অবচেতন
অবয়ব
মনোবিজ্ঞানে বর্তমান চেতনার (focal awareness) পরিসরে না থাকা চেতনাকে অবচেতন (ইংরেজি: subconcious) বলা হয়।[১] অবচেতন হলো মানব চেতনেরই একটা অংশ। অবচেতন (Subconscious) -এর ধারণার উৎপত্তি হয়েছিল ঊনবিংশ শতকে। অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও ফরাসি মনোবিজ্ঞানী পিয়ের জাঁনেট (১৮৫৯ - ১৯৪৭) পৃথক পৃথক ভাবে এই ধারণার অবতারণা করেছিলেন । [২] সিগমুণ্ড ফ্রয়েড মানুষের মনোজগতকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছিলেন;[৩]
- চেতন(Conscious) এবং এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ইগোকে (Ego)
- অবচেতন(Subconscious) বা প্রাক-চেতন (Preconscious)
- অচেতন(Unconscious) এবং এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ইড (Id)ও সুপার ইগোকে (Super Ego)
চেতন মনে জাগ্রত অবস্থায় মানুষ পারিপার্শ্বিক জগতের সাথে সংযোগ রাখে। অবচেতন মনে সংযোগ রাখে অন্তর্জগতের সাথে অর্থাৎ অতীত স্মৃতি ও জৈবিক প্রয়োজনসমূহের সাথে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ A Dictionary of Psychology Andrew M. Colman. Oxford University Press, 2006. Oxford Reference Online. Oxford University Press. King's College London.
- ↑ Henri F. Ellenberger, The Discovery of the Unconscious (1970)
- ↑ S. Freud, 1893, « Quelques considérations pour une étude comparative des paralysies organiques et hystériques ». Archives de neurologie, citation in Psychanalyse (fondamental de psychanalyse freudienne), sous les directions d'Alain de Mijolla & Sophie de Mijolla Mellor. Paris, P.U.F, 1996, p.50.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিউক্তিতে অবচেতন সম্পর্কিত উক্তির সংকলন রয়েছে।