বিষয়বস্তুতে চলুন

চুনীবালা দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চুনীবালা দেবী (১৮৭২ - ১৯৫৫) ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্না প্রথম ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা/অভিনেত্রী। [] জন্মেছিলেন বাংলার এক হতদরিদ্র পরিবারে। কলকাতার পাইকপাড়ার এক বস্তিতে থাকতেন, তবে অল্পস্বল্প পড়াশোনা করেছিলেন। খালি গলায় গানও করতেন। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী ছবিতে ইন্দির ঠাকুরন চরিত্রে অভিনয় করেন। [] তখন এঁর বয়স ৮০ বছর ছিল। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই ইনি মারা গিয়েছিলেন, কারণ ছবি শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল। তবে সত্যজিৎ রায়ের উদ্যোগে ছবিটি তিনি নিজের বাড়িতে প্রজেক্টারের মাধ্যমে দেখে গিয়েছিলেন।

পথের পাঁচলীতে অভিনয় করার আগে দুটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। ছবি দুটি হল -

  • বিগ্রহ (১৯৩০)
  • রিক্তা (১৯৩৯)

এছাড়াও, তিনি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচালনায় নটীর পূজা তে মঞ্চে অভিনয় করেন।[]

প্রথম ভারতীয় অভিনেতা/অভিনেত্রী হিসাবে আন্তর্জাতিক ম্যানিলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তিনি সেরা পুরস্কার পান, [][][] কিন্তু তার আগেই, ১৯৫৫ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে ৮৩ বছর বয়সের চুনীবালা দেবী মারা যান।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ইনফ্লুয়েঞ্জা কেড়ে প্রাণ, মৃত্যুর পরে আসে আন্তর্জাতিক সম্মান! সত্যজিতের জন্মদিনে ভোলা যায় না ইন্দির ঠাকরুনকেও"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-৩০ 
  2. Janet Farrell Brodie; Marc Redfield (২০০২)। High Anxieties: Cultural Studies in Addiction। University of California Press। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 978-0-520-22751-4 
  3. "In focus: Ray and the tale of an old actress" 
  4. Ray, Satyajit। "How Satyajit Ray found Indir Thakrun, the scene-stealer of 'Pather Panchali'"Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  5. Live, A. P. N. (২০১৭-০২-০১)। "Remembering Chunibala Devi"APN Live (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 

"এমন অনেক অভিনেতা আছেন যাদের সঙ্গে একবার বৈ দু'বার কাজ করার সুযোগ আসেনি।এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আফসোস হয়েছিল চুনিবালা দেবীর ক্ষেত্রে। পথের পাঁচালির কাজ যখন চলছে, তখনই একদিন বিভূতিভূষণের একটি ছোটগল্পের সাথে অকস্মাৎ পরিচয় হয়। গল্পের নাম ' দ্রবময়ীর কাশীবাস '। পরেরদিনই চুনিবালা দেবীকে জানালাম যে,ইন্দির ঠাকরুণের পরে তাঁকে আরেকটি চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। দ্রবময়ীর কাহিনী শুনে চুনিবালা উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। কিন্তু এই দ্বিতীয় সুযোগটি আর কোনদিন আসেনি। পথের পাঁচালি মুক্তি পাবার অল্প কয়েক দিন আগেই চুনিবালা কোমর ভেঙে শয্যা নেন।আর সেই যে শরীর ভাঙল - তারপর থেকে তাঁর পরলোকগমন পর্যন্ত আর কর্মক্ষমতা ফিরে আসেনি। দ্রবময়ীর কাহিনী বইয়ের পাতাতেই রয়ে গেল।চুনিবালার অভাব পূরণ করার মত অভিনেত্রী এদেশে আর আছে কি? মনে হয় না।"

              - সত্যজিৎ রায়,দেশ, বিনোদন;১৯৭০।