'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর প্রস্তাব আসতে পারে'

২৫শে ডিসেম্বরের পত্রিকা, বাংলাদেশ।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম 'Restoration of caretaker system to be proposed' বা 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর প্রস্তাব আসতে পারে'।

খবরে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধার এবং সংসদে দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা প্রবর্তন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশের মধ্যে থাকবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন সংবিধানের প্রস্তাবনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করতে পারে।

এর প্রস্তাবনা বর্তমানে যৌক্তিকতার সঙ্গে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী সাতই জানুয়ারির মধ্যে এ কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুই মেয়াদ এবং তার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করবে কমিশন।

তারা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করবে বলে বলছে এই প্রতিবেদন।

আরো পড়তে পারেন
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

'দ্রুত নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা' এটি যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে একাট্টা হচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা।

আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চায় দলগুলো। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী সংস্কার চান।

বাকি সংস্কারগুলো পরে নির্বাচিত সরকার সংসদে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পক্ষে দলগুলো।

এজন্য সংস্কারে বেশি সময় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চান নেতারা। জানুয়ারির মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া না হলে যুগপৎ আন্দোলনের কথা ভাবা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, মাঠের কর্মসূচি দেওয়ার লক্ষ্য হবে ভোটের আবহ তৈরি এবং সরকারের ওপর নির্বাচনি চাপ বাড়ানো।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে গত কয়েকদিন ধরে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চায় দলগুলোর নেতারা।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা

'আনিসুল হক, সালমান ও জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা' এটি প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তা।

অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকেও।

তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। আবার তদন্ত করা হচ্ছে।

নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর ডিবির পরিচয় গোপন করে থানা-পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমার চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নেননি। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন।

প্রথম আলো পত্রিকা

'দাবি নিয়ে ব্যস্ত গতিহীন প্রশাসন' মানবজমিনের শিরোনাম। এই খবরটিতে বলা হচ্ছে, জনপ্রশাসনে অস্থিরতা কাটছেই না। নিজেদের নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তারা। অতীতে বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এমন দাবি করে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত অনেকে।

এ অবস্থায় নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার চার মাস পরও শৃঙ্খলা ফেরেনি মাঠ প্রশাসনে। কাটেনি স্থবিরতা। অনেকটা গতিহীন অবস্থায় চলছে মাঠ প্রশাসন। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

প্রশাসনের মূল কেন্দ্র সচিবালয়ে বিরাজ করছে এক প্রকার বিশৃঙ্খলা। সব দাবির গন্তব্য যেন এখন জনপ্রশাসনে।

বঞ্চিতের নামে আন্দোলনের মৌসুম বুঝে দাবি নিয়ে শামিল হচ্ছেন জনপ্রশাসনে।

অভিযোগ উঠেছে, অতীতে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তরাও নিজেদের 'বঞ্চিত' দাবি করে চাপ তৈরির মাধ্যমে পদোন্নতি বাগিয়ে নিচ্ছেন।

মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীনভাবে সভা-সমাবেশ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতীতে দাবি আদায়ে এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায়নি।

ওদিকে বৈষম্য দূর ও শৃঙ্খলা ফেরানো এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে সরকার যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নের আগেই বাগড়া তৈরি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আজকের পত্রিকা

'শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা: সবার সামনে কঠিন পথ' আজকের পত্রিকার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।

তবে দুই দেশেই সরকারের ভেতরের ও বাইরের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা নিজে থেকেই দেশে ফিরে যে বিচারের মুখে পড়তে চাইবেন—এমন ইঙ্গিত এখনো মিলছে না।

আইনি সব জটিলতা মিটিয়ে তাকে ফেরত আনা সফল করতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

আর হাসিনাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের জন্য মোটেও সহজ নয়।

সব মিলিয়ে তাঁকে ফেরত এনে তার উপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা একটি জটিল, সময়সাপেক্ষ, এমনকি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।

হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দুই দেশেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যোগসূত্র থাকার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, এমনকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে—এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

দৈনিক সমকাল

খবরে বলা হচ্ছে, দফায় দফায় বন্যায় এবার বেশ ভুগেছে মাঠের কৃষক। বানে আমন ক্ষেত ডুবলেও হাল ছাড়েননি তারা।

নতুন করে লাগিয়েছেন ধানের চারা। শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে শেষমেশ গোলায় ধান তুলতে পেরে চাষির ঘরে ঘরে আনন্দের দোল।

এই অর্থবছরে এক কোটি ৭৮ লাখ টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।

এত উৎপাদনের পরও ধান-চাল সংগ্রহে যেন খাবি খাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

দেশজুড়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে তাও মাস পেরিয়েছে। অথচ গত বছরের চেয়ে কেজিপ্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করলেও সরকারের ভান্ডার খাঁ খাঁ করছে।

অনেক জেলায় এক ছটাক ধান-চালও সংগ্রহ করা যায়নি। কোথাও কোথাও লক্ষ্যমাত্রার এক থেকে দুই শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে।

কালের কন্ঠ

'চড়া খাদ্যমূল্যে কষ্ট বেড়েই চলেছে' এটি কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম। নিতপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে করা এই প্রতিবেদনটিত বলা হচ্ছে, প্রায় দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একজন গ্রাহক পেয়েছেন প্রত্যাশার পণ্য—দুই কেজি ডাল ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল।

৩২০ টাকায় এই খাদ্যপণ্য দুটি পেয়ে রঞ্জিত দাসের (৫৫) শুকনো মুখে হাসি ফুটল। চলতি বাজারমূল্যের চেয়ে কিছুটা কম দামে টিসিবির তেল-ডাল পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট ভুলেছেন তিনি।

এ খবরে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃ্দ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বলা হয়েছে।

নয়াদিগন্ত

'৮ মেগা প্রকল্পের নথি তলব দুদকের' নয়াদিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে লেনদেনের তথ্যসহ আট মেগা প্রকল্পের নথি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এসব মেগা প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাট ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

গতকাল ওই প্রকল্পগুলোর তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক মো: সালাহউদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার দফতরে চিঠি দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারির (২০২৫) মধ্যে সব তথ্য সরবরাহ করতে বলেছেন।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে - মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, মিরসরাই বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন, মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প।

দ্য নিউ এজ

দ্য নিউ এজের শিরোনাম 'Gas supply falls to near zero at places'। খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার অনেক এলাকায় পাইপ দিয়ে গ্যাসের সরবরাহ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

এসব এলাকার অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানও একই অভিযোগ করেছে।

কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ডিসেম্বরে।

তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও যেকোনো সময় পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই।

তিন মাস পর শীতকাল শেষে গরমের মৌসুম শুরু হবে। তখন চাহিদা কমপক্ষে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

বাংলাদেশ আংশিকভাবে জ্বালানি আমদানির কারণে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করছে। যার প্রভাব বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর পড়ছে।

দৈনিক ইত্তেফাক

ইত্তেফাকের শিরোনাম 'নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই, ৭ লাখ কপি বাতিল' খবরে বলা হয়েছে, বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ও (এনসিটিবি) ১১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

বইয়ের মান নিয়ে যেহেতু আপস হবে না, এটা বুঝতে পেরে এবার ১১৬টি প্রেসই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে। প্রায় ৪০ ভাগ টেন্ডারে একজনের বেশি টেন্ডার জমা দেয়নি।

এই সিন্ডিকেটের কারণে বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬ থেকে ২০ শতাংশ।

তার পরও অধিক মুনাফার লোভে রাতের আঁধারে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপাচ্ছে কিছু ছাপাখানা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গত এক মাসে ছাপাখানাগুলো পরিদর্শনে গিয়ে নিম্নমানের কাগজে ছাপানো বই হাতেনাতে ধরেন।

কোনো ছাপাখানায় বইয়ের কাগজ নিম্নমানের। আবার কোনোটির বইয়ের বাইন্ডিং ঠিক নেই। কিছু ছাপাখানায় কাগজের বাস্টিং ফ্যাক্টর কম, বইয়ের সামনের ও পেছনের মলাট খুলে যাচ্ছে।

এমন সাত লক্ষাধিক নিম্নমানের পাঠ্যবই ও বইয়ের ফর্মা কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বণিক বার্তা

'দলগুলোর মত নিয়েই সীমানা' দেশ রূপান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সর্বশেষ আদমশুমারির পর এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচনী এলাকাগুলোতে (আসন) ভোটারদের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কিন্তু গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ রয়েছে খোদ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের তদবিরকেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ বা মতামত নিতে হবে।

তা না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণে পক্ষপাতদুষ্টতার পুরনো বিতর্ক নতুন করে সৃষ্টি হতে পারে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি। এজন্য একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে কমিটিও করা হয়েছে।

বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর

খবরে বলা হচ্ছে, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যু হয় ২০০৯ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খড়িয়ালা নামক স্থানে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার গাড়ি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।

পাঁচ-ছয় ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়া ওই গাড়িতে চালকসহ ছিলেন মোট ছয়জন যাত্রী। এর মধ্যে কেবল এম সাইফুর রহমানেরই মৃত্যু হয়।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে ২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি এক জনসভায় গ্রেনেড হামলার শিকার হন শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় সাবেক এ অর্থমন্ত্রীসহ পাঁচজন নিহত হন।

সিলেট অঞ্চল থেকে উঠে আসা প্রয়াত এ দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কাজ করা বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ, আমলা, গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য হলো অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম সাইফুর রহমান ও শাহ এএমএস কিবরিয়া দুজনই ছিলেন বেশ সফল।

তাদের দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণে সবাই সমীহ করে চলতেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তাদের অবস্থান ছিল বেশ কঠোর।