বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রত্ন-গ্রিক ভাষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভ্লাদিমির আই. জর্জিয়েভ এর দ্বারা খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের প্রত্ন-গ্রিক অঞ্চল এর পুনর্গঠন।[]

প্রত্ন-গ্রিক ভাষা (Proto-Greek language, প্রত্ন-হেলেনীয় বা Proto-Hellenic নামেও পরিচিত) একটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। এই ভাষাটিকে বর্তমান গ্রিক ভাষার বিভিন্ন প্রকরণের শেষ সাদারণ পূর্বপুরুষ হিসেবে ধরা হয়, যেসব ভাষার মধ্যে মাইসিনীয় গ্রিক ও পরবর্তীকালে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রাচীন গ্রিক উপভাষা রয়েছে (যেমন, অ্যাটীয়, আওনীয়, অ্যাওলীয়, ডোরীয়, প্রাচীন মেসিডোনীয়আর্কাডোসাইপ্রীয়) এবং চূড়ান্তভাবে কোইনে, বাইজান্টাইনআধুনিক গ্রিক ভাষা। প্রত্ন-গ্রিকদের একতাবদ্ধ হবার কারণ হচ্ছে হেলেনীয় অভিপ্রায়ণকারীরা, যারা মাইসিনীয় ভাষাসমূহের পূর্ববর্তী ভাষায় কথা বলত, তারা ব্রোঞ্জযুগের কোন এক সময়ে গ্রিক উপদ্বীপে প্রবেশ করে।[]

উদ্ভব

[সম্পাদনা]

প্রত্ন-গ্রিক ভাষা উৎপত্তিগত ভাবে প্রত্ন-ইন্দো ইউরোপীয় ভাষার একটি উপভাষা ছিল। শেষ নব্যপ্রস্তর যুগে, এই উপভাষাভাষীগণ যারা প্রত্ন-গ্রিকে পরিণত হবে, তারা তাদের আবাসস্থল কৃষ্ণসাগরের উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে বলকান অঞ্চল ও গ্রিক উপদ্বীপে অভিপ্রায়ণ করে। প্রত্ন-গ্রিকদের বিবর্তনকে প্রাথমিক প্যালিও-বলকান ভাষাস্থান এর আওতায় বিবেচনা করা হয়, যার ফলে বিভিন্ন ভাষার মধ্যে প্রকৃত সীমারেখা টানা কঠিন হয়ে যায়।[] গ্রিক ভাষাসমূহের একটি চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য হল আদিস্বরাগমের দ্বারা শব্দের শুরুতে স্বরযন্ত্রীয় উচ্চারণ, যা আর্মেনীয় ভাষাসমূহের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। আর্মেনীয় ভাষাসমূহ গ্রিক ভাষার আরও কিছু ধ্বনিতাত্ত্বিক ও শব্দতাত্ত্বিক বিষয়ও দেখা যায় যা অন্য কোন ভাষায় পাওয়া যায় না। এজন্য কোনো কোনো ভাষাতাত্ত্বিক গ্রিক ও আর্মেনীয় ভাষাসমূহের মধ্যকার অনুকল্পিত নিকট সম্পর্ক প্রস্তাব করেন, যদিও এর প্রমাণ খুব অল্প।[]

প্রত্ন-গ্রিক ভাষা প্রধাণত প্রাথমিক হেলাডীয় যুগে (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দের শেষ দিকে, আনু. খ্রিস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দে) তৈরি হয়, যা ছিল দক্ষিণ ইউরোপে নব্যপ্রস্তর যুগের শেষের দিকে।[][] ইভো হ্যাজনালের মতে খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ অব্দের পূর্বে প্রত্ন-গ্রিক ভাষা থেকে গ্রিক উপভাষাগুলোর উল্লেখযোগ্য পৃথকীকরণ হয়নি।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Georgiev 1981, p. 156: "The Proto-Greek region included Epirus, approximately up to Αὐλών in the north including Paravaia, Tymphaia, Athamania, Dolopia, Amphilochia, and Acarnania), west and north Thessaly (Hestiaiotis, Perrhaibia, Tripolis, and Pieria), i.e. more or less the territory of contemporary northwestern Greece)." অনুবাদ - "প্রত্ন-গ্রিক ভাষার অঞ্চল ছিল উত্তরে আউলাস পর্যন্ত এপিরাস, পারাভিয়া, টিমফাইয়া, আথামেনিয়া, ডোলপিয়া, অ্যম্ফিলোকিয়া এবং আকারনানিয়া, পশ্চিম ও উত্তর থেসালি (হেস্টিয়াইওটিস, পেরাইবিয়া, ট্রিপলিস, ও পিয়েরিয়া), অর্থাৎ মোটামুটিভাবে বর্তমান উত্তরপশ্চিম গ্রিস।"
  2. A comprehensive overview in J.T. Hooker's Mycenaean Greece (Hooker 1976, Chapter 2: "Before the Mycenaean Age", pp. 11–33 and passim); for a different hypothesis excluding massive migrations and favoring an autochthonous scenario, see Colin Renfrew's "Problems in the General Correlation of Archaeological and Linguistic Strata in Prehistoric Greece: The Model of Autochthonous Origin" (Renfrew 1973, পৃ. 263–276, especially p. 267) in Bronze Age Migrations by R.A. Crossland and A. Birchall, eds. (1973).
  3. Renfrew 2003, পৃ. 35: "Greek The fragmentation of the Balkan Proto-Indo-European Sprachbund of phase II around 3000 BC led gradually in the succeeding centuries to the much clearer definition of the languages of the constituent sub-regions.", অনুবাদ - "প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের দ্বিতীয় পর্যায়ের বকলান প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাস্থানের খণ্ডীকরণের ফলে পরবর্তী শতকগুলোতে উপাঞ্চলগুলোর ভাষাসমূহের অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট সংজ্ঞা তৈরি হয়।"
  4. Clackson 1995.
  5. Vladimir I. Georgiev, for example, placed Proto-Greek in northwestern Greece during the Late Neolithic period. (Georgiev 1981, p. 192: "Late Neolithic Period: in northwestern Greece the Proto-Greek language had already been formed: this is the original home of the Greeks.")
  6. Coleman 2000, পৃ. 101–153.
  7. Hajnal, Ivo (২০০৭)। "Die Vorgeschichte der griechischen Dialekte: ein methodischer Rück- und Ausblick"। Hajnal, Ivo; Stefan, Barbara। Die altgriechischen Dialekte. Wesen und Werden. Akten des Kolloquiums Freie Universität Berlin 19.–22. September 2001 (জার্মান ভাষায়)। Innsbruck, Austria: Institut für Sprachen und Literaturen der Universität Innsbruck। পৃষ্ঠা 136।