রয় গিলক্রিস্ট
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রয় গিলক্রিস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট টমাস, জ্যামাইকা | ২৮ জুন ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৮ জুলাই ২০০১ পোর্টমোর, সেন্ট ক্যাথরিন, জ্যামাইকা | (বয়স ৬৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৩) | ৩০ মে ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৬–১৯৬২ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬২–১৯৬৩ | হায়দ্রাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ |
রয় গিলক্রিস্ট (ইংরেজি: Roy Gilchrist; জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ১৮ জুলাই, ২০০১) জ্যামাইকার সেন্ট টমাস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১৩ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা ও ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দ্রাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]৩০ মে, ১৯৫৭ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। ১৯৫৮ সালে কুইন্স পার্ক ওভালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। রয় গিলক্রিস্টের সাত ওভার পরপরই গোড়ালির আঘাতে কাবু হবার প্রেক্ষিতে অভিষেক ঘটা জ্যাসউইক টেলর ৩৬.৫ ওভার বোলিং করে ৫/১০৯ লাভ করেছিলেন।
ভারত গমন, ১৯৫৮-৫৯
[সম্পাদনা]গিলক্রিস্টের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন হয়তোবা আরও দীর্ঘস্থায়ীত্ব পেতো। কিন্তু, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ভারত সফরে জেরি আলেকজান্ডারের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ পর্যায়ে জ্যাসউইক টেলরের সাথে নতুন বলের জুটি গড়েন। তবে, দলীয় অধিনায়কের সাথে মতবিরোধের জের ধরে মাঝামাঝি সময়েই তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল।
ক্রিকইনফোসহ মাঠের বাইরে মতবিরোধের জের ধরে তার ১৮ গজ দূর থেকে বিমার ছোঁড়ার ঘটনা ব্যাপক প্রচারিত হয়।[১] বোলিং মার্ক থেকে চার গজ সামনে এসে এ বিমার ছুঁড়লে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়। নাগপুরে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যান এ. জি. কৃপাল সিং পরপর তিনবার বাউন্ডারি হাঁকালে বোলিং মার্কের ভিতরে প্রবেশ করে বাউন্সার মেরে শিখ ব্যাটসম্যানের মাথায় আঘাত হেনে রক্তাক্ত করেন।
উত্তর অঞ্চলের বিপক্ষে পরের খেলায় কেমব্রিজে পূর্ব-পরিচিত সরজিৎ সিংকে লক্ষ্য করে বিমার মারেন। তিনি অধিনায়কের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে এ আক্রমণ পরিচালনা করেন। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে আলেকজান্ডার তার পরিবর্তে অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে নামান ও তাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেন। দলের বাদ-বাকী সদস্যরা পাকিস্তান সফরের জন্য প্রস্তুতি নেন। দেশে ফেরার বিষয়ে আলেকজান্ডার তাকে বলেন যে, পরের বিমানে তুমি বাড়ি ফিরে যাবে। এভাবেই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও, আলেকজান্ডারকে লক্ষ্য করে ছোড়া উচিয়ে ধরেছিলেন বলে জানা যায়।[২]
ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ
[সম্পাদনা]টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সমাপণের পর ইংরেজ ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অনেকগুলো বছর খেলেন। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই শতাধিক উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সেখানেও তিনি সহিংস ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।
চারজন বোলারের একজনরূপে গিলক্রিস্ট পিচে বাউন্স মেরে সাইটস্ক্রিনে ফেলেন।[৩] তবে, স্কোরবহিতে কেবল তিনটি অতিরিক্ত রানের কথা উল্লেখ ছিল। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলা চলাকালীন স্ট্যাম্প তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের মাথা ফাটানোর ঘটনায়ও তিনি সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে পুনরায় ভারত সফরে যান। সেখানে তিনি হায়দ্রাবাদ ও দক্ষিণ অঞ্চলের পক্ষে খেলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৭ সালে স্ত্রী নভলিনকে নির্যাতনের ঘটনায় তিনমাসের জন্য কারাভোগ করতে হয়। বিচারক মামলায় উল্লেখ করেন, ‘আমার ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে কীভাবে এ নরপশুটি ইংরেজ ক্রীড়াকে কলুষিত করেছে। কেননা, এ ক্রীড়ায় সর্বদাই তাঁরা ভালো।’
১৮ জুলাই, ২০০১ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে সেন্ট ক্যাথরিন এলাকার পোর্টমোরে দূরারোগ্য পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে রয় গিলক্রিস্টের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Miller, Andrew; Williamson, Martin (৯ নভেম্বর ২০০৬)। "I fought the law"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ Daily Telegraph obituary of Alexander Retrieved 20 April 2011
- ↑ # ^ https://books.google.com/books?id=QakNM78bmm4C&pg=PA202&lpg=PA202&dq=sightscreen+%22roy+gilchrist%22&source=bl&ots=zvuj8pFjhB&sig=MqEFde5wTC388wF-T-js4elpRVY&hl=en&ei=7FanSeXGEqGbtweorIDnDw&sa=X&oi=book_result&resnum=2&ct=result
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- পলি উমরিগড়
- অপূর্ব সেনগুপ্ত
- এ. জি. কৃপাল সিং
- টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিকের তালিকা
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রয় গিলক্রিস্ট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রয় গিলক্রিস্ট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)