জালাল আহমদ (রাজনীতিবিদ)
জালাল আহমদ | |
---|---|
কুমিল্লা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | আলফাজ উদ্দিন |
প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭০ – ১৯৭১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পাঁচপুকুরিয়া, লাকসাম, কুমিল্লা | ২ জুলাই ১৯২১
মৃত্যু | ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ কুমিল্লা | (বয়স ৮৭)
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জালাল আহমদ (২ জুলাই ১৯২১ — ১৪ জানুয়ারি ২০০৯) ছিলেন বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একজন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি তৎকালীন কুমিল্লা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২] তিনি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩][৪]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]জালাল আহমদ ২ জুলাই ১৯২১ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসামের পাঁচপুকুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ওয়ালী মিয়া পন্ডিত এবং মায়ের নাম জোবায়দা বেগম।[৪][৫]
তিনি পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের প্রাইমারি স্কুল মাদ্রাসায় পড়শুনা করে পরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড মাদ্রাসা থেকে ১৯৪০ সালে দাখিল পাশ করেন।[৪][৫]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]জালাল আহমদ ১৯৪০ সালে হাতিমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতায় খাদ্য পরিদর্শক হিসাবে সরকারি খাদ্য বিভাগে যোগদান করেন।[৪][৫]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]জালাল আহমেদ ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।[৪][৫]
তিনি ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে লাকসাম অঞ্চলের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।[৪][৫]
১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি লাকসাম থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫][৬]
১৯৬০ সালে তিনি খিলা ইউনিয়নে মেম্বার নির্বাচিত হন। এরপর তিনি পর পর দুইবার খিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।[৪][৫]
১৯৭০ সালে তিনি পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১৯ তথা লাকসাম থেকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন।[৩][৪][৫][৬]
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কুমিল্লা-১৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৪][৫][৬][৭]
তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[৪][৫]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]জালাল আহমেদ ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১।
- ↑ ক খ "১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে বিজয়ী সদস্যদের তালিকা"। সংগ্রামের নোটবুক। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ "২ জুলাই – সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ'র জন্মদিন"। washington bangla। ১ জুলাই ২০২২। ১২ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট "২ জুলাই - সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ'র জন্মদিন"। laksam.com। ১২ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "সাবেক সংসদ সদস্য জালাল আহমেদ'র মৃত্যুবার্ষিকী"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৫ জানুয়ারি ২০২৪। ১২ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৪।
- ↑ "কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) ।। সুবিধাজনক অবস্থানে আওয়ামীলীগ বিএনপিতে লড়াই, সুযোগ নিতে চায় জাপা"। আজকের কুমিল্লা ডট কম। ৪ অক্টোবর ২০১৮। ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২০।