শ্রীলংকায় শিক্ষা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় | |
---|---|
জাতীয় শিক্ষা বাজেট (২০১২) | |
বাজেট | জিডিপি'র ২%[১] |
সাধারণ বিবরণ | |
মাতৃভাষা | সিংহলি, তামিল এবং ইংরেজি |
স্বাক্ষরতা (২০১৫[২]) | |
মোট | ৯৩.৩% |
পুরুষ | ৯৪% |
মহিলা | ৯২% |
তালিকাভুক্তি | |
মোট | ৩৫০,০০০ |
মাধ্যমিক | ২০০,০০০ |
মাধ্যমিক পরবর্তী | ১৪,০০০ (১০-১২%) |
শ্রীলংকায় শিক্ষা দুই সহস্রাব্দের দীর্ঘ ইতিহাস দ্বারা সমৃদ্ধ। শ্রীলংকার সংবিধানে বিনামূল্যে শিক্ষা পাওয়ার অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শ্রীলংকার জনসংখ্যার বয়স্ক সাক্ষরতার হার ২০২১ সালে ছিলো ১০০%, যা গড় হিসাবে বিশ্ব এবং আঞ্চলিক মানের থেকে উর্ধে।
শ্রীলংকায় শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের জাতীয় জীবন ও সংস্কৃতির একটি প্রধান অংশ এবং খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৩ সাল থেকে শ্রীলংকায় প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিটি ১৮দশ শতকের দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে একীকরণের মাধ্যমে আধুনিক ব্যবস্থায় একীভূত করা হয়। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থাটি দেশের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক পরিষদ উভয়েরই নিয়ন্ত্রণাধীন; কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ কিছু দায়িত্ব বহণ করে এবং প্রাদেশিক পরিষদ অন্যান্যগুলির জন্য স্বায়ত্তশাসনের অধীনে দায়িত্ব প্রাপ্ত।
প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]শ্রীলংকায় বিভিন্ন বয়সী ও স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও সম্পন্নের জন্য পৃথক পৃথক বিভাগ ও মন্ত্রণালয় নিয়োজিত রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শ্রীলংকার শিক্ষা ব্যবস্থার ২,৩০০ বছরেরও বেশি সময়ের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এমনটিই বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, ভারতবর্ষের সম্রাট অশোকের পাঠানো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে রাজা দেবনামপিয়া টিসার শাসনামলে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের কালেই উত্তর ভারত থেকে শ্রীলংকায় সংস্কৃত ভাষার আগমন ঘটে ছিলো। তারপর থেকেই বৌদ্ধ মন্দির এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক একটি শিক্ষা ব্যবস্থা দেশটিতে বিকশিত হতে থাকে, পরবর্তীতে প্রাথমিক (এমনকি বর্তমান সময়েও) এবং উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রেও তা প্রসারিত হয়। এই ব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায় শ্রীলংকার প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থ মহাবংশ এবং দ্বীপবংশ হতে যেটি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে রাজকুমার বিজয় এবং তার অনুগামীদের আগমনের সময় থেকে দ্বীপের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত।[৩]
দ্বীপে ঔপনিবেশিক শাসন সম্প্রসারণের প্রারম্ভে প্রথমে উপকূলীয় এলাকায় এবং পরবর্তীতে অভ্যন্তর ভাগে খ্রিস্টীয় মিশনারি দলগুলি শিক্ষা ব্যবস্থায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যাংগোলিক চার্চ সরকারি বিদ্যালয় ও শিক্ষায় একচেটিয়া কর্তৃৃৃত্ব বিস্তার করে যা ব্রিটিশ প্রশাসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোলব্রুক কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবসান ঘটানো হয়।
১৮৩৬ সালে কোলব্রুক কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সরকারি স্কুলগুলির জন্য একটি নির্ধারিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়। এটিকে দ্বীপটিতে সরকারি স্কুল পদ্ধতির প্রারম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি কলম্বোর রয়্যাল কলেজ (সাবেক কলম্বো একাডেমী) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু হয় এবং ব্রিটিশরা ঔপনিবেশিক যুগে অসংখ্য এক লৈঙ্গিক বিদ্যালয় গঠনের দ্বারা সম্প্রসারিত করে।[৪]
শিক্ষা পদ্ধতি
[সম্পাদনা]শ্রীলংকার শিক্ষা পদ্ধতির সংগঠন কাঠামো পাঁচ স্তর বিশিষ্টঃ প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ এবং উচ্চ পর্যায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Public spending on education, total (% of GDP)"। The World Bank।
- ↑ "Adult literacy rate, population 15+ years (both sexes, female, male)"। UIS Data Centre। UNESCO। আগস্ট ২০১৬। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Historical Overview of Education in Sri Lanka - Ancient Period (543 BC - 1500 AD) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে, Ministry of Education
- ↑ "Historical Overview of Education in Sri Lanka - The British Period: (1796 - 1948)"। Ministry of Education। ১১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০০৮।