উইজার্ড জ্যাকাম
উইজার্ড জ্যাকাম[১][২] (সি. ১৪৯০-১৫২৩) ছিলেন একজন ফ্রিজীয় সামরিক কমান্ডার, সেনাপতি ও আর্মার ব্ল্যাক হুপের সদস্য। তিনি ছিলেন পিয়ের গ্যারলফস দনিয়ার লেফটেনান্ট ও সেক্সন এবং ডাচ হানাদারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ১৫২০ সালে দনিয়া মৃত্যুবরণ করার পর জ্যাকাম, দনিয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।
প্ররম্ভিক জীবন
১৪৯০ সালে জ্যকাম একটি বড় ও সরল কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ক্রুসেডের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নাইটদের বংশধর। তার পিতার দিকের একজন পূর্বপুরুষ এন্টিওচের অবরোধে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।[৩]
দ্রোহ
পিয়েরে গ্যারলফস দনিয়া ও জ্যাকাম একত্রে তাদের মাতৃভূমি ফ্রিজিয়াকে ডাচ দখলদারীদের কাছ থেকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন।[১] প্রথমে মেদেমব্লিক এলাকাটি সেক্সনদের দ্বারা দখল হয়, এরপর ডাচরা এলাকাটি জয় করে। দনিয়া ও জ্যাকামের উদ্দেশ্য ছিলো এলাকাটি স্বাধীন করা। দনিয়ার নেতৃত্বে, তারা সাধারনত গেরিলা আক্রমণ চালাতো ও কয়েকটি সফল অভিযানও পরিচালনা করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মেদেমব্লিক শহর ও দুটি হল্যান্ডিক ক্যাসল অবরোধ। তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে সমুদ্রে, যাইহোক দনিয়া ও জ্যাকাম দুজন মিলে মোট ২৮টি ডাচ জাহাজ ডুবিয়ে দেন; যার ফলে দনিয়া ক্রস অফ দ্য ডাচম্যান উপাধিতে পরিচিতি লাভ করেন।[৪]
১৫১৯ সালের দিকে দনিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে ও তিনি বিদ্রোহী কমান্ডার থেকে অবসর নেন। ১৫২০ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর জ্যাকাম বিদ্রোহীদের কমান্ডার হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিনি নেতৃত্ত্ব গ্রহণ করে বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ৪০০০ এ উন্নীত করেন। জ্যাকাম যদিও কিছু বিজয় অর্জন করেন কিন্তু তিনি ছিলেন আগের কামান্ডারের চেয়ে অনেক ধীর ও ধীরে ধীরে তার সৈন্য সংখ্যা কমতে শুরু করে। জ্যাকাম ও তার সৈন্যরা জলদস্যুতায় যোগদান করেন; তারা ফ্রিজিয়ার অনেক গ্রামে লুটতরাজ করেন, ফলে তিনি তার নিজের জনগণের কাছেই বিশ্বাস ও সমর্থন হারান। ফলে তিনি বিভিন্ন স্থানে পরাজিত হতে থাকেন।
মৃত্যু
কয়েকটি ধারাবাহিক পরাজয়ের পর তিনি ও তার অবশিষ্ঠ সেনাসদস্যদের ১৫২৩ সালে গ্রেফতার করে ফ্রিজিয়ার লিউয়ার্ডেনে আনা হয়। সেখানে প্রকাশ্যে তাদের শিরোচ্ছেদ করা হয়।[৫] জ্যাকাম ও বিদ্রোহীদের মৃত্যুর সাথে সাথে ফ্রিজিয়ার বিদ্রোহেরও অবসান হয়। এটি ছিলো ফ্রিজিয়ার ইতিহাসে সর্বশেস বিদ্রোহ।
পদটীকা ও তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Eekhoff, W.(1851). Beknopte geschiedenis van Friesland (in Dutch). Leeuwarden: W. Eekhoff. 138-139.
- ↑ Kok, Jacobus (১৭৯১)। "Pier Gerlofs Donia"। Vaderlandsch Woordenboek (Dutch ভাষায়)। 24 (P-R)। Amsterdam: Johannes Allart। পৃষ্ঠা 17–21।
- ↑ J.J. Kalma. Grote Pier Van Kimswerd (1970), p. 51. আইএসবিএন ৯০-৭০০১০-১৩-৫.
- ↑ Beekman, Martinus. Beschreiving van de Stad en Baronnie Asperen. Vertoonende haare oudheid, gebouwen, hooge, en verdere regeering, ens. Utrecht, Mattheus Visch, 1745.
- ↑ "Greate Pier fan Wûnseradiel" (West Frisian ভাষায়)। Gemeente Wûnseradiel। ২০১২-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৪।