ইসমত ইনোনু
ইসমত ইনোনু | |
---|---|
İsmet İnönü | |
তুরস্কের ২য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৩৮ – ২২ মে ১৯৫০ | |
প্রধানমন্ত্রী | জালাল বায়ার রফিক সাইদাম আহমেদ ফিকরি তুজার শুকরু সারাকোগলু রজব পেকের হাসান সাকা শামসউদ্দিন গুনালতাই |
পূর্বসূরী | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
উত্তরসূরী | জালাল বায়ার |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ নভেম্বর ১৯২৩ – ২২ নভেম্বর ১৯২৪ | |
পূর্বসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর (গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি সরকারের প্রধানমন্ত্রী) |
উত্তরসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর |
কাজের মেয়াদ ৪ মার্চ ১৯২৫ – ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭ | |
রাষ্ট্রপতি | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
পূর্বসূরী | আলি ফাতহি ওকাইর |
উত্তরসূরী | জালাল বায়ার |
কাজের মেয়াদ ২০ নভেম্বর ১৯৬১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ | |
রাষ্ট্রপতি | জামাল গুরসাল |
পূর্বসূরী | আমিন ফখরউদিন ওজদিলেক |
উত্তরসূরী | সুয়াত হাইরি উরগুপলু |
রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির নেতা | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯৩৮ – ৮ মে ১৯৭২ | |
পূর্বসূরী | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
উত্তরসূরী | বুলেন্ত এজেভিত |
তুরস্কের চীফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ | |
কাজের মেয়াদ ২০ মে ১৯২০ – ৩ আগস্ট ১৯২১ | |
পূর্বসূরী | নতুন দপ্তর |
উত্তরসূরী | ফাওজি চাকমাক |
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৬ অক্টোবর ১৯২২ – ২১ নভেম্বর ১৯২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | রওফ ওরবাই আলি ফাতহি ওকাইর |
পূর্বসূরী | ইউসুফ কামাল তেনগিরশেঙ্ক |
উত্তরসূরী | শুকরু কায়া |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুস্তাফা ইসমত ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ ইজমির, আইদিন ভিলায়েত, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ আঙ্কারা, তুরস্ক | (বয়স ৮৯)
সমাধিস্থল | আনিতকাবির আঙ্কারা, তুরস্ক |
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | মেভহিবে ইনোনু |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | উসমানীয় সাম্রাজ্য (১৯০৩–১৯২০) তুরস্ক (১৯২০–১৯২৬) |
শাখা | তুর্কি স্থলবাহিনী |
পদ | জেনারেল |
যুদ্ধ | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
মুস্তাফা ইসমত ইনোনু (তুর্কি উচ্চারণ: [isˈmet ˈinøny]; ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩) ছিলেন একজন তুর্কি জেনারেল[১] ও রাজনীতিবিদ। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের মৃত্যুর পর ১৯৩৮ সালের ১১ নভেম্বর তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৫০ সালের ২২ মে পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এসময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি পরাজিত হয়। এছাড়াও তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত চীফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ছিলেন। ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৪ সাল, ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল এবং ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে দাপ্তরিক খেতাব মিল্লি সেফ (জাতীয় প্রধান) প্রদান করা হয়েছিল।[২]
১৯৩৪ সালে পদবী আইন চালু হওয়ার পর তিনি ইনোনু পদবী গ্রহণ করেন। এর কারণ ইতিপূর্বে ১৯১৯ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলমান গ্রীক-তুর্কি যুদ্ধে তিনি ইনোনুতে তুর্কি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এসকল যুদ্ধ ইনোনুর প্রথম যুদ্ধ ও ইনোনুর দ্বিতীয় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]ইসমত ইনোনু আইদিন ভিলায়েতের ইজমিরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি রশিদ এবং মা জেভরিয়ে। ইসমত তার বাবার দিক থেকে কুর্দি এবং মায়ের দিক থেকে তুর্কি বংশোদ্ভূত।[৩][৪][৫][৬][৭] হাজি রশিদ যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন।[৮] রশিদ মালাতিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইসমতের মা জেভরিয়া ছিলেন আলেম হাসান এফেন্দির মেয়ে।[৮] বাবার চাকরির কারণে তাদের পরিবার বিভিন্ন শহরে বসবাস করেছে। ইসমত সিভাসে তার প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেছেন এবং ১৮৯৪ সালে সিভাস আসকেরি রুশতিয়েসি থেকে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি সিভাস মুলকিয়ে ইদাদিসিতে এক বছর পড়াশোনা করেছেন।
সামরিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯০৩ সালে ইসমত সামরিক প্রতিষ্ঠান মুহেনদিশান-ই বেররি-ই হুমায়ুন থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে অফিসার হন। এরপর তাকে উসমানীয় সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পান। তিনি কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। রুমেলিয়া ও ইয়েমেনে সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংঘটিত দুইটি বিদ্রোহ দমনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বলকান যুদ্ধের সময় উসমানিয়-বুলগেরীয় যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি দায়িত্বপালন করেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি সামরিক বাহিনীর মীরআলাই পদে ছিলেন। ককেসাস ও ফিলিস্তিন যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকার সময় তিনি মোস্তফা কামাল পাশার অধীনে ছিলেন।
১৯১৬ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি মেভহিবে ইনোনুকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান হলেন উমর ইনোনু, এরদাল ইনোনু ও ওজদান তোকার।[৮]
তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ
[সম্পাদনা]মেগিড্ডোর যুদ্ধে পরাজয়ের পর তিনি কনসান্টিনোপলে ফিরে যান এবং যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ও পরে সামরিক কাউন্সিলের ডকুমেন্টেশনের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হন।
১৯২০ সালের ১৬ মার্চ কনস্টান্টিনোপলে সামরিক দখলদারিত্বের পর তিনি আনাতোলিয়ায় তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের সাথে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ও চীফ অব স্টাফ মেজর সাফফেত আরিকান উভয়ে উর্দি পরিহিত অবস্থায় ১৯ মার্চ মালতেপে ত্যাগ করেন এবং ৯ এপ্রিল আঙ্কারায় পৌছান।
তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পশ্চিম রণাঙ্গনে কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন। ১৯২১ সালের ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি সংঘটিত ইনোনুর প্রথম যুদ্ধে বিজয়ের পর তিনি মীরলিভা পদে উন্নীত হন। একই বছরের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ সংঘটিত ইনোনুর দ্বিতীয় যুদ্ধেও তিনি বিজয়ী হন। তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি আঙ্কারায় গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির (জিএনএ) সদস্য ছিলেন।
১৯২১ সালের জুলাইয়ে গ্রীক বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে তুর্কি বাহিনীর কয়েকটি পরাজয়ের পর ইসমতের স্থানে [[ফাওজি চাকমাক|মুস্তাফা ফাওজি পাশাকে নিযুক্ত করা হয়। ইসমত পরবর্তী যুদ্ধসমূহে স্টাফ অফিসার হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
মুদানিয়া ও লুসানে প্রধান আলোচক
[সম্পাদনা]স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর ইসমত পাশাকে তুর্কি প্রতিনিধি দলের প্রধান আলোচক হিসেবে মুদানিয়ার যুদ্ধবিরতি ও লুসানের চুক্তির সময় প্রেরণ করা হয়েছিল। ১৯২২ সালের শেষের দিকে লুসান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আঙ্কারা সরকারের পক্ষে নিজ ভূমিকার কারণে তিনি খ্যাত হয়ে উঠেন।
প্রধানমন্ত্রী
[সম্পাদনা]মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ব্যবস্থায় ইনোনু কয়েক দফায় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছন। শেখ সাইদ বিদ্রোহসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
রাষ্ট্রপতি
[সম্পাদনা]১৯৩৮ সালের ১০ নভেম্বর আতাতুর্কের মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাকে দাপ্তরিকভাবে "মিল্লি শেফ" অর্থাৎ "জাতীয় প্রধান" খেতাব দেয়া হয়েছিল।
তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পরের বছর ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এসময় মিত্রশক্তি ও অক্ষশক্তি উভয়ে তুরস্ককে নিজ পক্ষে আনতে চেয়েছিল।[৯] এই উদ্দেশ্যে জার্মানি ফ্রাঞ্জ ফন পাপানকে ১৯৩৯ সালের এপ্রিলে আঙ্কারায় প্রেরণ করে। অন্যদিকে ব্রিটিশরা হুগে নচবুল-হুগেসেনকে এবং ফরাসিরা রেনে মাসিগলিকে প্রেরণ করেছিল। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুকরু সারাকোগলু নচবুলকে পরামর্শ দেন যে অক্ষশক্তিকে মোকাবেলার জন্য ইঙ্গ-সোভিয়েত-তুর্কি জোট সবচেয়ে কার্যকর হবে।[১০] ১৯৩৯ সালের মে মাসে মেক্সিম ওয়েগেন্ডের তুরস্ক সফরকালে ইনোনু ফরাসি দূত রেনে মাসিগলিকে জানান যে জার্মানিকে থামানোর জন্য তুরস্ক, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের জোট সবচেয়ে কার্যকর হবে এবং এই জোট গঠনের পর তুরস্ক সোভিয়েত সেনা ও বিমানবাহিনীকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে। পাশাপাশি তিনি তুরস্কের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ফরাসি সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন।[১১] ১৯৩৯ সালের ২৩ আগস্ট মোলোটোভ-রিবেনট্রপ চুক্তির পর তুরস্ক মিত্রপক্ষ থেকে দূরে সরে যায়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য জার্মানি ১৯৪১ সালে তুরস্কের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে।[১২] একই সময় ব্রিটেন আশা করেছিল যে তুর্কিরা গ্রীসে ব্রিটেনের সাথে যোগ দেবে। এই উদ্দেশ্যে ইনোনুর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার এন্থনি ইডেন কয়েক দফায় আঙ্কারা সফর করেন।[১৩] কিন্তু ইনোনু তাকে জানান যে জার্মানরা তুরস্কে হামলা করলেই কেবল তুরস্ক যুদ্ধে যোগ দেবে।[১৪] এদিকে অক্ষশক্তির পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিলে গ্রীসের অংশ তুরস্ককে দেয়া হবে মর্মে পাপেন প্রস্তাব দিলে ইনোনু তা প্রত্যাখ্যান করেন।[১৪] ১৯৪১ সালের মে মাসে জার্মানরা ইরাকে ব্রিটিশোদের একটি বাহিনী প্রেরণের সময় ট্রানজিট প্রদানের জন্য পাপেনের প্রস্তাব ইনোনু ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।[১৫]
যুদ্ধে তুরস্ককে মিত্রপক্ষে যোগদানে রাজি করানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আঙ্কারা সফর করেন। [১৬] তিনি গোপনে ইনোনুর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ইনোনুর যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্ক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন। দ্বিতীয় কায়রো সম্মেলনে তিনি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ও উইনস্টন চার্চিলের সাথে প্রকাশ্য সাক্ষাত করেছেন। চার্চিল বলকানে তুরস্কের মাধ্যমে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র চালু করতে চাইছিলেন। অন্যদিকে রুজভেল্ট তুরস্কের ব্যর্থতার ফলে মিত্রপক্ষের ভয়াবহ ক্ষতি হবে ভেবে তুরস্কের হামলাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবতেন।
তিনি ১৯৪৪ সালে জার্মানির সাথে এবং ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।[১৭] শীঘ্রই তিনি মিত্রপক্ষের জাহাজকে তুর্কি প্রণালীর মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে সহায়তা প্রেরণের অনুমতি দেন। ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জার্মানি ও জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।[১৫]
যুদ্ধের পর তুর্কি প্রণালী নিয়ে উত্তেজনা ও বিতর্ক তুর্কি প্রণালী সংকট নামে পরিচিতি পায়। সোভিয়েত অভিযান এবং তুর্কি প্রণালীতে সোভিয়েত সামরিক ঘাটি স্থাপনের জন্য জোসেফ স্টালিনের আগ্রহের কারণে তুরস্ক পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ন্যাটোতে যোগ দেয়।[১৮][১৯]
বহুদলীয় সরকার
[সম্পাদনা]তুরস্কে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের ফলে ১৯৪৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোট গণনা পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
১৯৫০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম অবাধ নির্বাচনে তার দল পরাজিত হয়। ডেমোক্রেট পার্টি স্লোগানে বলে: "গেলদি ইসমত, কেসিলদি কিসমত" ("ইসমত আসার পর থেকে ভাগ্য খারাপ হয়েছে")। ইনোনু ডেমোক্রেট পার্টির জালাল বায়ার ও আদনান মেন্দেরেসের হাতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১৯৬০ সালের অভ্যুত্থানের পর অনুষ্ঠিত ১৯৬১ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পূর্ব পর্যন্ত তিনি বিরোধীদলের নেতা ছিলেন।
১৯৬১ সালের নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে তাকে জোট সরকার গঠন করতে হয়েছে। ১৯৬৫ ও ১৯৬৯ সালের নির্বাচনে তিনি সুলাইমান দেমিরেলের কাছে পরাজিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি বুলেন্ত এজেভিতের কাছে নিজ দলের নেতৃত্ব হারান।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]ইসমত ইনোনু ১৯৭৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আঙ্কারার আনিতকাবিরে আতাতুর্কের সমাধির বিপরীতে দাফন করা হয়েছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]তার নামে ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয় এবং মালাতিয়া ইনোনু স্টেডিয়াম উভয়ের নামকরণ করা হয়েছে। ইস্তানবুলের ইননু স্টেডিয়ামের নামও তার নামে রাখা হয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "TSK Genel Kurmay Baskanlari"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Howard, Douglas Arthur (2001). The History of Turkey. Greenwood Publishing Group. p. 109. আইএসবিএন ০-৩১৩-৩০৭০৮-৩.
- ↑ N. Pope, H. Pope, Turkey Unveiled: A History of Modern Turkey, Overlook Press, 1998, আইএসবিএন ১-৫৮৫৬৭-০৯৬-০, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৫৬৭-০৯৬-৩, p.254 (... president of republic, including Ismet Inönü and Turgut Özal, had Kurdish blood. Several cabinet ministers in 1980s and 1990s had been Kurdish...) – reference found in Turkish Wikipedia article
- ↑ Romano, David, The Kurdish nationalist movement: opportunity, mobilization, and identity, (Cambridge University Press, 2006), 118; Despite his own Kurdish ancestry, Inonu had apparently embraced Ziya Gokalp's notions of Turkism, which allowed him to advance to the highest post of the new republic.
- ↑ Erik Jan Zürcher, let.leidenuniv.nl [ত্রুটি: আর্কাইভের ইউআরএল অজানা] "The Young Turks – Children of the Borderlands?" ([তারিখ অনুপস্থিত] তারিখে আর্কাইভকৃত) (October 2002)
- ↑ "Demek İsmet Kürttür. Hem de koyu Kürt! Biz bu heyetin başından Abaza diye Rauf’u attırdık. Türk diye bir halis Kürt getirmişiz, vah yazık!", Rıza Nur, Hayat ve Hatıratım: Rıza Nur-İnönü kavgası, Lozan ve ötesi, İşaret Yayınları, 1992, p. 235.
- ↑ "Even Ismet Inonu, Ataturk's long time ally and successor, was discouraged from revealing his Kurdish heritage.", Nader Entessar, "The Kurdish Mosaic of Discord", Third World Foundation, Third World Quarterly, Vol. 11, No. 4, Ethnicity in World Politics (Oct. 1989), Carfax Publishing Co., 1989, p. 93.
- ↑ ক খ গ T.C. Genelkurmay Harp Tarihi Başkanlığı Yayınları, Türk İstiklâl Harbine Katılan Tümen ve Daha Üst Kademlerdeki Komutanların Biyografileri, Genkurmay Başkanlığı Basımevi, Ankara, 1972. (তুর্কি)
- ↑ Nicole Pope and Hugh Pope, Turkey Unveiled: A History of Modern Turkey, p. 75.
- ↑ Watt, D.C. How War Came : The Immediate Origins of the Second World War, 1938–1939 ,London: Heinemann, 1989 page 278
- ↑ Watt, D.C. How War Came : The Immediate Origins of the Second World War, 1938–1939, London: Heinemann, 1989 page 282
- ↑ Weinberg, Gerhard A World In Arms, Cambridge: Cambridge University Press, 2005 pages 196-197.
- ↑ Weinberg, Gerhard A World In Arms, Cambridge: Cambridge University Press, 2005 pages 216-216.
- ↑ ক খ Weinberg, Gerhard A World In Arms, Cambridge: Cambridge University Press, 2005 page 219.
- ↑ ক খ Weinberg, Gerhard A World In Arms, Cambridge: Cambridge University Press, 2005 page 226.
- ↑ Andrew Mango, The Turks Today, (New York: The Overlook Press, 2004) p. 36.
- ↑ Weinberg, Gerhard A World In Arms, Cambridge: Cambridge University Press, 2005 page 809.
- ↑ Andrew Mango, The Turks Today, p. 37.
- ↑ Andrew Mango, The Turks Today, p. 47.
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Kinross, Lord, Ataturk: A Biography of Mustafa Kermal, Father of Modern Turkey (New York: William Morrow & Company, 1965).
- Liebmann, George W. Diplomacy between the Wars: Five Diplomats and the Shaping of the Modern World (London I. B. Tauris, 2008)
- Mango, Andrew, The Turks Today (New York: The Overlook Press, 2004). আইএসবিএন ১-৫৮৫৬৭-৬১৫-২.
- Pope, Nicole and Pope, Hugh, Turkey Unveiled: A History of Modern Turkey (New York: The Overlook Press, 2004). আইএসবিএন ১-৫৮৫৬৭-৫৮১-৪.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Biography (İsmet İnönü Foundation)
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় ইসমত ইনোনু
সামরিক দপ্তর | ||
---|---|---|
নতুন পদবী নতুন দপ্তর
|
তুরস্কের চীফ অব জেনারেল স্টাফ ১৯২০–১৯২১ |
উত্তরসূরী ফাওজি চাকমাক |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী ইউসুফ কামাল তেনগিরশেঙ্ক |
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯২২–১৯২৪ |
উত্তরসূরী শুকরু কায়া |
পূর্বসূরী আলি ফাতহি ওকাইর |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ১৯২৩–১৯২৪ |
উত্তরসূরী আলি ফাতহি ওকাইর |
পূর্বসূরী আলি ফাতহি ওকাইর |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ১৯২৫–১৯৩৭ |
উত্তরসূরী জালাল বায়ার |
পূর্বসূরী মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ১৯৩৮–১৯৫০ |
উত্তরসূরী জালাল বায়ার |
পূর্বসূরী আমিন ফখরউদ্দিন ওজদিলেক |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ১৯৬১–১৯৬৫ |
উত্তরসূরী সুয়াত হাইরি উরগুপলু |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
পূর্বসূরী মোস্তাফা কামাল আতাতুর্ক |
রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির নেতা ১৯৩৮–১৯৭২ |
উত্তরসূরী বুলেন্ত এজেভিত |
- ইসমত ইনোনু
- ১৮৮৪-এ জন্ম
- ১৯৭৩-এ মৃত্যু
- ইজমিরের ব্যক্তিত্ব
- আইদিন ভিলায়েতের ব্যক্তিত্ব
- কুর্দি বংশোদ্ভূত তুর্কি ব্যক্তিত্ব
- বুলগেরীয় তুর্কি
- উসমানীয় সামরিক অফিসার
- তুরস্কের চীফ অব জেনারেল স্টাফ
- তুরস্ক সরকারের মন্ত্রী
- তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- তুরস্কার জাতীয় শিক্ষামন্ত্রী
- তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী
- দেরিজম গণহত্যা
- তুরস্কের রাষ্ট্রপতি
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতা
- তুরস্কের বিরোধীদলীয় নেতা
- আনাতকাবির
- প্রজাতন্ত্রী জনতা দলের (তুরস্ক) নেতা
- তুর্কি কুর্দি রাজনীতিবিদ
- প্রজাতন্ত্রী জনতা দলের (তুরস্ক) রাজনীতিবিদ
- তুরস্কের মন্ত্রী
- তুর্কি সুন্নি মুসলিম