গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট
গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত একটি জনহিতকর ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান।[১] ১৯৪৬ সালে জাতিগত সংঘাত পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা এর বেগমগঞ্জ উপজেলা ভ্রমণ করেন এরং ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি গান্ধী বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজার নামক স্থানে পরিদর্শনের জন্য গেলে, সেখানকার তৎকালীন জমিদার ব্যরিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সকল সম্পত্তি গান্ধীজির আদর্শ প্রচার এবং গান্ধীজির স্মৃতি সংরক্ষণের একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে জন্য দান করেন এবং গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
ট্রাস্টটি প্রথমে আম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যেরিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধন কৃত হলেও ১৯৭৫ সালে এটি নাম পরিবর্তিত হয়ে গান্ধি আশ্রম ট্রাস্টে পরিনত হয়। গান্ধি আশ্রমে গান্ধিজির নামে একটি জাদুঘর ও আছে যাতে গান্ধিজির তখনকার নোয়াখালী সফরের একশতাধিক ছবি ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও প্রকাশিত লেখা সংরক্ষিত আছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর, গান্ধী আশ্রমের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দেশ্যের পরিবর্তন ঘটে। তখন দাতব্য কার্যক্রমের পাশাপাশি দরিদ্র ও অনগ্রসরদের উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জীবনযাত্রার উন্নত মানের উন্নয়ন। বর্তমানে আশ্রমটি একটি ট্রাষ্ট হিসেবে পল্লি উন্নয়নের কাজ করছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "গান্ধী আশ্রম"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |