দেব রাজবংশ
দেব রাজবংশ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী–খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী | |||||||||
রাজধানী | বিক্রমপুর | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | সংস্কৃত বাংলা | ||||||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম | ||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||
• গ্রামীণ প্রধান | পুরুষোত্তমদেব | ||||||||
• নৃপতি | মধুসূদনদেব | ||||||||
• | বাসুদেব | ||||||||
• ভূপতি | দামোদরদেব | ||||||||
• | দশরথদেব | ||||||||
• | বিক্রমাদিত্য দেব | ||||||||
মহারাজা | |||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | মধ্যযুগীয় ভারত | ||||||||
• প্রতিষ্ঠা | খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী | ||||||||
• বিলুপ্ত | খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী | ||||||||
|
বাংলার ইতিহাস |
---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ |
দেব রাজবংশ (খ্রিস্টীয় ১২শ-১৩শ শতাব্দী) ছিল মধ্যযুগীয় বঙ্গের একটি বাঙালি হিন্দু রাজবংশ। সেন রাজবংশের পরে পূর্ববঙ্গে এই রাজবংশ রাজত্ব করেছিল। দেব রাজবংশের রাজধানী ছিল অধুনা বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। এই রাজবংশের সমাপ্তির সঠিক সময়কাল এবং কারণ জানা যায় না।
ইতিহাসে দুটি দেব রাজবংশের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রথমটি খ্রিস্টীয় ৮ম-৯ম শতাব্দীতে প্রাচীন বাংলার সমতট অঞ্চলে রাজত্বকারী রাজবংশ। যার রাজধানী ছিল কুমিল্লার দেবপর্বত। আর দ্বিতীয় দেব রাজবংশটি ছিল একটি হিন্দু বৈষ্ণব রাজবংশ যার রাজধানী ছিল বিক্রমপুর। শিলালিপি থেকে অষ্টম শতাব্দীর দেব রাজবংশের চারজন রাজার নাম পাওয়া যায়: শান্তিদেব, বীরদেব, আনন্দদেব ও ভবদেব। মহারাজ আনন্দদেবের কুমিল্লার ময়নামতি তাম্রশাসন থেকে জানা যায় অষ্টম শতাব্দীর দেব রাজারা "শ্রী বাঙ্গালা মৃগাঙ্ক" উপাধি ব্যবহার করতেন যার অর্থ বাংলার চন্দ্র। [১][২] দেব শাসন প্রকৃতপক্ষে শান্তি , সমৃদ্ধি , এবং সৃজনশীল শ্রেষ্ঠত্ব একটি নির্দিষ্ট সময়ের ছিল , এবং এই রাজ্যকালকে প্রাচীন বাংলার ' স্বর্ণযুগ ' মনোনীত করা যেতে পারে।[৩]
রাজা
[সম্পাদনা]১১৫৬, ১১৫৮ ও ১১৬৫ শতাব্দে রাজা দামোদরদেব যে তিনটি তাম্রলিপি খোদাই করিয়েছিলেন (তাঁর রাজত্বের ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ১৩শ বছরে) তা থেকেই এই রাজবংশের ইতিহাস জানা যায়। ১১৬৫ শতাব্দের দামোদরদেবের চট্টগ্রাম তাম্রলিপি থেকে এই রাজবংশের প্রথম তিন রাজার কথা জানা যায়।যদিও এই রাজবংশ সম্পর্কে অনেক কাল্পনিক কাহিনী আছে , তবে তার কোন শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় না। এই রাজবংশের প্রথম রাজা ছিলেন পুরুষোত্তমদেব। তিনি ছিলেন গ্রাম-প্রধান বা "গ্রামণী"। তাঁর পুত্র মধুমথন বা মধুসূদন্দেব ছিলেন এই রাজবংশের প্রথম সার্বভৌম রাজা। তিনি "নৃপতি" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পুত্র ছিলেন ছিলেন বাসুদেব। বাসুদেবের পুত্র ছিলেন দামোদরদেব (শাসনকাল ১২৩১-৪৩ খ্রিস্টাব্দ) তিনি ছিলেন এই রাজবংশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা। তিনি "অরিরাজ-চানূর-মাধব-সকল-ভূপতি-চক্রবর্তী" উপাধি গ্রহণ করেছিলে। কুমিল্লা তাম্রলিপি থেকে জানা যায়, তাঁর রাজ্য আধুনিক বাংলাদেশের কুমিল্লা-নোয়াখালি-চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রসারিত ছিল। পরবর্তীকালে "অরিরাজ-দনুজ-মাধব" দশরথদেব নামে এক রাজা এই রাজ্যকে বিক্রমপুর পর্যন্ত প্রসারিত করে সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন।[৪] তিনি এখানে একটি লেখ স্থাপন করেছিলেন। ইয়াহিয়া বিন আহমেদ তাঁর তারিখ-ই-মুবারক শাহি গ্রন্থে উল্লেখ করেন, তিনি (ইয়াহিয়া তাঁকে সোনারগাঁওয়ের দনুজ রায় বলে উল্লেখ করেন) ১২৮১ সালে গিয়াসুদ্দিন বলবনের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে তার ভাই বিক্রমাদিত্য দেব রাজ্যসীমার পূব অংশে স্থানান্তর করেন। নথিভুক্ত তথ্য থেকে এই পযন্ত জানা যায়। [৫]
পূর্বসূরী সেন রাজবংশ |
বাংলার রাজবংশ | উত্তরসূরী মামলুক রাজবংশ |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]References
[সম্পাদনা]- ↑ Gold coins of the World।
- ↑ "Copperplates, Banglapedia"।
- ↑ বাংলাপিডিয়ায় দেব রাজবংশ
- ↑ Roy, Niharranjan (1993). Bangalir Itihas: Adiparba Calcutta: Dey's Publishing, ISBN 81-7079-270-3, pp.408-9
- ↑ Majumdar, R.C. (ed.) (2006). The Delhi Sultanate, Mumbai: Bharatiya Vidya Bhavan, p.622