বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রবেশদ্বার:জ্যামাইকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জ্যামাইকা প্রবেশদ্বার

জ্যামাইকার পতাকা জামাইকার বাহিনীর আচ্ছাদন
বিশ্ব মানচিত্রে অবস্থান

জ্যামাইকা বা জামাইকা (ইংরেজি: Jamaica /əˈmkə/ (শুনুন)) ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। জ্যামাইকার আয়তন ১০,৯৯১ বর্গকিলোমিটার (৪,২৪৪ মা), এটি বৃহৎ অ্যান্টিলিস এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে (কিউবা এবং হিস্পানিয়োলার পরে) তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। জ্যামাইকা কিউবার দক্ষিণে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মা) এবং হিস্পানিয়োলা থেকে (হাইতি এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের দ্বীপের) ১৯১ কিলোমিটার (১১৯ মা) পশ্চিমে অবস্থিত; ব্রিটিশ শাসিত কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার (১৩৪ মা) পর্যন্ত বিস্তৃত।

মূলত আদিবাসী তাইনো জনগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের দখল থেকে দ্বীপটি ১৪৯৪ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আগমনের পরে স্পেনের শাসনাধীন হয়েছিল। অনেক আদিবাসীকে হত্যা করা হয়েছিল বা এমন রোগে মারা গিয়েছিল যার প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের ছিল না, তারপরে স্পেনীয়রা তখন প্রচুর সংখ্যক আফ্রিকান দাসকে জ্যামাইকাতে শ্রমিক হিসাবে নিয়ে এসেছিল। ১৬৫৫ সাল পর্যন্ত দ্বীপটি স্পেনের দখলে ছিল, যখন ইংল্যান্ড (পরে গ্রেট ব্রিটেন) এটি জয় করে, এর নাম পরিবর্তন করে জ্যামাইকা রেখেছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে জামাইকা আফ্রিকান দাস এবং পরবর্তীকালে তাদের বংশধরের উপর নির্ভরশীল একটি উপনিবেশিক অর্থনীতিতে শীর্ষস্থানীয় চিনি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশরা ১৮৩৮ সালে সমস্ত ক্রীতদাসকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি দিয়েছিল এবং অনেক স্বাধীনতাকামী ব্যক্তি উপনিবেশের হয়ে কাজ করার পরিবর্তে জীবিকার জন্য খামারের কাজকে বেছে নিয়েছিল। ১৮৪০ দশকের শুরুতে, ব্রিটিশরা চীনা এবং ভারতীয় শর্তাবদ্ধ শ্রম ব্যবস্থা ব্যবহার করে উপনিবেশে কাজ দেওয়া শুরু করেছিল। দ্বীপটি ১৯৬২ সালের ৬ই আগস্ট যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

২.৯ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যা নিয়ে জ্যামাইকা আমেরিকার তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল ইংরেজভাষী দেশ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার পরে) এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে চতুর্থ জনবহুল দেশ। কিংস্টন দেশটির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। জ্যামাইকানদের বেশিরভাগ হল সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা বংশোদ্ভূত, এছাড়াও ইউরোপীয়, পূর্ব এশীয় (প্রাথমিকভাবে চীনা), ভারতীয়, লেবানীয় এবং মিশ্র-জাতি সংখ্যালঘু উল্লেখযোগ্য। ১৯৬০ দশক থেকে কাজের জন্য উচ্চ অভিবাসনের কারণে, বিশেষ করে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জ্যামাইকার বৃহৎ অভিবাসী রয়েছে। দেশটির একটি বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে যা তার ছোট আকারকে অস্বীকার করে; এটি রাস্তাফারি ধর্মের জন্মস্থান ছিল, রেগে সংগীত (এবং ডাব, স্কা এবং ড্যান্সহল সম্পর্কিত ধারাগুলি) এবং এটি খেলাধুলায়, বিশেষত ক্রিকেট, স্প্রিন্ট (দৌড় বিশেষ) এবং মল্লক্রীড়ায় আন্তর্জাতিকভাবে লক্ষণীয়।

জ্যামাইকা একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং এর অর্থনীতির পর্যটন নির্ভর; এখানে বছরে গড়ে ৪.৩ মিলিয়ন পর্যটক আসেন। রাজনৈতিকভাবে এটি একটি কমনওয়েলথ রাজ্য, যার রানী হিসাবে দ্বিতীয় এলিজাবেথ আছেন। দেশে তাঁর নিযুক্ত প্রতিনিধি হলেন জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, এটি ২০০৯ সাল থেকে প্যাট্রিক অ্যালেনের অধীনস্থ একটি অফিসে কার্যক্রম পরিচালিত করছে। অ্যান্ড্রু হলনেস ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জামাইকার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জ্যামাইকা একটি সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র যাতে জ্যামাইকার দ্বি-সংসদের সংসদে ন্যস্ত আইনী ক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিযুক্ত সিনেট এবং সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস) রয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত নিবন্ধ - অন্য দেখুন

১৯৮০ সালে বব মার্লি সঙ্গীত পরিবেশন করছেন
রেগে (ইংরেজি: Reggae) এক প্রকার সঙ্গীত ধারা যা জ্যামাইকাতে ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে বিকাশ লাভ করে। রেগে বলতে আসলে বৃহৎ অর্থে জ্যামাইকার সঙ্গীতকে বোঝালেও আসলে তা স্কারকস্টেডি নামের দু’টি ধারার মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে। রেগে সঙ্গীতের এক ধরনের ছান্দিক ভংগি যা স্কার চেয়ে ধীর গতির, আবার রকস্টেডির চেয়ে দ্রুতগতির। রেগে শব্দটি প্রথম সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় ১৯৬৮ সালে দ্যা ম্যাতালসের রকস্টেডি ধারার জনপ্রিয় গান ‘’’ডু দ্যা রেগে’’’-এর মাধ্যমে। রেগে শিল্পী ডেরিক মরগান বলেনঃ ‘’ আমরা রকস্টেডি নামটা পছন্দ করি না। তাই আমি অন্য ধরনের ফ্যাট ম্যান-এর চেষ্টা করছি। এটা বিটকে আবার পরিবর্তন করেছে, যা অর্গানকে নিঃশব্দ করছে। প্রযোজক বানি লি এটা পছন্দ করছেন। অর্গান ও রিদম গিটারের মাধ্যমে তিনি শব্দ তৈরি করছেন। এটা শোনাচ্ছে ‘’রেগে, রেগে’’-এর মতো। বানি লি এই শব্দটা তৈরি করেছিল এবং শীঘ্রই সব মিউজিশিয়ান বলতে শুরু করেছিল ‘’রেগে, রেগে, রেগে’’। বব মার্লি বলেন যে রেগে শব্দটা এসেছে একটা স্প্যানিশ শব্দ থেকে যার অর্থ রাজার সঙ্গীত। যদিও আফ্রিকানআমেরিকান জ্যাজ এবং পুরানো কালের রিদম এ্যান্ড ব্লুজের মাধ্যমে রেগে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত, কিন্তু তা আসলে স্কারকস্টেডি নামের দু’টি ধারার সঙ্গীতের উন্নতির ফলে জন্ম নেয় ১৯৬০-এর দশকের। ১৯৬৮ সালে প্রথম রেগে ধারার গানের রেকর্ড বের হয়, যা ছিল ল্যারি মার্শালের নানি গোট এবং দ্যা বেল্টনের নো মোর হার্ট টাচেস। সে সময়ে রক সঙ্গীতে রেগের প্রভাব দেখা যায় দ্যা বিটলসের অব-লা-দি, অব-লা-দি। বব মার্লি, পিটার টোস এবং বানি ওয়েলারের ব্যান্ড দ্যা ওয়েলারস ১৯৬৩ সালে গঠিত হয় যারা জ্যামাইকার জনপ্রিয় সঙ্গীতে তিনটি ধারা রেগে, স্কারকস্টেডির সফল বিবর্তন ঘটায়। ১৯৭৪ সালে এরিক ক্ল্যাপটনের গান আই শুট দ্যা শেরিফ যা আগে বব মার্লি গেয়েছিল, রেগে ধারার গানকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত জীবনী - অন্য দেখুন

১৯৮০ সালের কনসার্টে বব মার্লে।
বব মার্লে (জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫ - মৃত্যু: ১১ মে, ১৯৮১) জামাইকান রেগে শিল্পী, গীটার বাদক, গীতিকার। 'বাফেলো সোলজার', 'নো,ওম্যান, নো ক্রাই', 'গেট আপ স্ট্যান্ড আপ', 'ব্ল্যাক প্রগ্রেস'-এর মতো অনেক ভুবনকাঁপানো গান দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন বব মার্লে। অবহেলিত মানুষের অধিকার নিয়ে গান গাওয়ায় অনেকের প্রিয় মানুষে পরিণত হয়েছিলেন মার্লে। নিজের গানে নানা ক্ষোভ ও সমস্যার কথা বলে মন জয় করেছিলেন তরুণদের। মার্লে ও তার ব্যান্ড ওয়েলার্স ১৯৭৪ সালে 'বার্নিন' নামে যে অ্যালবামটি নিয়ে আসে তাতে ছিল বিখ্যাত গান 'গেট আপ অ্যান্ড স্ট্যান্ড আপ'। ষাট ও সত্তরের দশকে দেশে দেশে উত্তাল জাতীয়তাবাদী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনে বিদ্রোহী মানুষের বুকে সাহস জুগিয়েছে এ গান। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

ভালো নিবন্ধ - অন্য দেখুন

এটি একটি ভালো নিবন্ধ, একটি নিবন্ধ যা উচ্চ সম্পাদকীয় মানের একটি মূল ধারা পূরণ করে।

জ্যামাইকা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Jamaica national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জ্যামাইকার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জ্যামাইকা ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২৫ সালের ২২শে মার্চ তারিখে, জ্যামাইকা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; হাইতির পর্তোপ্রাঁসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জ্যামাইকা হাইতিকে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।

৩৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট জ্যামাইকা স্বাধীনতা স্টেডিয়ামে রেগে বয়েজ নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন থিওডোর ওয়াইটমোর এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের গোলরক্ষক আন্দ্রে ব্লেক। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত ছবি - অন্য দেখুন

কৃতিত্ব: রয়্যাল মিন্ট
১৯৪০ সালের জ্যামাইকা ১০ শিলিং নোট


আপনি কি জানেন


নির্বাচিত তালিকাসমূহ


বিষয়শ্রেণীসমূহ

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের প্রবেশদ্বার:


সম্পর্কিত উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে জ্যামাইকা
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে জ্যামাইকা
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে জ্যামাইকা
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে জ্যামাইকা
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

প্রবেশদ্বার

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন