ইসরাইলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত গাজার প্রতিটি পরিবার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৭
ইসরাইলের ৪৬৭ দিনের দীর্ঘ আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার প্রতিটি পরিবার। প্রতিটি পরিবারে রয়েছে স্বজন হারানোর দুঃখ কিংবা সদস্য আহত হওয়ার বেদনা। কাউকে তাড়িয়ে ফিরছে শেষ আশ্রয় হারানোর কষ্ট। এরও মাঝে একটু স্বস্তির সংবাদ মিলেছে তাদের। যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটছে এবার। কাল সকাল থেকেই তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। ভোগ করবে স্বাধীনতার স্বাদ। প্রত্যেক গাজাবাসীর মনেই তাই বইছে খুশির বান।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মোহাম্মাদ শেখ আবেদ। গাজার দক্ষিণে রাফা শহরে তার বাড়ি। আশ্রয় হারিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন খান ইউনিসে। আনন্দে উদ্বেলিত কণ্ঠে তিনি বলেন, হয়তো আজকেই যুদ্ধের শেষ দিন। আশা করি, কালই আমরা বাড়ি ফিরতে পারব।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে আরো বলেন, আশা করছি, যুদ্ধবিরতির পর আর কোনো সহিংসতা দেখতে হবে না। আমরা সবাই ক্লান্ত। খাওয়ার মতো অন্ন নেই, স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার মতো ঘর নেই। অসুস্থ ও আহতদের জন্য নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। আর কত! আর কতদিন এভাবে থাকা যায়। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আজকেই যেন এই ধ্বংসযজ্ঞ ও বিভীষিকার শেষ দিন হয়।
আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তারেক জুমলট। তিনি হলেন জাবালিয়ার বাসিন্দা। ইসরাইলি হামলায় ছাড়তে হয় দীর্ঘদিনের স্মৃতিবিজড়িত মাতৃভূতি। আশ্রয় নিতে হয় খান ইউনিসে। তার থেকেও প্রকাশ পেলো আবিদের মতো উচ্ছ্বাস। উদ্বেলিত কণ্ঠে তিনি বলেন, আশা করছি, এবারের চুক্তিটি বাস্তবিক অর্থেই বাস্তবায়িত হবে। আমরা ফিরে যেতে পারব স্মৃতির উঠোনে- নিজ নিজ বাড়িতে।
তিনি আরো বলেন, আশা করছি, এখন পরিবারের সবার সাথে দেখা হবে। আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালোবাসা বিনিময় হবে। আশা করি, এখন আর কোনো গোলার আওয়াজ শুনতে হবে না। আমরা নিরাপদেই থাকতে পারব।
রাফা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে খান ইউনিসে অবস্থান করছেন বেলাল আল নাওহাওয়ানি। তিনি বলেন, আমরা একেবারে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এমন কোনো পরিবার নেই, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ইসরাইলি আগ্রাসনে কেউ স্বজন হারিয়েছে। কেউ আহত হয়েছে বোমার আঘাতে। সবাই ক্লান্ত। যথেষ্ট হয়েছে। গাজার মানুষ যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা