ফখরুল ইসলাম খান
ফখরুল ইসলাম খান | |
---|---|
জন্ম | ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ |
মৃত্যু | ১৩ মে, ২০০৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | সাংবাদিক, প্রযোজক ও পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | সৈয়দা সাকিনা ইসলাম |
সন্তান | আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল, শবনম ওয়াদুদ কেয়া ও সাগুফা খানম জোয়ারদার |
ফখরুল ইসলাম খান (এফ আই খান) (জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫- মৃত্যু: ১৩ মে, ২০০৭) বাংলাদেশের একজন সম্পাদক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, নাট্যকার, প্রযোজক ও পরিচালক। তিনি প্রথমে কলকাতা ও পরে ১৯৫০ সালে বরিশাল থেকে প্রকাশিত মাসিক গুলিস্তা এবং ১৯৬৬ সালে সাপ্তাহিক খাদেম সম্পাদনা করেন। এছাড়াও কলকাতা থেকে মাসিক 'ইনকিলাব' নামের পত্রিকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও তার যুগসম্পাদনায় প্রকাশিত হত। ফখরুল ইসলাম খান বরিশালের নাট্যাঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সাহিত্য পরিষদ ,সাংবাদিকতা এবং বরিশাল প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বাংলার মুসলিমদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম চিত্র প্রযোজক। ১৯৬৪ সালে তিনি বরিশাল নাট্য নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। [১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]ফখরুল ইসলাম খানের জন্ম ১৯২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বরিশালে তার পিতা সমাজসেবক এবং রাজনীতিবিদ খান বাহাদুর হাশেম আলী খান যিনি ১৯৪১ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।[২] ফখরুল ইসলাম খানের দুই বোন ও এক ভাই। তারা হলেন সামছুন্নেছা ও লুতফুন্নেছা পারুল এবং নুরুল ইসলাম খান সুলতান। তিনি প্রথমে বরিশালে এ.কে. স্কুল এবং পরে কলকাতা রিপন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেন। ফখরুল ইসলাম খান কলকাতায় বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রিপন স্কুল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন এবং সেখানে নিয়মিত লেখালেখিও করতেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ফখরুল ইসলাম খান ছিলেন একজন সাংবাদিক। এছাড়া তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। ১৯৪৪ সালে কলকাতা আজাদ চিত্রপট থেকে তার প্রযোজনায় পুর্বাশা, কালোছায়া, হানিবাড়ি এবং জাগো হুয়া সাবেরা নামের চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রগুলোর পরিচালক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং কালোছায়া চলচ্চিত্রের যুগ্ন পরিচালক ছিলেন ফখরুল ইসলাম খান। ১৯৪৭ সালে এই ছবি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৬ সালে বুলবুল প্রোডাকশনের ব্যানারে হাসপাতাল চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এ সময় তিনি 'কলকাতা মোশন পিকচারস এসোসিয়েশনে'র সম্পাদক এবং 'কলকাতা লেখক সাংবাদিক' সঙ্ঘের যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার প্রযোজনায় ১৯৭২ সালে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে চলচ্চিত্র পরিচালক সুশিল মজুমদারের পরিচালনায় অনন্যা চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। তিনি বরিশাল সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মাসিক গুলিস্তা, সাপ্তাহিক খাদেম ও ইনকিলাব এর সম্পাদক ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ফখরুল ইসলাম খান কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ভারতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ বদরুদ্দোজার কন্যা সৈয়দা সাকিনা ইসলাম কে বিয়ে করেন। সৈয়দা সাকিনা ইসলাম দু বার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার প্যানেলেও সদস্য ছিলেন। কমনওয়েলথ সম্মেলন, বিশ্ব নারী সম্মেলনসহ বহু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাদের এক পুত্র আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল এবং দুই কন্যা শবনম ওয়াদুদ কেয়া ও সাগুফা খানম জোয়ারদার।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ফখরুল ইসলাম খান (দ্বিতীয় সংস্করণ)। আকিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল। ১২ মে ২০১৩। পৃষ্ঠা ২৯।
- ↑ হাশেম আলী খান (দ্বিতীয় সংস্করণ)। ভাস্কর প্রকাশনী, সিরাজ উদদীন আহমেদ। ৩০ নভেম্বর ২০০৫। পৃষ্ঠা ২৭৩। আইএসবিএন 984-32-2822-7।