ফিফা ১০০
ফিফা ১০০ (ইংরেজি: FIFA 100) ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ও বিশ্ব ফুটবলের জীবিত কিংবদন্তি পেলের পছন্দ অনুযায়ী বিশ্বসেরা জীবিত ফুটবলারদের তালিকাবিশেষ। এ তালিকাটি ৪ মার্চ, ২০০৪ সালে লন্ডনে ফিফা'র এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানটি ছিল বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা'র শতবর্ষ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই মূলতঃ এ তালিকা প্রণয়ন।
এখানে ১০০ সংখ্যার মাধ্যমে ফিফার শত বর্ষ পূর্তিকে বুঝানো হয়েছে। খেলোয়াড়দের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে ১২৫জন। ফিফা কর্তৃপক্ষ পেলেকে ৫০ জন ঐ সময়ে বর্তমান ফুটবল মহারথী ও ৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের তালিকাসহ মোট ১০০জন খেলোয়াড়কে তালিকায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল থেকে সাবেক খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৫০ জনে সীমাবদ্ধ রাখা প্রকৃতপক্ষে খুবই কঠিন ও দূরূহ ব্যাপার ছিল।[১] তালিকায় ১২৩ জন পেশাদার পুরুষ ও ২ জন নারী ফুটবলারকে রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫০ জন সক্রিয় খেলোয়াড় ও ৭৫ জন অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ফিফা ১০০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]কিছু ফুটবলপ্রেমী মহল এ তালিকা প্রণয়ন ও রূপরেখা নিয়ে প্রশ্ন করেন। ফুটবল বিশারদ ও সাবেক রাজনীতিবিদ ডেভিড মেলর ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় ফিফা ১০০ নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। তার মতে, প্রকৃত ফুটবলারদের মাঠের বাইরে রেখে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের এ তালিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৈরী করা হয়েছে।[২] তিনি আরও বলেন যে, পেলের নির্বাচনের ধরনটি ফিফা অধিকর্তা সেপ ব্লাটারের কলম থেকেই বেশি এসেছে। বিশ্বের ভৌগোলিক সীমারেখা থেকে খেলোয়াড়দের তালিকা প্রণীত হয়নি। দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপকে ঘিরেই এ তালিকা তৈরী করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। উদাহরণস্বরূপ এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে মাত্র সাতজন খেলোয়াড়ের নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিবিসি'র নিবন্ধ রচয়িতা টিম ভিকেরিও একই প্রশ্নসূচক অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।[৩]
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ও পেলের সাথী গারসন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ব্রাজিলের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজ দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেন। মার্কো ভ্যান বাস্তেন এবং উই সিলার - উভয়েই নৈতিকতার প্রশ্নে এ তালিকায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Fifa names greatest list". BBC. 4 March 2004. Retrieved 30 April 2007.
- ↑ Mellor, David (৫ মার্চ ২০০৪)। "Sing up for Ken, a true Blues man"। Evening Standard Ltd.। পৃষ্ঠা 77। line feed character in
|কর্ম=
at position 17 (সাহায্য); - ↑ Vickery, Tim (৮ মার্চ ২০০৪)। "Pele pays price for popularity"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Davies, Christopher (৪ মার্চ ২০০৪)। "Pele open to ridicule over top hundred"। The Daily Telegraph। UK। ১৩ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।