অ্যান্ডোরায় ইসলাম
অ্যান্ডোরায় ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। সিআইএয়ের রিপোর্ট মতে, অ্যান্ডোরায় প্রায় ২,২২৮ মুসলিম বসবাস করে, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৩% গঠন করে।[১][২] মুসলমানদের অধিকাংশই উত্তর আফ্রিকীয় বংশোদ্ভূত।[৩] প্রায় ৭ম শতাব্দীর দিকেই অ্যান্ডোরায় ইসলাম প্রবেশ করে। তবে তখনকার মুসলিমদের কেউ অ্যান্ডোরায় স্থায়ী হয়ে বসতি স্থাপন করেনি।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
২,২২৮ | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
আন্দরা লা ভেলিয়া | |
ধর্ম | |
সুন্নি ইসলাম | |
ভাষা | |
কাতালান ভাষা, স্পেনীয় ভাষা, আরবি, উর্দু |
প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]অ্যান্ডোরায় মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিক্ষা কমপ্লেক্স রয়েছে, যা থেকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আরবি পাঠ গ্রহণ করে থাকে। সরকার ও মুসলিম সম্প্রদায় এখনো একটি পদ্ধতিতে সম্মত হয়নি, যা স্কুলগুলোতে এই ধরনের পাঠ দিতে সক্ষম হবে। অ্যান্ডোরায় বিশেষভাবে নির্মিত কোন মসজিদ নেই। সরকার এ জাতীয় প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে অস্বীকার করে বলেছে যে, এর জন্যে স্বল্প মূল্যের কোনো জমি নেই। ২০০৩ সালে স্থানীয় ইমাম মোহাম্মদ রাগুইগ অ্যান্ডোরার বিশপ জোয়ান মার্টি অ্যালানিসের কাছে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য চার্চের কাছে থাকা অতিরিক্ত জমি থেকে কিছু জমি বা মসজিদ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য একটি অব্যবহৃত গির্জার ভিতরে স্থান চেয়ে আবেদন করেছিলেন।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রায় ৭ম শতাব্দীর দিকে মুসলিমরা সেগ্রে উপত্যকার মধ্য দিয়ে ভিসিগথ থেকে অঞ্চলটি দখল করে। তবে মুসলিমরা অ্যান্ডোরায় কখনো অবস্থান করেনি বরং এটিকে টারউজ, নার্বোন, কার্কাসন ও নেমেস যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত পথ হিসাবে ব্যবহার করে। পাইটার্সের যুদ্ধ ও রোনসেসেলসের যুদ্ধ পিরিনীয় পর্বতমালার অন্যান্য অংশে এই অভিযানের সমাপ্তি হয়।
অ্যান্টনি ফিল্টার আই রোসেলের ইতিহাস বিষয়ক বই ম্যানুয়াল ডাইজেস্ট (১৭৪৮) অনুসারে, ৭৮৮ সালে মার্ক অ্যালামুগেরের নেতৃত্বে ৫০০০ অ্যান্ডোরীয় সৈন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাল ডি দে ক্যারলে চার্লামগনের সহায়তায় এসেছিলেন। যুদ্ধের পরে চার্লম্যাগন অ্যান্ডোরাকে তার সুরক্ষা দিয়েছিল এবং তাদের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেছিল।[৫]
১৯ শতাব্দী থেকে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা অ্যান্ডোরায় অভিবাসন গ্রহণ করতে থাকে এবং এরাই আধুনিক অ্যান্ডোরার মুসলিম জনসংখ্যার মূল উৎস। আফ্রিকার পাশাপাশি পাকিস্তান থেকেও কিছু মুসলিম অ্যান্ডোরায় অভিবাসন গ্রহণ করেছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Andorra"। The World Factbook (ইংরেজি ভাষায়)। Central Intelligence Agency। ২০২২-১২-০২।
- ↑ "Andorra | Encyclopedia.com"। www.encyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৮।
- ↑ Andorra, International Religious Freedom Report 2006
- ↑ https://web.archive.org/web/20070930181453/http://www.arabicnews.com/ansub/Daily/Day/030429/2003042930.html। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ December, 2022। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Geography and History of the Principality of Andorra