বিষয়বস্তুতে চলুন

পূর্ব তিমুর জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পূর্ব তিমুর
দলের লোগো
ডাকনামউড়ন্ত সূর্য
অ্যাসোসিয়েশনপূর্ব তিমুর ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচনরিও সুকিতাতে
অধিনায়কনাতানিয়েল দে হেসুস রেইস
সর্বাধিক ম্যাচআঙ্গিসু বারবোসা (৩০)
শীর্ষ গোলদাতারুফিনো গামা (৭)
মাঠপূর্ব তিমুর জাতীয় স্টেডিয়াম
ফিফা কোডTLS
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২০০ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ১৪৬ (জুন ২০১৫)
সর্বনিম্ন২০৬ (অক্টোবর ২০১২)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৩১ হ্রাস ২ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ২১৪ (নভেম্বর ২০১৫)
সর্বনিম্ন২৩০ (নভেম্বর ২০১৬)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 শ্রীলঙ্কা ৩–২ পূর্ব তিমুর 
(কলম্বো, শ্রীলঙ্কা; ২১ মার্চ ২০০৩)[]
বৃহত্তম জয়
 পূর্ব তিমুর ৫–১ কম্বোডিয়া 
(ইয়াঙ্গুন, মিয়ানমার; ৫ অক্টোবর ২০১২)
বৃহত্তম পরাজয়
 পূর্ব তিমুর ০–১০ সৌদি আরব 
(দিলি, পূর্ব তিমুর; ১৭ নভেম্বর ২০১৫)
এএফসি সলিডারিটি কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০১৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০১৬)
এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ২ (২০০৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৪, ২০১৮)

পূর্ব তিমুর জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Timor-Leste national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম পূর্ব তিমুরের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পূর্ব তিমুর ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ২০০৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০০৩ সালের ২১শে মার্চ তারিখে, পূর্ব তিমুর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে পূর্ব তিমুর শ্রীলঙ্কার কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পূর্ব তিমুর জাতীয় স্টেডিয়ামে উড়ন্ত সূর্য নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন নরিও সুকিতাতে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন পোর্তু তাইবেসের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় নাতানিয়েল দে হেসুস রেইস

পূর্ব তিমুর এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও পূর্ব তিমুর এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, এএফসি সলিডারিটি কাপে পূর্ব তিমুর এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।

আঙ্গিসু বারবোসা, হেনরিকে উইলসন, হোসে ফোন্সেকা, রুফিনো গামা এবং জোয়াও পেদ্রোর মতো খেলোয়াড়গণ পূর্ব তিমুরের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক যুগে পূর্ব তিমুরের ফুটবল প্রতিষ্ঠিত হয়, উক্ত সমত অনেক স্থানীয় এবং পর্তুগিজ কর্মকর্তা অপেশাদার ফুটবল খেলতেন। পর্তুগাল তার ঔপনিবেশিক শাসন শেষ করার পর, ইন্দোনেশিয়া আক্রমণ করে দ্বীপ দখল করে। পূর্ব তিমুর অবশেষে জাকার্তার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর, ২০০০ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে, যার ফলে শুরু হয়।

২০০২ সালে ২০তম এএফসি কংগ্রেসে পূর্ব তিমুর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সহযোগী সদস্য হিসেবে যোগদান করে। তাদের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২০০৩ সালের মার্চের ২১ তারিখে, যখন তারা চীনে অনুষ্ঠিত ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে। তাদের ইতিহাস দেখে, এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে তারা উক্ত প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা এবং চীনা তাইপেই জাতীয় ফুটবল দলচীনা তাইপেইর মতো দলের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। তারা ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, উক্ত প্রতিযোগিতায় তারা আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে আসিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে (পূর্বে টাইগার কাপ নামে পরিচিত) অংশগ্রহণ করে।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে পূর্ব তিমুর তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৪৬তম) অর্জন করে এবং ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে পূর্ব তিমুরের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২১৪তম (যা তারা ২০১৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৩০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৯৮ অপরিবর্তিত  সোমালিয়া ৮৪৫.৬৬
১৯৯ অপরিবর্তিত  সেশেলস ৮৪৫.৫৩
২০০ অপরিবর্তিত  পূর্ব তিমুর ৮৪৩.৪
২০১ অপরিবর্তিত  জিব্রাল্টার ৮৪০.৮
২০২ অপরিবর্তিত  বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ৮৩৫.৮১
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২২৯ বৃদ্ধি  ভুটান ৬২০
২৩০ হ্রাস  মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৬১৩
২৩১ হ্রাস  পূর্ব তিমুর ৬১০
২৩২ অপরিবর্তিত  ব্রুনাই ৫৯৫
২৩৩ অপরিবর্তিত  ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ৫৭১

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ পর্তুগালের অংশ ছিল পর্তুগালের অংশ ছিল
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ইন্দোনেশিয়ার অংশ ছিল ইন্দোনেশিয়ার অংশ ছিল
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
জার্মানি ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ উত্তীর্ণ হয়নি ১১
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১০ ৫০
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২২ ১৪ ১৪ ৬৮

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "East Timor matches, ratings and points exchanged"। World Football Elo Ratings: East Timor। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]