বিষয়বস্তুতে চলুন

জেসি রাইডার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেসি রাইডার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জেসি ড্যানিয়েল রাইডার
জন্ম (1984-08-06) ৬ আগস্ট ১৯৮৪ (বয়স ৪০)
মাস্টারটন, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
উচ্চতা১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম, মাঝে-মধ্যে অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৪১)
১৭ অক্টোবর ২০০৮ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টেস্ট৯ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৬)
৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই৩১ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০২-০৪সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস
২০০৪-১৩ওয়েলিংটন
২০০৭আয়ারল্যান্ড
২০০৯রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
২০১১-১২পুনে ওয়ারিয়র্স
২০১৩-বর্তমানদিল্লি ডেয়ারডেভিলস
২০১৩-বর্তমানওতাগো
২০১৪-বর্তমানমেলবোর্ন রেনেগেডেস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৮ ৪৮ ৭৯ ১১৭
রানের সংখ্যা ১,২৬৯ ১,৩৬২ ৫,৭৫৬ ৩,১৫৩
ব্যাটিং গড় ৪০.৯৩ ৩৩.২১ ৪৬.০৪ ৩০.৩১
১০০/৫০ ৩/৬ ৩/৬ ১৭/২৫ ৭/১৪
সর্বোচ্চ রান ২০১ ১০৭ ২৩৬ ১১৫
বল করেছে ৪৯২ ৪০৭ ৪,১০৯ ১,৪৪৫
উইকেট ১২ ৫৫ ৪৪
বোলিং গড় ৫৬.০০ ৩৪.৩৩ ৩৬.৪৯ ৩২.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭ ৩/২৯ ৪/২৩ ৪/৩৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/– ১৫/– ৭৫/– ৩৯/–
উৎস: ইএসপিএন, ৫ মার্চ ২০১৪

জেসি ড্যানিয়েল রাইডার (ইংরেজি: Jesse Ryder; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৮৪) ওয়েলিংটনের মাস্টারটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে খেলছেন। এছাড়াও জেসি রাইডার কার্যকরী মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে পারদর্শী। এরপূর্বে ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটলিস্ট এ ক্রিকেটে খেলছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

৩০ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ১২-সদস্যের নিউজিল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক দলে ও ১৩-সদস্যের একদিনের আন্তর্জাতিক দলের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নির্বাচক ও ব্যবস্থাপক স্যার রিচার্ড হ্যাডলি এ প্রসঙ্গে বলেন যে, উভয় ধরনের খেলায় ইনিংসের সূচনাকল্পে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের যোগ্য সঙ্গী তিনি।[] কিন্তু সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার অ্যাডাম প্যারোরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও রাইডারকে দল থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দেন। তার মতে, সে বেশ মোটা ও নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্য উপযুক্ত নয়।[]

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ জয়ের পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের একটি বারের টয়লেট ভাঙ্গার চেষ্টাকালে তার হাত মারাত্মকভাবে কেটে যায়। এরফলে রাইডারের ২০০৭-০৮ মৌসুমে খেলা শেষ হয়ে যায়।[]

২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ৩১ রান সংগ্রহ করার পর রোগ সংক্রমণের কারণে প্রতিযোগিতায় তিনি আর কোন খেলায় অংশ নেননি। পরবর্তীতে আরন রেডমন্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন।[]

কীর্তিগাঁথা

[সম্পাদনা]

নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে রাইডার তার প্রথম দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেন। ২০১ রানের ঐ ইনিংস খেলার সময় রস টেলরের (১৫১) সাথে ২৭১ রানের জুটি গড়েন। যে-কোন দলের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ রানটি নতুন রেকর্ডের সৃষ্টি করে ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট জুটি। নাথান অ্যাসলের পর তিনিই প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় যিনি পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকান।[]

৮ মার্চ, ২০১২ তারিখে ব্যক্তিগত আঘাতজনিত অসুস্থতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের ইতিহাসে সম্পৃক্ততার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।[] ডিসেম্বর, ২০১২ সালে খেলায় সুন্দর অবস্থানে থাকা স্বত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত নন বলে জানান। অথচ, ১১ ডিসেম্বর তারিখে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে তিনি ১৭৪ বলে ১৬২ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[]

প্রত্যাবর্তন

[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে কুইন্সটাউন ইভেন্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত খেলায় কোরে অ্যান্ডারসনকে সাথে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কার ইনিংস গড়তে সহায়তা করেন। রাইডার ৬ষ্ঠ দ্রুততম শতক গড়েন ৪৬ বলে। ৫ ছক্কায় তিনি ১০৪ রান করেন। তার সাথে অ্যান্ডারসন ৩৬ বলে দ্রুততম শতরান করেন ও শহীদ আফ্রিদি'র ১৭ বছর পূর্বেকার গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "BLACKCAPS squad announced"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. Parore, Adam (২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Ryder is too fat to play for New Zealand"The New Zealand Herald। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১১ 
  3. Ryder out of NZ Test contention, BBC News retrieved 24 February 2008
  4. Cleaver, Dylan (১৪ জুন ২০০৯)। "Cricket: Don't slog it, just hit out"The New Zealand Herald। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১১ 
  5. New Zealand vs India 2nd Test, Napier, New Zealand, 26-30 March 2009
  6. Ryder takes indefinite break from cricket Cricinfo 8 March 2012
  7. "Ryder 'not ready' for international return"3 News NZ। ১২ ডিসেম্বর ২০১২। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]