ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (কার্যকাল: ১৫ অগস্ট, ১৯৪৭ – ২৭ মে, ১৯৬৪)।[২] ১৯৫১ সালে ১৮ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর ভারতের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় প্রযুক্তিবিদ্যার প্রসারের লক্ষ্যে গবেষক ও সংগঠকদের একটি ২২ সদস্য দলের ভাবনার ফসল ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান।[৩] ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির দ্রুত অগ্রসরণ তথা ভারতের পারমাণবিক শক্তির বৃদ্ধি ঘটানো। এমনকি ১৯৭৪ সালের ১৮ মে পোখরাণে ভারতের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রপরীক্ষার পরেও এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকে।[৪]
এশিয়ায় গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে ভারত ১০% অর্থ খরচ করে থাকে। বিগত পাঁচ বছরে বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রকাশনার পরিমাণ ৪৫% অবধি বৃদ্ধি পেয়েছে।[৫] যদিও দেশের প্রাক্তন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিবালের মতে উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে।[৬] প্রতি দশ লক্ষ মানুষে ভারতে গবেষকের সংখ্যা ১৪০ জন; অন্যদিকে এই সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ৪,৬৫১।[৬] ২০০২-০৩ সালে ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।[৭] অন্যদিকে চিন এর চারগুণ অর্থ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৭৫ গুণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিল।[৭] তা সত্ত্বেও দেশের পাঁচটি ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) এশিয়াউইক পত্রিকার রেটিং অনুসারে এশিয়ার ১০টি সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হয়।[৮] একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতীয় বিজ্ঞান অর্থাভাবে ভোগে না। বরং যা তার ক্ষতিসাধন করে তা হল অপেশাদার অনুশীলন, কালো টাকা আয়ের প্রবণতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, হালকা প্রকাশনা ও কাঁচা গবেষণাপত্র, পদোন্নতির ভ্রান্ত নীতি, ম্যানেজমেন্টের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা, উন্নাসিকতা ও মস্তিষ্ক পাচার।[৯] যদিও ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের প্রকাশনা সংখ্যার বৃদ্ধির হার কয়েকটি প্রধান দেশের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত বর্ধনশীল।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ Burleson, D. (2005). Space Programs Outside the United States: All Exploration and Research Efforts, Country by Country. McFarland. 136. আইএসবিএন ০-৭৮৬৪-১৮৫২-৪
- ↑ Nanda 2006
- ↑ Vrat 2006
- ↑ Khan 2006
- ↑ Innovation in India
- ↑ ক খ "India lagging behind in S&Tt: Govt"।
- ↑ ক খ "India lagging in science and technology, says official"। scidev.net। ২৯ আগস্ট ২০০৬।
- ↑ "Asia's Best Science and Technology Schools."। ৩১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০০৯।
- ↑ "Indian science is not short of money" (পিডিএফ)।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Alexander, Steve. E-Commerce. (2006: from Computers and Information Systems). Encyclopedia Britannica 2008.
- Desai, Ashok V. (2006). "Information and other Technology Development" in Encyclopedia of India (vol. 2), edited by Stanley Wolpert. 269-273. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫১-০.
- Ketkar, Prafulla (2006). "European Union, Relations with (Science and technology)" in Encyclopedia of India (vol. 2), edited by Stanley Wolpert. 48-51. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫১-০
- Khan, Sultanat Aisha (2006). "Russia, relations with" in Encyclopedia of India (vol. 3), edited by Stanley Wolpert. 419-422. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫২-৯.
- Nanda, B. R. (2006). "Nehru, Jawaharlal" in Encyclopedia of India (vol. 3), edited by Stanley Wolpert. 222-227. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫২-৯.
- Prabhu, Joseph (2006). "Institutions and Philosophies, Traditional and Modern" in Encyclopedia of India (vol. 2), edited by Stanley Wolpert. 23-27. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫১-০
- Raja, Rajendran (2006). "Nuclear weapons testing and development" in Encyclopedia of India (vol. 3), edited by Stanley Wolpert. 253-254. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫২-৯.
- Sankar, U.(2007). The Economics of India's Space Programme, Oxford Universiy Press, New Delhi. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৮৩৪৫-৫.
- Sharma. Shalendra D.(2006). "Biotechnology Revolution" in Encyclopedia of India (vol. 1), edited by Stanley Wolpert. 154-157. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫০-২.
- Sharma, Shalendra D. (2006). "Globalization" in Encyclopedia of India (vol. 2), edited by Stanley Wolpert. 146-149. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫১-০
- Schwartzberg, Joseph E. (2008). India. Encyclopedia Britannica.
- Vrat, Prem (2006). "Indian Institutes of Technology" in Encyclopedia of India (vol. 2), edited by Stanley Wolpert. 229-231. Thomson Gale: আইএসবিএন ০-৬৮৪-৩১৩৫১-০
- Wolpert, Stanley (2008). India. Encyclopedia Britannica.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- India: Science and technology. U.S. Library of Congress.
- Indian National Science Academy (2001). Pursuit and promotion of science: The Indian Experience. Indian National Science Academy.