বিষয়বস্তুতে চলুন

তামিল মালয়েশীয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তামিল মালয়েশীয়, মালয়েশীয় তামিলার নামেও পরিচিত, হল পূর্ণ বা আংশিক তামিল বংশোদ্ভূত জাতি যারা তামিলনাড়ু, ভারত ও উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার তামিল অঞ্চল থেকে মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছে বা অভিবাসী হয়েছিল। মালয়েশিয়ায় মালয়েশীয় ভারতীয় জনসংখ্যার ১.৮-২ মিলিয়ন ব্যক্তির অধিকাংশই, প্রায় ৮০% তামিলনাড়ুশ্রীলঙ্কা থেকে আসা ভারতীয় তামিল জাতিগোষ্ঠীর ছিল। অধিকাংশ তামিল মালয়েশীয়দের অভিবাসন ব্রিটিশ রাজের সময় শুরু হয়েছিল, যখন ব্রিটেন ভারতীয় শ্রমিকদের বাগানে কাজ করার জন্য অভিবাসনের সুবিধা দিয়েছিল। তবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার আগে থেকেও কিছু প্রতিষ্ঠিত তামিল সম্প্রদায় রয়েছে।[][]

প্রাক-ঔপনিবেশিক সময়কাল

[সম্পাদনা]

তামিলদের সাথে বর্তমান মালয়েশিয়ার সম্পর্ক ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান। প্রাচীন তামিল কাব্যগ্রন্থ পাসিয়াপ্পালাই আধুনিক মালয়েশিয়ার অঞ্চলকে কালাগাম (তামিল: காழகம்) হিসাবে উল্লেখ করে।[][]

দশম ও একাদশ শতাব্দীর তামিল সাহিত্যে আধুনিক মালয়েশিয়ান রাজ্য কেদাহকে কদারম (তামিল: கடாரம்) হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার আগে থেকে, বিশেষ করে একাদশ শতাব্দীতে শক্তিশালী চোলাদের দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যের সময়কাল থেকেই এই দ্বীপপুঞ্জে তামিলরা প্রসিদ্ধ ছিল। তামিলনাড়ুর পল্লব রাজবংশ তামিল সংস্কৃতি ও তামিল লিপি মালয়েশিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।[] চোল রাজবংশের তামিল সম্রাট রাজেন্দ্র চোল প্রথম একাদশ শতাব্দীতে শ্রীবিজয়া আক্রমণ করেছিল।[]

একাদশ শতকে মালয় উপদ্বীপে একটি শক্তিশালী তামিল সংস্কৃতি ছিল এবং বিভিন্ন স্থানে তামিল বণিক সমবায় সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[] সেই সময়ে তামিলরা সামুদ্রিক এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিল। যদিও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় জাতিগোষ্ঠীর সাথে একীভূত হয়েছিল, কিছু সম্প্রদায় যেমন মালাক্কা চিটিস এই পূর্ববর্তী তামিল অভিবাসীদের অবশিষ্টাংশ।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Culture and economy:Tamils in the plantation sector 1998-99 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-০৩-২৪ তারিখে (April 2000)
  2. Ethnic identity and News Media preference in Malaysia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৭-০৮-২৮ তারিখে (November 2006)
  3. திருநாவுக்கரசு, க.த., தென்கிழக்காசிய நாடுகளில் தமிழ்ப்பண்பாடு, p. 294.
  4. Uruttirangannanar। Pathinenmaelkanakku (পিডিএফ)Paṭṭiṉappālai (பட்டினப் பாலை) (তামিল ভাষায়)। পৃষ্ঠা 294। ৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২৩ 
  5. Prehistory of the Indo-Malaysian Archipelago by Peter Bellwood p.137
  6. Studies in Southeast Asian Art: Essays in Honor of Stanley J. O'Connor by Stanley J. O'Connor,Nora A. Taylor p.196
  7. Southeast Asia: From Prehistory to History by Ian Glover p.247
  8. Sneddon, James (২০০৩)। The Indonesian Language: Its history and role in modern society। University of South Wales Press Ltd। পৃষ্ঠা 73।