আল-সাদিক মসজিদ
আল সাদিক মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | আহমাদিয়া |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | অলাভজনক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান |
অবস্থান | |
অবস্থান | ৪৪৪৮ এস ওয়াব্যাশ অ্যাভিনিউ, শিকাগো, ইলিনয় ৬০৬৫৩ |
স্থানাঙ্ক | ৪১°৪৮′৪৮″ উত্তর ৮৭°৩৭′৩০″ পশ্চিম / ৪১.৮১৩২° উত্তর ৮৭.৬২৪৯° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | উপাসনালয় |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯২২ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | ৪ |
ওয়েবসাইট | |
Official Website |
আল সাদিক মসজিদ বা ওয়াব্যাশ মসজিদ (স্থানের নামানুসারে) শিকাগোর ব্রোঞ্জভিলে অবস্থিত। এটি এখনও অবধি টিকে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র আমেরিকা অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো মসজিদ হিসাবে বিবেচিত। নির্মাণের সময় এটি মসজিদ হিসাবে তৈরি করা হয় নি। এটি মূলত আমেরিকান মুসলিম মিশনারি মুফতি মুহাম্মদ সাদিক কর্তৃক কেনা একটি দুইতলা ভবন ছিল, যা পরবর্তীতে মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছিল। মূল ভবনটি ১৯৯০-এর দশকে মসজিদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ প্রধানত আফ্রো-আমেরিকান আহমদীদের দান করা অর্থ দিয়ে অর্থায়ন করা হয়েছিল।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শিকাগোতে মুসলিম মিশন
[সম্পাদনা]মুফতি মুহাম্মদ সাদিক ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ১৯২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মদ সাদিক দ্য মুসলিম সানরাইজ নামে একটি মাসিক সাময়িকী চালু করেন, যাতে ইসলাম, প্রাসঙ্গিক বিবেকের সমসাময়িক বিষয় এবং নতুন ধর্মান্তরিতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হতো। এই পত্রিকাটি এখনও চালু আছে।[১] মুহাম্মদ সাদিক আমেরিকায় তার স্বল্পকালীন বসবাসের সময় প্রায় এক হাজার মার্কিনিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন, বিশেষ করে ১৯২২ থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে ডেট্রয়েট এবং শিকাগো নগরীতে।[২]
আহমদীয়া মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমেরিকা জুড়ে ৪০ টিরও বেশি মিশন স্থাপিত হয়। আফ্রো-আমেরিকান, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান, শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান এবং লাতিনো আমেরিকানদের সংমিশ্রিত জনসংখ্যাসহ চারটি আহমাদী মসজিদ আজ এই অঞ্চলে দেখা যায়। শিকাগো ১৯৬০ পর্যন্ত আহমাদিয়া আন্দোলনের জাতীয় সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়,[২] অতঃপর এর সদর দপ্তর আমেরিকান ফজল মসজিদ, ওয়াশিংটন ডি.সি.তে সরানো হয়। ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আহমদীয়া মুসলিমরা তাদের সদর দপ্তর মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিংয়ে অবস্থিত বায়তুর রহমান মসজিদে সরিয়ে নিয়ে আসে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ “The Moslem Sunrise”
- ↑ ক খ Islamic Movement Came to U.S. in 1920, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৩ মে, ১৯৯৩
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে