax buonopozense
Bombax ceiba
Bombax costatum
Bombax insigne
Bombax mossambicense[]

প্রতিশব্দ

Eriodendron DC.
Salmalia Schott & Endl.[]

বোম্বাক্স বা শিমুল (ইংরেজি: Silk cotton) মালভেসি পরিবারের একটি গণের নাম। এরা পশ্চিম আফ্রিকা, ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, এবং পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার উপউষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের স্থানীয় প্রজাতি[]Ceiba গণের থেকে এদের পার্থক্য হচ্ছে সিবা গণে সাদাটে ফুল ফোটে।

শিমুল গাছ

[সম্পাদনা]

মালয়, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ চীন, হংকং এবং তাইওয়ানে ব্যাপকভাবে এ গাছের চাষ হয়। চীনের ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ থেকে জানা যায় যে, ন্যাম ইউয়েতের রাজা চিউ তো খ্রীষ্ট-পূর্ব ২য় শতকে হ্যান শাসনামলে সম্রাটকে প্রদান করেছিলেন। একে সংস্কৃত ভাষায় শাল্মলি-ও বলা হয়। এটি পাতাঝরা বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার। কাণ্ডের চারপাশে সুবিন্যস্ত থাকে শাখা-প্রশাখা, তবে সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। বৃহদাকার শিমুল গাছে অধিমূল জন্মে। গাছের গায়ে কাঁটা থাকে যার গোড়ার অংশ বেশ পুরু। তবে বয়স্ক গাছে তেমন কাঁটা থাকে না। শীতের শেষে পাতা ঝরে যায়, ফাল্গুনে ফুল ফোটে। ফল মোচাকৃতি। চৈত্র বা বৈশাখ মাসে ফল ফেটে শিমুল তুলা বেরিয়ে আসে।

উপকারিতা

[সম্পাদনা]

শিমুল গাছের ছাল ঘা সারাতে সহায়তা করে। রক্ত আমাশয়ে দুর করে। ছাল ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়।

প্রজাতিসমূহ

[সম্পাদনা]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

শিমুল তুলা খুব ভালো । এটার তৈরি বালিশ বা অন্য কোনো জিনিস খুব নরম ।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Genus: Bombax L."Germplasm Resources Information Network। United States Department of Agriculture। ২০০৭-১০-০৫। ২০১৩-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৭ 
  2. "GRIN Species Records of Bombax"Germplasm Resources Information Network। United States Department of Agriculture। ২০১৫-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৭ 
  3. দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-৩৮-৩৯, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]