প্রমিলা প্যাটেন
প্রমিলা প্যাটেন | |
---|---|
সংঘাতে যৌন সহিংসতা সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১২ এপ্রিল ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | জয়নাব বাঙ্গুরা |
সদস্য জাতিসংঘের নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কমিটি | |
কাজের মেয়াদ ২০০৩ – ২০১৭ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ব্রিটিশ মরিশাস | ২৯ জুন ১৯৫৮
জাতীয়তা | মরিশাসীয় |
পেশা | আইনজীবী |
প্রমিলা প্যাটেন (জন্ম:২৯ জুন ১৯৫৮) একজন মরিশাসীয়-ব্রিটিশ ব্যারিস্টার, নারী অধিকার কর্মী এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তা, যিনি বর্তমানে সংঘাতে যৌন সহিংসতা সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন; তিনি ২০১৭ সালে নিযুক্ত হন। হিলারি ক্লিনটন প্রবর্তিত নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৮৮৮ দ্বারা তার অফিস প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি মার্গট ওয়ালস্ট্রোম এবং জয়নব বাঙ্গুরার স্থলাভিষিক্ত হন।
প্যাটেন ২০০৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। [১]
জীবন
[সম্পাদনা]প্রমিলা প্যাটেন আইন বিষয়ে স্নাতক (এলএলবি) ডিগ্রি অর্জন করেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, অপরাধবিজ্ঞানে একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন কিংস কলেজ, কেমব্রিজ থেকে এবং আইন বিষয়ে মাস্টার্স (এলএলএম) ডিগ্রি অর্জন করেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি মরিশাসে ফিরে আসার আগে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টার হিসাবে অনুশীলন করেছিলেন। মরিশানে তিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ এর মধ্যে জেলা আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে প্রভাষক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে, তিনি আইন সংস্থা প্যাটেন অ্যান্ড কো চেম্বার্সের পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন।
তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স রাইট অ্যাকশন ওয়াচের সদস্য ছিলেন এবং ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি মহিলা অধিকার, শিশু উন্নয়ন ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন পরামর্শদাতা ছিলেন।
২০০৩ সালে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির সদস্য হিসেবে প্যাটেন নির্বাচিত হন। মাঝে মাঝে, তিনি কমিটির ভাইস চেয়ারপারসন হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন এবং ১২ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস তাকে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল পদে সংঘাতে যৌন সহিংসতার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেন। [১][২]
২০১৭ সালের নভেম্বরে, তিনি মিয়ানমারে ২০১৬ সালের রোহিঙ্গা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এমন মহিলাদের সাক্ষাৎকার নিতে বাংলাদেশ সফর করেন। [৩]
একই মাসে, তিনি জাতিসংঘের সহ-মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মহিলা নির্বাহী পরিচালক ফুমজিল ম্লাম্বো-এনগুকা এর সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে শান্তিরক্ষা অভিযানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এলসির উদ্যোগকে স্বাগত জানান। [৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Ms. Pramila Patten of Mauritius – Special Representative of the Secretary-General on Sexual Violence in Conflict, United Nations Secretary-General
- ↑ About the Office
- ↑ UN Gathers Horror Stories from Rohingya Women Fleeing Myanmar, Voice of America
- ↑ Joint Statement by Phumzile Mlambo Ngcuka and Pramila Patten on the launch of the Elsie Initiative, UN Women