জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ উচ্চ আদালত
জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালত Jammu and Kashmir High Court जम्मू और कश्मीर उच्च न्यायालय | |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৬ মার্চ ১৯২৮ [২] |
অধিক্ষেত্র | ভারত |
অবস্থান | শ্রীনগর (গ্রীষ্মকালীন) এবং জম্মু (শীতকালীন) |
প্রণয়ন পদ্ধতি | রাষ্ট্রপতি শাসিত, ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমে |
অনুমোদনকর্তা | ভারতের সংবিধান |
রায় পুনর্বিচারের আবেদন স্থান | ভারতের সুপ্রিম কোর্ট |
বিচারকের মেয়াদ | ৬২ বছর বয়সে বাধ্যতামূলক অবসর |
পদের সংখ্যা | ১৭ (১৩জন স্থায়ী বিচারক এবং ৪জন অতিরিক্ত বিচারক) |
তথ্যক্ষেত্র | www.jkhighcourt.nic.in |
প্রধান বিচারপতি | |
সম্প্রতি | বিচারক গীতা মিত্তাল |
হইতে | ১১ আগস্ট ২০১৮ |
জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট প্রকৃতপক্ষে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের উচ্চ আদালত।১৯২৮ সালে জম্মু কাশ্মীরের মহারাজা কর্তৃক এক ঘোষণা অনুসারে বিশেষ অধিকারবলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজধানীও পরিবর্তিত হয়। এ রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হল শ্রীনগর ও শীতকালীন রাজধানী হল জম্মু। তাই আদালতের স্থানও এই অনুসারে পরিবর্তিত হয়। আদালতটিতে মোট ১৭ জন অনুমোদিত বিচারক রয়েছেন যার মধ্যে ১৩ জন স্থায়ী বিচারক এবং ৪ জন অতিরিক্ত বিচারক।[৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯২৮ সালের ২রা মার্চ জম্মু কাশ্মীরের মহারাজার জারিকৃত আদেশ নং -১ এর ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরের উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি লালা কানওয়ার সাঁইকে প্রথম প্রধান বিচারপতি এবং লালা বোধ রাজ সওহনি এবং খান সাহেব আগা সৈয়দ হোসেনকে নিম্নপদস্থ বিচারক নিযুক্ত করেছিলেন।[৫] উচ্চ আদালতের আসনগুলি তখন জম্মু ও শ্রীনগরে ছিল। ১৯৪৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মহারাজা আদালতটিকে বিশেষ অধিকার প্রদান করেছিলেন। খান সাহেব আগা সৈয়দ হোসেন[৬] উচ্চ আদালতটির প্রথম মুসলিম বিচারক ছিলেন। মহারাজার শাসনামলেই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।[৭] ২০১৮ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চআদালতে প্রথম এবং দ্বিতীয় মহিলা বিচারক যোগদান করেন। সিন্ধু শর্মা জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে যোগদান করেন এবং বিচারপতি গীতা মিত্তাল প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষে একটি পুনর্গঠন বিল পাস হয়। বিলে বিদ্যমান বিধিসমূহে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এদের একটি হলো জম্মু ও কাশ্মীর (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) এবং অপরটি হলো লাদাখ। বিলটি ৩১শে অক্টোবর,২০১৯ থেকে কার্যকর হয়। পূর্বে প্রতিষ্ঠিত জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতটি বর্তমানে উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরই উচ্চ আদালত হিসেবে বিচারকার্য পরিচালনা করছে।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি
[সম্পাদনা]বিচারপতি গীতা মিত্তাল ১১ই আগস্ট ২০১৮ ইং তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।[৮]
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের তালিকা
[সম্পাদনা]# | Chief Justice | Term |
---|---|---|
১ | কনওয়ার সাঁই | ২৭ এপ্রিল ১৯২৮ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ |
২ | বীর্জর দালাল | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ - ২৪ নভেম্বর ১৯৩৬ |
৩ | আব্দুল কাইয়ুম | ২৪ নভেম্বর ১৯৩৬ - ২০ জুলাই ১৯৪০ |
৪ | রাছপাল সিং | ১৩ আগস্ট ১৯৪০ - ৬ মার্চ ১৯৪২ |
৫ | গঙ্গানাথ | ২৪ জুন ১৯৪২ - ২৩ অক্টোবর ১৯৪৫ |
৬ | এস. কে. ঘোষ | ২৯ মার্চ ১৯৪৬ - ২৯ মার্চ ১৯৪৮ |
৭ | জানকী নাথ ওয়াজির | ৩০ মার্চ ১৯৪৮ - ২ ডিসেম্বর ১৯৬৭ |
৮ | সৈয়দ মুর্তজা ফজল আলী | ৩ ডিসেম্বর ১৯৬৭ - ১ এপ্রিল ১৯৭৫ |
৯ | রাজা জশবন্ত সিং | ২ এপ্রিল ১৯৭৫ - ২৩ জানুয়ারি ১৯৭৬ |
১০ | এম. আর. এ. আনসারি | ২৩ জানুয়ারি ১৯৭৬ - ৮ নভেম্বর ১৯৭৭ |
১১ | মিয়াঁ জালাল উদ্দিন | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ - ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ |
১২ | মুফতি বাহা উদ্দিন | ৭ মার্চ ১৯৮৩ - ২৩ আগস্ট ১৯৮৩ |
১৩ | ভাযহাক্কুলাঙ্গারাইল খালিদ | ২৪ আগস্ট ১৯৮৩ - ২৪ জুন ১৯৮৪ |
১৪ | আদর্শ সেন আনন্দ | ১১ মে ১৯৮৫ - ২৩ অক্টোবর ১৯৮৯ |
১৫ | এস. এস. কাং | ২৪ অক্টোবর ১৯৮৯ - ১৪ মে ১৯৯৩ |
১৬ | এস. সি. মথুর | ১০ অক্টোবর ১৯৯৩ - ১৭ মার্চ ১৯৯৪ |
১৭ | এস. সগীর আহমদ | ১৮ মার্চ ১৯৯৪ - ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ |
১৮ | এম. রামকৃষ্ণ | ১০ অক্টোবর ১৯৯৪ - ১৫ জুন ১৯৯৭ |
১৯ | ভবানী সিং | ১৬ জুন ১৯৯৭ - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০ |
২০ | বি. পি. শরফ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০ - ২২ আগস্ট ২০০১ |
২১ | এইচ. কে. সেমা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০১ - ৮ এপ্রিল ২০০২ |
২২ | বি. সি. প্যাটেল | ১৬ মে ২০০২ - ৪ মার্চ ২০০৩ |
২৩ | এস. এন. ঝা | ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ - ১১ অক্টোবর ২০০৫ |
২৪ | বি. এ. খান | ২৫ জানুয়ারি ২০০৭ - ৩১ মার্চ ২০০৭ |
২৫ | আফতাব আলম | ৭ জুন ২০০৭ - ১০ নভেম্বর ২০০৭ |
২৬ | কে. এস. রাধাকৃষ্ণান | ৭ জানুয়ারি ২০০৮ - ২৮ আগস্ট ২০০৮ |
২৭ | মনমোহন সারিন | ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ - ১৯ অক্টোবর ২০০৮ |
২৮ | বারীন ঘোষ | ৩ জানুয়ারি ২০০৯-১৩ এপ্রিল ২০১০ |
২৯ | ড. আফতাব হোসেন সাইকিয়া | ১৩ এপ্রিল ২০১০ - ৬ এপ্রিল ২০১১ |
৩০ | এফ. এম. ইবরাহিম কাইফুল্লাহ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ - ২ এপ্রিল ২০১২ |
৩১ | এম. এম. কুমার | ৮ জুন ২০১২ - ৪ জানুয়ারি ২০১৫ |
৩২ | এন. পাল. ভাষানঠাকুর | ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ - ১৪ মার্চ ২০১৭ |
৩৩ | বদর দারেজ আহমদ | ১ এপ্রিল ২০১৭ - ১৫ মার্চ ২০১৮ |
৩৪ | রামালিংগাম সুধাকর | ১৬ মার্চ ২০১৮ -১১ মে ২০১৮ |
৩৫ | অলোক আরাধে (অস্থায়ী) | ১১ মে ২০১৮ -১১ আগস্ট ২০১৮ |
৩৬ | গীতা মিত্তাল | ১১ আগস্ট ২০১৮ - বর্তমান |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://www.jkhighcourt.nic.in/
- ↑ "History"। Jkhighcourt.nic.in। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬।
- ↑ "Law Department J&K"। jklaw.nic.in। ২০১৭-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৮।
- ↑ "History"। jkhighcourt.nic.in। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৮।
- ↑ "History"। Jkhighcourt.nic.in। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬।
- ↑ http://kashmirlife.net/kandahars-qizilbash-issue-35-vol-09-157293/
- ↑ Altaf, Sana (২০১১-১২-০১)। "Changing times.."। Newsinsight.net। ২০১৬-০৪-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬।
- ↑ Mittal, Gita (২০১৮-০৯-১১)। "Justice Gita Mittal Sworn In As The First Woman Chief Justice Of Jammu & Kashmir High Court..."। Bar & Bench। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১১।