বিষয়বস্তুতে চলুন

থাইল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থাইল্যান্ড
দলের লোগো
ডাকনামช้างศึก (যুদ্ধ হাতি)
অ্যাসোসিয়েশনথাইল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচআকিরা নিশিনো
অধিনায়কসিওয়ারাক তেদসুংনোয়েন
সর্বাধিক ম্যাচকিয়াতিসুক সেনামুয়াং (১৩৪)
শীর্ষ গোলদাতাকিয়াতিসুক সেনামুয়াং (৭১)
মাঠরাজামঙ্গলা স্টেডিয়াম
ফিফা কোডTHA
ওয়েবসাইটfathailand.org
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
তৃতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১১৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ৪৩ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)
সর্বনিম্ন১৬৫ (অক্টোবর ২০১৪)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১১০ অপরিবর্তিত (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ৬২ (জানুয়ারি ২০০১)
সর্বনিম্ন১৩৭ (এপ্রিল ১৯৮৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 থাইল্যান্ড ১–৬ প্রজাতন্ত্রী চীন 
(ব্যাংকক, থাইল্যান্ড; ২০ আগস্ট ১৯৪৮)[]
বৃহত্তম জয়
 থাইল্যান্ড ১০–০ ব্রুনাই 
(ব্যাংকক, থাইল্যান্ড; ২৪ মে ১৯৭১)
বৃহত্তম পরাজয়
 যুক্তরাজ্য ৯–০ থাইল্যান্ড 
(মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া; ৩০ নভেম্বর ১৯৫৬)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ২ (১৯৭০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (১৯৭০, ২০১০)
এএফসি এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ৭ (১৯৭২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যতৃতীয় স্থান (১৯৭২)
এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ১২ (১৯৯৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৯৬, ২০০০, ২০০২, ২০১৪, ২০১৬)

থাইল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল (থাই: ฟุตบอลทีมชาติไทย) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম থাইল্যান্ডের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাইল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[] ১৯৪৮ সালের ২০শে আগস্ট তারিখে, থাইল্যান্ড প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে থাইল্যান্ড প্রজাতন্ত্রী চীনের কাছে ৬–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৫০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট রাজামঙ্গলা স্টেডিয়ামে যুদ্ধ হাতি নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন আকিরা নিশিনো এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বুরিরাম ইউনাইটেডের গোলরক্ষক সিওয়ারাক তেদসুংনোয়েন

থাইল্যান্ড এপর্যন্ত ২ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে প্রত্যেকবার তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে থাইল্যান্ড এপর্যন্ত ৭ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৭২ এএফসি এশিয়ান কাপের তৃতীয় স্থান অর্জন অন্যতম, যেখানে তারা খমের প্রজাতন্ত্রের সাথে ২–২ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।

কিয়াতিসুক সেনামুয়াং, দুসিত চালেরমসান, তোচতাওয়ান শ্রীপন, সিওয়ারাক তেদসুংনোয়েন এবং তিরাসিল তাংড়ার মতো খেলোয়াড়গণ থাইল্যান্ডের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ড তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪৩তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৬৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৬২তম (যা তারা ২০০১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৩৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১১১ অপরিবর্তিত  মোজাম্বিক ১১৮০.৭২
১১২ অপরিবর্তিত  কঙ্গো ১১৭৯.৮
১১৩ অপরিবর্তিত  থাইল্যান্ড ১১৭৬.৭৫
১১৪ অপরিবর্তিত  আজারবাইজান ১১৭৪.২২
১১৫ অপরিবর্তিত  নামিবিয়া ১১৬৮.৩৮
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১০৮ বৃদ্ধি  নামিবিয়া ১৩৮৮
১০৯ বৃদ্ধি ২১  টোগো ১৩৮৪
১১০ অপরিবর্তিত  থাইল্যান্ড ১৩৮১
১১১ হ্রাস ১১  ভিয়েতনাম ১৩৭৮
১১২ বৃদ্ধি ১৫  তাজিকিস্তান ১৩৭৭

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০ গ্রুপ পর্ব ৯ম
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১৩
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ১২
স্পেন ১৯৮২ ১৩
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০ ১৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ ১৩
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১৪ ২৫ ২০
জার্মানি ২০০৬ ১০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ গ্রুপ পর্ব ৩২তম ১২ ১০ ২০ ১৭
ব্রাজিল ২০১৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১০
রাশিয়া ২০১৮ ১৬ ২০ ৩০
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট গ্রুপ পর্ব ২/১৩ ১৪ ৮৯ ২৪ ১৮ ৪৭ ১১৬ ১৫৬

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "Thailand matches, ratings and points exchanged"। World Football Elo Ratings: Thailand। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "ASIAN SOCCER FINALS IN SINGAPORE May be used as Olympic series"The Singapore Free Press। ৫ অক্টোবর ১৯৫৪। "Singapore to Meet Indonesia in Asian Soccer Tourney"The Straits Times। ১৪ জুন ১৯৫৫। ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]