বোকারো বিমানবন্দর
বোকারো বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | ব্যক্তিগত | ||||||||||
পরিচালক | সেল | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | বোকারো স্টিল সিটি | ||||||||||
অবস্থান | বোকারো, (ঝাড়খণ্ড) | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ২১৮ মিটার / ৭১৫ ফুট | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৩°৩৮′৩৬″ উত্তর ৮৬°০৮′৫৬″ পূর্ব / ২৩.৬৪৩৩৩° উত্তর ৮৬.১৪৮৮৯° পূর্ব | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
|
বোকারো বিমানবন্দর (আইসিএও: ভিইবিকে) ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বোকারো স্টিল সিটি শহরে অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত বিমানবন্দর। এটি জাতীয় মহাসড়ক ২৩-এর পাশে অবস্থিত (এছাড়াও সড়কটি বোকো-চাস রোড নামে পরিচিত)। এই বিমানবন্দরে কোন নির্ধারিত সূচীতে বিমানচলাচল করে না। এয়ার ডেকন ২০১০ সালে বোকারো ও কলকাতার মধ্যে তাদের ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করেছিল। এয়ার ডেকন কর্মকর্তাদের একটি দল বোকারো পরিদর্শন করেছে, বাজারের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা করেছে এবং বিমানবন্দরের মূল্যায়ন করেছে। [১] তবে বিমানপরিষেবা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিমানবন্দরটি শুধু বোকারো ইস্পাত কারখানা এবং ইস্পাত-কারখানা পরিদর্শনকারী ভিআইপিদের বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সম্প্রসারণ
[সম্পাদনা]আগস্ট ২০১৩ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জমা দেওয়া একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বিমানের দৈর্ঘ্য আরও ৭০০ ফুট বৃদ্ধি করে ৬,০০০ ফুট করতে হবে। রানওয়ের এই দৈর্ঘ্য বৃদ্বি করা হলে বিমানবন্দরে বৃহত্ত বিমান অবতরণ করতে পাড়বে।[২]
বোকারো বিমানবন্দর সম্প্রসারণ পরিকল্পনার আওতায়, বিদ্যমান বিমানবন্দর এলাকাটি ২০১০ একর থেকে ৫০০ একর এবং রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৫,২০০ ফুট থেকে ৮,০০০ ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য সুদেশ শর্মা বলেন, "যদিও বিমানবন্দরে বিদ্যমান সুবিধা সন্তোষজনক, তার পরেও বিমানবন্দর থেকে চলাচলকারী বিমানগুলির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং বিমান সংস্থাগুলির সাথে পরামর্শ করব।"[৩]
বোকারো বিমান বন্দরের সংলগ্ন ডুন্ডিবাগ বাজারের ১,৯০০ দোকানদারের সঙ্গে ডিসি রে এর তত্ত্বাবধানে ৭ ডিসেম্ ২০১৩ সালে কথা বলা হয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের জন্য।
উদয়ন প্রকল্প
[সম্পাদনা]একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, শীঘ্রই বোকারো বিমানবন্দরটি থেকে বিমান চলাচল করবে, কারণ বোকারো শহরের প্রধান আঞ্চলিক বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত হবে কলকাতা ও পাটনা শহর উদয়ন (উরে দেশ কা আম নাগরিক) প্রকল্পের দ্বারা। এই উদ্যোগের আওতায় রাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতরের পরিচালক ক্যাপ্টেন এস. কে. সিনহা, বিমানবন্দরের নিরীক্ষণের জন্য বোকার বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এবং বিমানবন্দরটির সম্প্রসারণকে কীভাবে নির্বাহ করা হবে তা নির্ধারণ করেন। বোকারো ডিসি আরএম রে, অতিরিক্ত সংগ্রাহক জুনানু মিনজ এবং বোকারো স্টিলের মহাব্যবস্থাপক রাজীব সিং সিংহের সঙ্গে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণসহ সম্প্রসারণ পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। [৩]
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বেসামরিক বিমান চলাচলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রক স্পাইসজেটকে উদায়ন প্রকল্পে আঞ্চলিক সংযোগ পরিকল্পনার জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডের ১৭ টি রুটের প্রস্তাবনা ও ২০ টি নতুন রুট প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বোকারো-কলকাতা রুট।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Air link for Bokaro soon"। The Times of India। ৫ ডিসেম্বর ২০১০। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Plans for bigger Bokaro airstrip"। The Telegraph। ২৭ আগস্ট ২০১৩। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ Choubey, Praduman (এপ্রিল ১৯, ২০১৭)। "Airport team visits Bokaro"। telegraphindia.com। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।