বিষয়বস্তুতে চলুন

ফুটবল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(এসোসিয়েশন ফুটবল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ফুটবল
১০ নম্বর জার্সিধারী আক্রমণভাগের একজন খেলোয়াড় বলকে লাথি মারার মাধ্যমে বিপক্ষের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে গোল করার চেষ্টা করছে।
সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা সংস্থাফিফা
উপনাম
প্রথম খেলা হয়েছে১৯ শতকের মাঝামাঝি, ইংল্যান্ড[][]
বৈশিষ্ট্যসমূহ
দলের সদস্যউভয়পক্ষে ১১ জন (গোলকিপার সহ)
মিশ্রিত লিঙ্গনা, আলাদা প্রতিযোগিতা
ধরনদলগত ক্রীড়া, বল ক্রীড়া
খেলার সরঞ্জামফুটবল (অথবা সকার বল) শিন গার্ড
ভেন্যুফুটবল পিচ (ফুটবল মাঠ, সকার পিচ বা সহজভাবে "পিচ" নামেও পরিচিত)
শব্দকোষফুটবল পরিভাষা
প্রচলন
দেশ বা অঞ্চলবিশ্বব্যাপী
অলিম্পিকপুরুষদের ১৯০০ অলিম্পিক থেকে এবং মহিলাদের ১৯৯৬ অলিম্পিক থেকে।
প্যারালিম্পিক২০০৪ থেকে এক-পক্ষে-৫ এবং ১৯৮৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এক-পক্ষে-৭
ফুটবলে ভক্তদের মৌলিক উদ্দেশ্য ম্যাচের সময় তাদের দলকে উৎসাহ দেওয়া।
ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদর দপ্তর, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড

ফুটবল, যা সাধারণত ফুটবল বা সকার নামে পরিচিত,একটি দলগত খেলা যা ১১ জন খেলোয়াড়ের দুটি দলের মধ্যে খেলা হয় যারা প্রাথমিকভাবে একটি আয়তক্ষেত্রাকার মাঠের চারপাশে বল চালাতে তাদের পা ব্যবহার করে।[][][][] খেলার উদ্দেশ্য হলো গোল লাইনের বাইরে বলটিকে প্রতিপক্ষের দ্বারা সুরক্ষিত আয়তক্ষেত্রাকার ফ্রেমযুক্ত গোলে সরিয়ে বিপরীত দলের চেয়ে বেশি গোল করা।ঐতিহ্যগতভাবে, খেলাটি ৪৫ মিনিট করে দুই অংশের খেলা হয়ে থাকে, মোট ম্যাচের সময় ৯০ মিনিটের জন্য।আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন খেলোয়াড় ২০০ টির ও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে চলমান, এছাড়া ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবেই পরিচিত।

খেলার নিয়মাবলী (সংক্ষেপে)

[সম্পাদনা]

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী,[] ফুটবল খেলার আইনগুলি সতেরোটি পৃথক আইন নিয়ে গঠিত, প্রতিটি আইনে বেশ কয়েকটি নিয়ম এবং নির্দেশ রয়েছে। নিচে ১৭ টি আইনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল:

আইন ১: খেলার ক্ষেত্র

[সম্পাদনা]

এই আইন ফুটবল মাঠের আকার এবং চিহ্ন নির্ধারণ করে, যাকে বলা হয় একটি ফুটবল পিচ বা ফুটবল মাঠ। পিচ প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম ঘাস দ্বারা গঠিত হতে পারে। গোল লাইনের সমান্তরালে চলে এবং খেলার পৃষ্ঠকে চিহ্নিত করে এমন একটি লাইন দ্বারা পিচ দুটি সমান ভাগে বিভক্ত। এই রেখাটি কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে এবং এর চারপাশে ৯.১৫ মিটার একটি বৃত্ত আঁকা হয়।টাচলাইনগুলি অবশ্যই ৯০-১২০ মিটার দীর্ঘ এবং দৈর্ঘ্যে একই হতে হবে। গোল লাইন ৪৫-৯০ মিটার চওড়া এবং প্রস্থের সমান হতে হবে।

আইন ২: বল

[সম্পাদনা]

এই আইনটি বলের আকৃতি, আকার এবং উপাদান গঠন নির্দিষ্ট করে। আইনটি বলে যে একটি আকার ৫ বলের আদর্শ ব্যাস প্রায় ২২ সেমি এবং পরিধি ৬৮-৭০ সেমি হতে হবে। ফুটবল বলটির ওজন ৪১০-৪৫০ গ্রামের মধ্যে হতে হবে।

আইন ৩: খেলোয়াড়

[সম্পাদনা]

প্রতিটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকতে হবে। ১১ জনের মধ্যে একজনকে অবশ্যই গোলকিপার হতে হবে। একটি দলকে সম্পূর্ণরূপে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে সাতজন খেলোয়াড় থাকতে হবে। খেলোয়াড়দের তাদের পা বা ধড় দিয়ে বল আঘাত করা উচিত। গোলরক্ষক ব্যতীত কোন খেলোয়াড়কে বল স্পর্শ করার জন্য তাদের হাত বা বাহু ব্যবহার করার অনুমতি নেই।

আইন ৪: খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম

[সম্পাদনা]

প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অবশ্যই নিয়মানুযায়ী একটি জার্সি, হাফপ্যান্ট, মোজা, জুতা এবং সঠিক শিন সুরক্ষা পরতে হবে। খেলোয়াড়দের এমন কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার বা পরিধান করার অনুমতি নেই যা তাদের বা অন্যদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যেমন রিং। গোলরক্ষককে অবশ্যই অন্যান্য খেলোয়াড় এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের থেকে আলাদা রঙের পোশাক পরতে হবে যাতে সহজে তাদের বোঝা যায়।

আইন ৫: রেফারি

[সম্পাদনা]

একজন রেফারি একটি ফুটবল খেলা তদারকি করেন। বিরোধসহ সব বিষয়েই তাদের শেষ কথা। তাদের কাছে একজন খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, ফাউলের ক্ষেত্রে একটি ম্যাচ বন্ধ করার এবং খেলাটি তদারকি করার সাধারণ দায়িত্ব রয়েছে যাতে এটি কোনও বাধা ছাড়াই চলে।

আইন ৬: অন্যান্য ম্যাচ কর্মকর্তারা

[সম্পাদনা]

একজন সহকারী রেফারি খেলার সাজ-সজ্জা বজায় রাখতে রেফারিকে সাহায্য করেন। সহকারী রেফারিদের মাঠের উভয় পাশে স্থাপন করা হয় এবং অপরাধ সংঘটনে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

আইন ৭: ম্যাচের সময়কাল

[সম্পাদনা]

একটি সাধারণ ফুটবল ম্যাচে খেলার সময় ৯০ মিনিট, যা প্রতিটি ৪৫ মিনিটে দুটি অর্ধে বিভক্ত। দুই অর্ধের মধ্যে, ১৫ মিনিটের হাফটাইম বিরতি আছে। পূর্ণ-সময় খেলার সমাপ্তি চিহ্নিত করে। অর্থাৎ, ৪৫ মিনিট খেলা + ১৫ মিনিট বিরতি + ৪৫ মিনিট খেলা

আইন ৮: খেলার শুরু এবং পুনঃসূচনা

[সম্পাদনা]

প্রতিটি ফুটবল খেলা শুরু হয় টস দিয়ে। দুই দলের অধিনায়ক ম্যাচ রেফারির সঙ্গে মাঠের মাঝখানে দেখা করেন। বিজয়ী দলের অধিনায়ক (টস বিজয়ী) প্রথমার্ধে কোন গোলপোস্টটি অনুসরণ করবেন তা বেছে নেন। তখন টস পরাজিত অধিনায়কে অপর অধিনায়কের বিপরীত পছন্দ বেছে নিতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে, বিপরীত গোলপোস্টটি নিয়ে দলদুটি আবারও খেলা শুরু করে।

আইন ৯: খেলার মধ্যে এবং বাইরে বল

[সম্পাদনা]

খেলার মধ্যে বল এবং খেলার বাইরে বল একটি ফুটবল খেলার সময় খেলার দুটি প্রাথমিক স্তর। বলটিকে প্রতিটি খেলার সময়কালের শুরু থেকে খেলার সময়কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি কিক-অফ সহ খেলায় বলা হয়। শুধুমাত্র বিরল ক্ষেত্রে বল খেলার মাঠ ছেড়ে যায় বা রেফারি খেলা বন্ধ করে দেয়।

আইন ১০: একটি ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা

[সম্পাদনা]

ফুটবলের উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে বলকে লাথি মেরে বা পাস দিয়ে গোল লাইনের উপর দিয়ে গোল করা। একটি গোল বলা হয়, যদি বলটি গোলপোস্ট বা ক্রসবারের মধ্যে দিয়ে গোল লাইন অতিক্রম করে এবং স্কোরকারী দলের দ্বারা কোন অপরাধ সংঘটিত না হয়।

আইন ১১: অফসাইড

[সম্পাদনা]

যদি বল ছোড়া বা কিক করার সময়, একজন খেলোয়াড় বল ব্যতীত বিপক্ষ দলের অর্ধেক মাঠে সর্বশেষ প্রতিরক্ষকের থেকে এগিয়ে অবস্থান করে তাহলে খেলোয়াড়টিকে অফসাইড অবস্থানে বলা হয়।

আইন ১২: ফাউল এবং অসদাচরণ

[সম্পাদনা]

একটি ফাউল সংঘটিত হয় যখন একজন খেলোয়াড় খেলার নিয়মের বিরুদ্ধে যায় এবং পরবর্তীতে খেলাটি খেলতে বাধা দেয়। ফাউলকারী খেলোয়াড়ের প্রতিপক্ষ দলকে শাস্তি হিসেবে ফ্রি কিক দেওয়া হয়। একজন খেলোয়াড়ের যে কোনো কাজ যা রেফারি নির্ধারণ করে একটি শাস্তিমূলক পরিণতি প্রয়োজন তা একটি অসদাচরণ বলে বিবেচিত হয়। যে খেলোয়াড় এটা করবে সে হয় সতর্কবাণী পাবে অথবা মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। বরখাস্ত হওয়া খেলোয়াড়কে প্রতিস্থাপন করা যাবে না।

আইন ১৩: ফ্রি কিক

[সম্পাদনা]

এগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

পরোক্ষ ফ্রি কিক: এগুলি "নন-পেনাল" ফাউলের পরে বিপরীত পক্ষকে দেওয়া হয়, বা যখন কোনও নির্দিষ্ট ফাউল না ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে সতর্ক বা বের করার জন্য খেলা থামানো হয়। এর ফলে গোল হতে পারে বা নাও হতে পারে।

প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ফ্রি কিক: একটি দল পরোক্ষ ফ্রি কিক পাওয়ার পরে আবারও ফাউল করা দলকে এগুলি দেওয়া হয়। এটি দিয়ে একটি গোল সরাসরি করা যেতে পারে।

আইন ১৪: পেনাল্টি কিক

[সম্পাদনা]

ফাউলের পর ফাউল করা দলকে পেনাল্টি কিক দেওয়া হয় যা সাধারণত সরাসরি ফ্রি কিকের পরিণতি হয় কিন্তু পার্থক্য হল এটি প্রতিপক্ষের পেনাল্টি এলাকার মধ্যে ঘটে।

আইন ১৫: থ্রো-ইন

[সম্পাদনা]

বল খেলার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরে একটি থ্রো-ইন দেওয়া হয়। যে খেলোয়াড় শেষবার বল স্পর্শ করেছে তার প্রতিপক্ষ একটি থ্রো-ইন পায়।

আইন ১৬: গোল কিক

[সম্পাদনা]

এগুলি দেওয়া হয় যখন পুরো বলটি গোল লাইন অতিক্রম করে, মাটিতে বা বাতাসে, আক্রমণকারী পক্ষের একজন সদস্যকে শেষবার স্পর্শ করে এবং গোল হয় না। বলটি গোলরক্ষক দ্বারা একটি গোল কিক দেওয়া হয়।

আইন ১৭: কর্নার কিক

[সম্পাদনা]

একটি কর্নার কিক দেওয়া হয় যখন পুরো বল গোল লাইন অতিক্রম করে, মাটিতে হোক বা বাতাসে, শেষবার একজন ডিফেন্ডারকে স্পর্শ করলেও কোন গোল হয় না। শুধুমাত্র বিপরীত পক্ষ কর্নার কিক থেকে সরাসরি গোল করতে পারে; বল কিকারের গোলে প্রবেশ করলে, প্রতিপক্ষকে কর্নার কিক দেওয়া হয়।

ফুটবল খেলার স্তর এবং দেশভেদে কোচের ভূমিকা ও দায়িত্ব-কর্তব্যের রূপরেখা ভিন্নতর হতে পারে। যুব ফুটবলে কোচের প্রধান ভূমিকা হচ্ছে খেলোয়াড়দেরকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের দক্ষতাকে কাগজে-কলমে দেখিয়ে উত্তরণ ঘটানো। শারীরিক অথবা কৌশলগত উত্তরণের তুলনায় প্রাণবন্ত এবং সুন্দর খেলা উপহার দেয়াকে প্রাধান্য দেয়া।[] সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের প্রশিক্ষণের ছকে এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কোচদেরকেও খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং বিজয়ের লক্ষ্যে আনন্দ উপভোগের জন্যে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।

[১০]

ঘরোয়া প্রতিযোগিতা

[সম্পাদনা]

প্রত্যেক দেশের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা প্রতি মৌসুমে ঘরোয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সাধারণত এতে বেশ কয়েকটি বিভাগ থাকে এবং দলগুলো পুরো মৌসুম জুড়ে খেলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট অর্জন করে থাকে। দলগুলোকে একটি তালিকায় তাদের অর্জিত পয়েন্টের ক্রমানুসারে সাজানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, দলগুলো প্রতি মৌসুমে তার লীগের অন্য সকল দলের সাথে ঘরের মাঠে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ম্যাচ খেলে। এরপর মৌসুমের শেষে শীর্ষ দলটিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ কয়েকটি দল এমনকি উপরের বিভাগে খেলার সুযোগও পেতে পারে। অনুরূপভাবে, একেবারে পয়েন্ট তালিকার নিচে মৌসুম শেষ করা কয়েকটি দল নিচের বিভাগে অবনমিত হয়। শীর্ষ এক বা একাধিক দল পরবর্তী মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগও পেতে পারে। এই নিয়মের প্রধান ব্যতিক্রম দেখা যায় লাতিন আমেরিকার কয়েকটি লীগে। বেশিরভাগ দেশেই লীগ ব্যবস্থার সাথে এক বা একাধিক "কাপ" প্রতিযোগিতা যুক্ত থাকে।

কিছু দেশের সর্বোচ্চ বিভাগে বিপুল পারিশ্রমিকে তারকা খেলোয়াড়েরা খেলেন। তেমনি কিছু দেশে এবং নিচু বিভাগের খেলোয়াড়েরা অ-পেশাদার এবং মৌসুমভিত্তিক হয়ে থাকতে পারেন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লীগ হল - প্রিমিয়ার লীগ (ইংল্যান্ড), লা লিগা (স্পেন), সিরি এ (ইতালি), বুন্দেসলিগা (জার্মানি) এবং লিগ ১ (ফ্রান্স)। এই লীগগুলো বিশ্বের বেশিরভাগ শীর্ষ খেলোয়াড়কে আকর্ষণ করে এবং এদের প্রত্যেকটিতে খরচ হয় ৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড-স্টার্লিং বা ৭৬৩ মিলিয়ন ইউরো বা ১.১৮৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

রেফারী

[সম্পাদনা]

একজন রেফারীর মাধ্যমে ফুটবল খেলা পরিচালিত হয়। তিনি খেলায় মূল কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাবতীয় আইন-কানুন প্রয়োগ করেন। দুইজন সহকারী রেফারী বা লাইন্সম্যান এবং কখনো কখনো চতুর্থ রেফারীও তাকে খেলায় সহায়তা করে থাকেন। তবে ইউইএফএ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ৬জন রেফারী অংশগ্রহণ করেন। দুইজন গোলপোস্টের বাইরে থেকে বলের অবস্থান চিহ্নিত করেন যে তা গোললাইন অতিক্রম করেছে কি-না (এদেরকে গোললাইন রেফারীও বলা হয়)।

খেলা নির্দিষ্ট সময়ে সমাপন কিংবা অতিরিক্ত সময় যুক্তকরণ তার দায়িত্ব। মাঠে অবস্থানকালে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় পরখপূর্বক খেলোয়াড় সংখ্যার সঠিকতা, অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সংশ্লিষ্টতা, ইত্যাদি ঘটনার বিবরণ নোটবহিতে লিপিবদ্ধসহ খেলাশেষে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন। এছাড়াও, খেলোয়াড় আহত ও এর গুরুত্বতা অণুধাবনপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মাঠে তিনি কোন খেলোয়াড়, এমনকি দলীয় কোচকে হলুদ কিংবা লাল কার্ডের প্রয়োগের মাধ্যমে যথাক্রমে সতর্কীকরণ, শাস্তি কিংবা বহিস্কার করতে পারেন।

বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সংস্থা ফিফা ১৭টি আইনের কথা উল্লেখ করেছে। তন্মধ্যে ৫নং ধারার মাধ্যমে খেলা পরিচালনার জন্য রেফারী এবং সহকারী রেফারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।

যথাযথভাবে খেলা পরিচালনার জন্য প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে রেফারীদের প্যানেল সৃষ্টি করতে পারেন। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ ম্যাচ রেফারীকে সাহায্য করার জন্য ৫ম বিচারকের ব্যবস্থা রেখেছিল।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Georgakis, Steve। "In a globalised world, the football World Cup is a force for good"The Conversation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২২ 
  2. "FIFA.com - History of Football - Britain, the home of Football"web.archive.org। ২৮ মার্চ ২০১৩। ২৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২২ 
  3. "History of Football - The Origins - FIFA.com"web.archive.org। ২৮ অক্টোবর ২০১৭। ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২২ 
  4. "Overview of Soccer" (ইংরেজি ভাষায়)। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০০৮ 
  5. Guttman, Allen (১৯৯৩)। "The Diffusion of Sports and the Problem of Cultural Imperialism"। Eric Dunning, Joseph A. Maguire, Robert E. Pearton। The Sports Process: A Comparative and Developmental Approach (ইংরেজি ভাষায়)। Champaign: Human Kinetics। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 0-88011-624-2। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০০৮the game is complex enough not to be invented independently by many preliterate cultures and yet simple enough to become the world's most popular team sport 
  6. Dunning, Eric (১৯৯৯)। "The development of soccer as a world game"Sport Matters: Sociological Studies of Sport, Violence and Civilisation (ইংরেজি ভাষায়)। London: Routledge। পৃষ্ঠা 103। আইএসবিএন 0-415-06413-9। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০০৮During the twentieth century, soccer emerged as the world's most popular team sport 
  7. Mueller, Robert; Cantu; Van Camp, Steven (১৯৯৬)। "Team Sports"Catastrophic Injuries in High School and College Sports (ইংরেজি ভাষায়)। Champaign: Human Kinetics। পৃষ্ঠা 57। আইএসবিএন 0-87322-674-7। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০০৮  একের অধিক |প্রথমাংশ1= এবং |প্রথমাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  8. "Laws of the Game 22/23" (পিডিএফ)International Football Association Board 
  9. ""Phase 1 – The FUNdamental Phase". Football Association of Ireland. 2009-06-12. Retrieved 2010-12-12."। ২০২২-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১০ 
  10. ""Laws of the game (Law 3–Number of Players)". FIFA. Archived from the original on 13 September 2007. Retrieved 24 September 2007."। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]