বিষয়বস্তুতে চলুন

ধাতুগণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা ব্যাকরণে, ধাতুর গণ বলতে ধাতু বা ক্রিয়ামূলগুলোর বানানের ধরনকে বোঝায়।[] এক্ষেত্রে "গণ" শব্দের অর্থ হলো শ্রেণি।

ধাতুর গণ নির্ধারণ করতে দুইটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা হয়-
(ক) ধাতুর অক্ষর সংখ্যা। এবং
(খ) ধাতুর প্রথম বর্ণে সংযুক্ত স্বরবর্ণ

উদাহরণ: 'লওয়া' ক্রিয়ার ধাতু ল (ল + অ)। 'ল' একাক্ষর ধাতু অবং প্রথম বর্ণ ল্-এর সাথে স্বরবর্ণ 'অ' সংযুক্ত আছে। সুতরাং, হ-আদিগণের মধ্যে ল্-ধাতু (ক্রিয়াপদ- লওয়া) পড়বে।

ধাতুর গণসমূহ

[সম্পাদনা]

বাংলা ভাষার সমস্ত ধাতুকে ২০টি গণে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো:

ক্রমিক নং ধাতুগণ উদাহরণ
হ-আদিগণ হ (হওয়া), ল (লওয়া) ইত্যাদি।
খা-আদিগণ খা (খাওয়া), ধা (ধাওয়া), পা (পাওয়া), যা (যাওয়া) ইত্যাদি।
দি-আদিগণ দি (দেওয়া), নি (নেওয়া) ইত্যাদি।
শু-আদিগণ চু (চোঁয়ানো), নু (নোয়ানো), ছু (ছোঁয়া) ইত্যাদি।
কর্-আদিগণ কর্ ( করা), কম্ (কমা), গড় (গড়া), চল (চলা) ইত্যাদি।
কহ্-আদিগণ কহ্ (কহা), সহ্ (সহা), বহ্ (বহা) ইত্যাদি।
কাট্-আদিগণ গাঁথ্, চাল্, আক্, বাঁধ্, কাঁদ্ ইত্যাদি।
গাহ্-আদিগণ চাহ্, বাহ্, নাহ্ (নাহান>স্নান) ইত্যাদি।
লিখ্-আদিগণ কিন্, ঘির্, জিত্, ফির্, ভিড়্, চিন্ ইত্যাদি।
১০ উঠ্-আদিগণ উড়্, শুন্, ফুট্, খুঁজ্, খুল্, ডুব্, তুল্ ইত্যাদি।
১১ লাফা-আদিগণ কাটা, ডাকা, বাজা, আগা (অগ্রসর হওয়া) ইত্যাদি।
১২ নাহা-আদিগণ গাহা ইত্যাদি।
১৩ ফিরা-আদিগণ ছিটা, শিখা, ঝিমা, চিরা ইত্যাদি।
১৪ ঘুরা-আদিগণ উঁচা, লুকা, কুড়া (কুড়াচ্ছে) ইত্যাদি।
১৫ ধোয়া-আদিগণ শোয়া, খোঁচা, খোয়া, গোছা, যোগা ইত্যাদি।
১৬ দৌড়া-আদিগণ পৌঁছা, দৌড়া ইত্যাদি।
১৭ চটকা-আদিগণ সমঝা, ধমকা, কচলা ইত্যাদি।
১৮ বিগড়া-আদিগণ হিচড়া, ছিটকা, সিটকা ইত্যাদি।
১৯ উলটা-আদিগণ দুমড়া, মুচড়া, উপচা ইত্যাদি।
২০ ছোবলা-আদিগণ কোঁচকা, কোঁকড়া, কোদলা ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ