বিষয়বস্তুতে চলুন

জো কক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জো কক্স
১৯১২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জো কক্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
যোসেফ লাভেল কক্স
জন্ম(১৮৮৬-০৬-০৮)৮ জুন ১৮৮৬
পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু৪ জুলাই ১৯৭১(1971-07-04) (বয়স ৮৫)
বুলাওয়ে, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কলেন টাকেট (শ্যালক); লিন্ডসে টাকেট (বোনপো)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক১৩ ডিসেম্বর ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১০/১১ - ১৯২১/২২নাটাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪২
রানের সংখ্যা ১৭ ৩৫৭
ব্যাটিং গড় ৩.৩৯ ৮.৩০
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১২* ৫১
বল করেছে ৫৭৬ ৬,২৩২
উইকেট ১২০
বোলিং গড় ৬১.২৫ ২২.৫৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭৪ ৮/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ১৪/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ জুলাই ২০১৯

যোসেফ লাভেল কক্স (ইংরেজি: Joe Cox; জন্ম: ২৮ জুন, ১৮৮৬ - মৃত্যু: ৪ জুলাই, ১৯৭১) নাটাল প্রদেশের পিটারমারিৎজবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৩ থেকে ১৯১৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করে গেছেন জো কক্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯১০-১১ মৌসুম থেকে ১৯২১-২২ মৌসুম পর্যন্ত জো কক্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেপাছে ১৯১১ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত একাধারে নাটাল দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন জো কক্স। তবে, শুরুরদিকে ১৯১০-১১ মৌসুমেই সর্বাধিক সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। ডারবানে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রান তুলেন। ঐ ইনিংসটি নাটাল দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল। এ সংগ্রহটিই পরবর্তীতে জো কক্সের সর্বোচ্চ রানরূপে স্বীকৃতি পায়।[] ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৪২ পান।[] এর অল্প কয়েকদিন পর ট্রান্সভালের বিপক্ষে ৮/২০ পান। তন্মধ্যে, প্রতিপক্ষের সাতজন ব্যাটসম্যানই বোল্ড হয়েছিলেন।[] ঐ মৌসুমে ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ১১.১৬ গড়ে ৩৬ উইকেট পেয়েছিলেন। এরফলে, নাটাল দল প্রথমবারের মতো ঘরোয়া সুপারস্পোর্ট সিরিজের শিরোপা জয়ে সক্ষম হয়েছিল।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জো কক্স। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে ডারবানে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।

১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমনের জন্য মনোনীত হন। এ সফরের ৩৭টি খেলার মধ্যে তিনি মাত্র ১৪টিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। কোন টেস্টেই তাকে খেলানো হয়নি। দলের বিকল্প বোলার হিসেবে তাকে খেলানো হয় ও মাত্র ১৪ উইকেট পান। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে জে.ডব্লিউ.এইচ.টি. ডগলাসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় আসে। পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া ঐ সিরিজের তিন টেস্টে খেলার সুযোগ পান।[] তবে, সফলতা পাননি তিনি।

৪ জুলাই, ১৯৭১ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে রোডেশিয়ার বুলাওয়ে এলাকায় জো কক্সের দেহাবসান ঘটে। তবে, উইজডেনে তার মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরা হয়নি। তার শ্যালক লেন টাকেট ও বোনপো লিন্ডসে টাকেট - উভয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Natal v Orange Free State 1910-11"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "Natal v Western Province 1910-11"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. "Natal v Transvaal 1910-11"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Bowling in Currie Cup 1910-11"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  5. Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 280.
  6. "Joe Cox"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]