বিষয়বস্তুতে চলুন

ইউরোপীয় সোনালী জুতো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউরোপীয় সোনালী জুতো
লিওনেল মেসির ২০১২–১৩ সোনালী জুতো।
প্রদানের কারণপ্রতিটি ইউরোপীয় জাতীয় লিগের শীর্ষ বিভাগ থেকে শীর্ষ গোলদাতা
পুরস্কারদাতালেকিপ (১৯৬৮–১৯৯১) ইউরোপীয় স্পোর্টস মিডিয়া (১৯৯৭–বর্তমান)
প্রথম পুরস্কৃত১৯৬৮ (১৯৬৭–৬৮ মৌসুমে সর্বাধিক গোলের জন্য পুরস্কৃত)
বর্তমানে আধৃতনরওয়ে আরলিং হোলান (১টি)
সর্বাধিক পুরস্কারআর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (৬টি)
ওয়েবসাইটeusm.eu

ইউরোপীয় সোনালী জুতো(যা ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট নামেও পরিচিত) একটি পুরস্কার যা প্রতি মৌসুমে ইউরোপীয় জাতীয় লীগের শীর্ষ বিভাগ থেকে লিগ ম্যাচে শীর্ষ গোলদাতাকে প্রদান করা হয়। ট্রফিটি একটি ফুটবল বুটের ভাস্কর্য । ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে এর সূচনা থেকে, পুরস্কারটি, মূলত "সোলিয়ার ডি'অর" নামে পরিচিত, যা ফরাসী থেকে গোল্ডেন শু বা বুট হিসাবে অনুবাদ করা হয়, একটি মৌসুমে সমস্ত ইউরোপীয় লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে, সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কড লিগের পক্ষে একটি ওজন ব্যবহার করে এটি গণনা করা হয়েছে। মূলত লেকিপ দ্বারা উপস্থাপিতম্যাগাজিন, এটি ১৯৯৬–৯৭ মৌসুম থেকে ইউরোপীয় স্পোর্টস মিডিয়া দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছে । লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় ছয়বার এই পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৬৮ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে, ইউরোপের যেকোনো লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যে লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার খেলেছে এবং খেলোয়াড় যে গেমে অংশ নিয়েছিল তার সংখ্যা নির্বিশেষে এটি ছিল। এই সময়ের মধ্যে ইউসেবিও, গের্ড মুলার, ডুডু জর্জস্কু এবং ফার্নান্দো গোমেস প্রত্যেকে দুবার করে সোনালী জুতো জিতেছিলেন।[]

সাইপ্রাস এফএ-এর প্রতিবাদের(যা দাবি করেছিল যে ৪০ গোলের সাথে একজন সাইপ্রিয়ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল, যদিও সিজনের জন্য সরকারী সর্বোচ্চ স্কোরার উভয়ই ১৯ গোলের সাথে তালিকাভুক্ত) পর লেকিপ ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর মধ্যে কোনো পুরস্কার জারি করেনি।

১৯৯৬–৯৭ মৌসুম থেকে, ইউরোপীয় স্পোর্টস মিডিয়া একটি পয়েন্ট সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে সোনালী জুতো প্রদান করেছে যা কঠিন লিগের খেলোয়াড়দের জিততে দেয় এমনকি তারা দুর্বল লিগের খেলোয়াড়ের চেয়ে কম গোল করলেও। ওজন নির্ধারণ করা হয় লিগের রেংকিংয়ের উয়েফা গুণাঙ্ক অনুসারে, যা পরবর্তীতে পূর্ববর্তী পাঁচটি মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রতিটি লিগের ক্লাবের ফলাফলের উপর নির্ভর করে । উয়েফা গুণাঙ্ক তালিকা অনুসারে শীর্ষ পাঁচটি লিগে করা গোলগুলিকে দুটির একটি গুণিতক দ্বারা গুণ করা হয়, ৬ থেকে ২২ রেঙ্কের লিগে করা গোলগুলিকে ১.৫ এর একটি গুণিতক দ্বারা গুণ করা হয় এবং র‍্যাঙ্ক করা লীগগুলিতে করা গোলগুলিকে গুণ করা হয় ২২ এবং নীচে ১ এর একটি গুণিতক দ্বারা গুণ করা হয়।[] এইভাবে, উচ্চ র‍্যাঙ্কের লিগে করা গোলগুলি দুর্বল লিগে করা গোলের চেয়ে বেশি গণনা করা হবে।[] এই পরিবর্তনের পর থেকে, শুধুমাত্র দুইজন বিজয়ী রয়েছেন যারা শীর্ষ পাঁচটি লিগের একটিতেও খেলছেন না (হেনরিক লারসন, ২০০০–০১ স্কটীয় প্রিমিয়ার লীগ এবং মারিও জার্দেল , ১৯৯৮–৯৯ প্রিমেইরা লিগা এবং ২০০১–০২ প্রিমেইরা লিগা) .

যদিও অতীতে একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে সোনালী জুতো ভাগ করা যেত, ২০১৯–২০ মৌসুমে এই নিয়মটি পরিবর্তন করা হয়েছিল যাতে পয়েন্টে টাই থাকলে অন্তত মিনিট খেলা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়া হয়।[] যদি টাই অব্যাহত থাকে, লিগ অ্যাসিস্টের সংখ্যা এবং, তারপরে, কম পেনাল্টি স্কোর, গণনা করা হবে। যদি টাই শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, পুরস্কার ভাগ করা হবে।

বিজয়ী

[সম্পাদনা]
খেলোয়াড় (X) সেই সময়ে খেলোয়াড় কতবার পুরস্কার জিতেছিল তা নির্দেশ করে
^ সেই মৌসুমে খেলোয়াড়ের ক্লাব লিগ জিতেছিল তা নির্দেশ করে
ইউরোপীয় সোনালী জুতো বিজয়ী[]
মৌসুম খেলোয়াড় ক্লাব লিগ গোল পয়েন্ট
বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করেছিল লেকিপ
১৯৬৭–৬৮ পর্তুগাল ইউসেবিও বেনফিকা ^ পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৪২
১৯৬৮–৬৯ বুলগেরিয়া পিটার জেকভ সিএসকেএ সোফিয়া ^ বুলগেরিয়া পার্ভা লিগা ৩৬
১৯৬৯–৭০ পশ্চিম জার্মানি গের্ড মুলার বায়ার্ন মিউনিখ জার্মানি বুন্দেসলিগা ৩৮
১৯৭০–৭১ যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র জসিফ স্কবলার মার্সেই ^ ফ্রান্স লিগ ১ ৪৪
১৯৭১–৭২ পশ্চিম জার্মানি গের্ড মুলার (২) বায়ার্ন মিউনিখ ^ জার্মানি বুন্দেসলিগা ৪০
১৯৭২–৭৩ পর্তুগাল ইউসেবিও (২) বেনফিকা ^ পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৪০
১৯৭৩–৭৪ আর্জেন্টিনা হেক্টর আজালদে স্পোর্টিং সিপি ^ পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৪৬
১৯৭৪–৭৫ রোমানিয়া ডুডু জর্জস্কু দিনামো বুকুরেস্তি ^ রোমানিয়া লিগা ১ ৩৩
১৯৭৫–৭৬ সাইপ্রাস সোতিরিস কায়াফাস ওমানিয়া নিকোসিয়া ^ সাইপ্রাস সাইপ্রিয়ট ফার্স্ট ডিভিশন ৩৯
১৯৭৬–৭৭ রোমানিয়া ডুডু জর্জস্কু (২) দিনামো বুকুরেস্তি ^ রোমানিয়া লিগা ১ ৪৭
১৯৭৭–৭৮ অস্ট্রিয়া হান্স ক্রাঙ্কল রাপিড ভিয়েনা অস্ট্রিয়া অস্ট্রীয় বুন্দেসলিগা ৪১
১৯৭৮–৭৯ নেদারল্যান্ডস কীস কিস্ত এজেড নেদারল্যান্ডস এরেডিভিজি ৩৪
১৯৭৯–৮০ বেলজিয়াম এরউইন ভান্দেনবার্ঘ লিয়ার্স বেলজিয়াম বেলজীয় প্রথম বিভাগ এ ৩৯
১৯৮০–৮১ বুলগেরিয়া জর্জি স্লাভকভ বোতেভ প্লভদিভ বুলগেরিয়া পার্ভা লিগা ৩১
১৯৮১–৮২ নেদারল্যান্ডস {উইম কিয়েফ্ত আয়াক্স ^ নেদারল্যান্ডস এরেডিভিজি ৩২
১৯৮২–৮৩ পর্তুগাল ফেরনান্দো গোমেজ পোর্তু পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৩৬
১৯৮৩–৮৪ ওয়েলস ইয়ান রুশ লিভারপুল ^ ইংল্যান্ড ফার্স্ট ডিভিশন ৩২
১৯৮৪–৮৫ পর্তুগাল ফেরনান্দো গোমেজ (২) পোর্তু ^ পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৩৯
১৯৮৫–৮৬ নেদারল্যান্ডস মার্কো ফন বাস্তেন আয়াক্স নেদারল্যান্ডস এরেডিভিজি ৩৭
১৯৮৬–৮৭ অস্ট্রিয়া টনি পলস্টার[] অস্ট্রিয়া ভিয়েনা অস্ট্রিয়া অস্ট্রীয় বুন্দেসলিগা ৩৯
১৯৮৭–৮৮ তুরস্ক তানজু চলাক গালাতাসারায় ^ তুরস্ক সুপার লিগ ৩৯
১৯৮৮–৮৯ রোমানিয়া ডোরিন মাতুত দিনামো বুকুরেতি রোমানিয়া লিগা আই ৪৩
১৯৮৯–৯০ মেক্সিকো হুগো সানচেজ রিয়াল মাদ্রিদ ^ স্পেন লা লিগা ৩৮
বুলগেরিয়া রিস্তো স্তোইচকোভ সিএসকেএ সোফিয়া ^ বুলগেরিয়া এ পিএফজি
১৯৯০–৯১[] যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র ডার্কো পানচেভ রেড স্টার বেলগ্রেড ^ যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র যুগোস্লাভ প্রথম লীগ ৩৪
বিজয়ীদের প্রাথমিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়নি
১৯৯১–৯২ স্কটল্যান্ড অ্যালি ম্যাককোইস্ট র‍েঞ্জার্স ^ স্কটল্যান্ড স্কটিশ প্রিমিয়ার বিভাগ ৩৪
১৯৯২–৯৩ স্কটল্যান্ড অ্যালি ম্যাককোইস্ট (২) র‍েঞ্জার্স ^ স্কটল্যান্ড স্কটিশ প্রিমিয়ার বিভাগ ৩৪
১৯৯৩–৯৪ ওয়েলস ডেভিড টেলর পোর্থমাডগ ওয়েলস ওয়েলস প্রিমিয়ার লিগ ৪৩
১৯৯৪–৯৫ আর্মেনিয়া আর্সেন অ্যাভেটিসিয়ান হোমনেটম্যান আর্মেনিয়া আর্মেনিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ৩৯
১৯৯৫–৯৬ জর্জিয়া (রাষ্ট্র) জভিয়াদ এন্দেলাদজ্ মার্গভেটি জর্জিয়া (রাষ্ট্র) উমাগলেসি লিগা ৪০
ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়ার পক্ষ থেকে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়
১৯৯৬–৯৭ ব্রাজিল রোনালদো বার্সেলোনা স্পেন লা লিগা ৩৪ ৬৮
১৯৯৭–৯৮ গ্রিস নিকোস মাকলাস ভিতেসে নেদারল্যান্ডস এরেডিভিজি ৩৪ ৬৮
১৯৯৮–৯৯ ব্রাজিল মারিও জার্দেল পোর্তু পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৩৬ ৭২
১৯৯৯–২০০০ ইংল্যান্ড কেভিন ফিলিপস সান্ডারল্যান্ড ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩০ ৩০
২০০০–০১ সুইডেন হেনরিক লারসন সেল্টিক ^ স্কটল্যান্ড স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগ ৩৫ ৫২.৫
২০০১–০২ ব্রাজিল মারিও জার্দেল (২) স্পোর্টিং সিপি ^ পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা ৪২ ৬৩
২০০২–০৩ নেদারল্যান্ডস রায় মাকায় দেপোর্তিভো লা কোরুনিয়া স্পেন লা লিগা ২৯ ৫৮
২০০৩–০৪ ফ্রান্স থিয়েরি অঁরি আর্সেনাল ^ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩০ ৬০
২০০৪–০৫ ফ্রান্স থিয়েরি অঁরি (২) আর্সেনাল ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ২৫ ৫০
উরুগুয়ে দিয়েগো ফরলান ভিয়ারিয়াল স্পেন লা লিগা
২০০৫–০৬ ইতালি লুকা টনি ফিওরেন্তিনা ইতালি সেরিয়ে আ ৩১ ৬২
২০০৬–০৭ ইতালি ফ্রাঞ্চেস্কো তত্তি রোমা ইতালি সেরিয়ে আ ২৬ ৫২
২০০৭–০৮ পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ^ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩১ ৬২
২০০৮–০৯ উরুগুয়ে দিয়েগো ফরলান (২) আতলেতিকো মাদ্রিদ স্পেন লা লিগা ৩২ ৬৪
২০০৯–১০ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ^ স্পেন লা লিগা ৩৪ ৬৮
২০১০–১১ পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (২) রিয়াল মাদ্রিদ স্পেন লা লিগা ৪০ ৮০
২০১১–১২ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (২) বার্সেলোনা স্পেন লা লিগা ৫০ ১০০
২০১২–১৩ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (৩) বার্সেলোনা ^ স্পেন লা লিগা ৪৬ ৯২
২০১৩–১৪ উরুগুয়ে লুইস সুয়ারেস লিভারপুল ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩১ ৬২
পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৩) রিয়াল মাদ্রিদ স্পেন লা লিগা
২০১৪–১৫ পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৪) রিয়াল মাদ্রিদ স্পেন লা লিগা ৪৮ ৯৬
২০১৫–১৬ উরুগুয়ে লুইস সুয়ারেস (২) বার্সেলোনা ^ স্পেন লা লিগা ৪০ ৮০
২০১৬–১৭ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (৪) বার্সেলোনা স্পেন লা লিগা ৩৭ ৭৪
২০১৭–১৮ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (৫) বার্সেলোনা ^ স্পেন লা লিগা ৩৪ ৬৮
২০১৮–১৯ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি (৬) বার্সেলোনা ^ স্পেন লা লিগা ৩৬ ৭২
২০১৯–২০ ইতালি চিরো ইম্মোবিলে লাৎসিয়ো ইতালি সেরিয়ে আ ৩৬ ৭২
২০২০–২১ পোল্যান্ড রবের্ত লেভানদোভস্কি বায়ার্ন মিউনিখ ^ জার্মানি বুন্দেসলিগা ৪১ ৮২
২০২১–২২ পোল্যান্ড রবের্ত লেভানদোভস্কি (২) বায়ার্ন মিউনিখ ^ জার্মানি বুন্দেসলিগা ৩৫ ৭০
২০২২–২৩ নরওয়ে আরলিং হোলান ম্যানচেস্টার সিটি ^ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩৬ ৭২
নোট
  1. মূল ১৯৮৬–৮৭ মৌসুমের বিজয়ী রডিয়ন কামাতারু (৪৪ গোল সহ) পরে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং 1990 সালে পোলস্টারকে ট্রফি প্রদান করা হয়। তবে, কামাতারুকে তার ট্রফির অনুলিপি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[]
  2. ডার্কো পানচেভ ১৯৯০–৯১ মৌসুমের জন্য তার পুরস্কার পেয়েছিলেন পরে, শুধুমাত্র 2006 সালে,[] সাইপ্রাসের একটি প্রতিবাদের পরে যেখানে একজন খেলোয়াড় অনুমিতভাবে ৪০টি গোল করেছিলেন (যদিও সিজনের অফিসিয়াল টপস্কোরার, সুয়াদ বেসিরেভিচ এবং প্যানাইওটিস জিওরোউপাস , হলেন প্রতিটি 19টি গোল সহ তালিকাভুক্ত)। এই ঘটনার কারণে ফ্রান্স ফুটবল প্রতিযোগিতাটিকে অনানুষ্ঠানিক করার সিদ্ধান্ত নেয়।[]

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

একাধিক বিজয়ী

[সম্পাদনা]

লিওনেল মেসিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বার্সেলোনার হয়ে ছয়বার এই পুরস্কার জিতেছেন । এছাড়াও তিনি ২০১১–১২ সালে ৫০ সহ এক সিজনে গোল করার সর্বকালের রেকর্ডও রাখেন, যা রেকর্ড ১০০ পয়েন্টে জমা হয়েছিল। বায়ার্ন মিউনিখের গের্ড মুলার ছিলেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৯৬৯–৭০ এবং ১৯৭১–৭২ সালে দুবার পুরস্কার জিতেছিলেন। মেসিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি এই পুরস্কারটি তিনবার জিতেছেন এবং মেসিই আবার প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পাঁচ ও ছয়বার এটি জিতেছেন। শুধুমাত্র মেসি (২০১৬–১৭, ২০১৭–১৮ এবং ২০১৮–১৯) টানা তিন মৌসুমে পুরস্কার জিতেছেন। থিয়েরি অঁরি (২০০৩–০৪ এবং ২০০৪–০৫), মেসি (২০১১–১২ এবং ২০১২–১৩; ২০১৬–১৭, ২০১৭–১৮ এবং ২০১৮–১৯), ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (২০১৩–১৪ এবং ২০১৪–১৫), রবের্ত লেভানদোভস্কি(২০২০–২১ এবং ২০২১–২২) এবং অ্যালি ম্যাককোইস্ট (১৯৯১–৯২ এবং ১৯৯২–৯৩) পরপর সিজনে পুরস্কার জিতেছে। দিয়েগো ফরলান (ভিয়ারিয়াল এবং আতলেতিকো মাদ্রিদ), লুইস সুয়ারেস (লিভারপুল এবং বার্সেলোনা), মারিও জার্দেল (পোর্তু এবং স্পোর্টিং সিপি) এবং রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদ) একমাত্র খেলোয়াড় যারা একাধিক ক্লাবের সাথে এই পুরস্কার জিতেছেন। রোনালদো এবং সুয়ারেসই একমাত্র খেলোয়াড় যারা দুটি ভিন্ন লিগে পুরস্কার জিতেছেন, প্রত্যেকেই প্রিমিয়ার লিগ এবং লা লিগা উভয় খেলার সময় পুরস্কার জিতেছেন।

একাধিক ইউরোপীয় সোনালী জুতো বিজয়ী
খেলোয়াড় জিতেছে মৌসুম
আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি ২০০৯–১০, ২০১১–১২, ২০১২–১৩, ২০১৬–১৭, ২০১৭–১৮, ২০১৮–১৯
পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ২০০৭–০৮, ২০১০–১১, ২০১৩–১৪ (ভাগাভাগি), ২০১৪–১৫
পর্তুগাল ইউসেবিও ১৯৬৭–৬৮, ১৯৭২–৭৩
পশ্চিম জার্মানি গের্ড মুলার ১৯৬৯–৭০, ১৯৭১–৭২
রোমানিয়া ডুডু জর্জস্কু ১৯৭৪–৭৫, ১৯৭৬–৭৭
পর্তুগাল ফার্নান্দো গোমেস ১৯৮২–৮৩, ১৯৮৪–৮৫
স্কটল্যান্ড অ্যালি ম্যাককোইস্ট ১৯৯১–৯২, ১৯৯২–৯৩
ব্রাজিল মারিও জার্দেল ১৯৯৮–৯৯, ২০০১–০২
ফ্রান্স থিয়েরি অঁরি ২০০৩–০৪, ২০০৪–০৫ (ভাগাভাগি)
উরুগুয়ে দিয়েগো ফরলান ২০০৪–০৫ (ভাগাভাগি), ২০০৮–০৯
উরুগুয়ে লুইস সুয়ারেস ২০১৩–১৪ (ভাগাভাগি), ২০১৫–১৬
পোল্যান্ড রবের্ত লেভানদোভস্কি ২০২০–২১, ২০২১–২২
লিওনেল মেসি এই পুরস্কারের সর্বকালের রেকর্ড বিজয়ী, এটি মোট ছয়বার জিতেছেন। এক মৌসুমে সর্বাধিক গোল এবং সর্বাধিক পয়েন্টের রেকর্ডও (যথাক্রমে ৫০ এবং ১০০, ২০১১–১২ সালে) তার দখলে।
ইউসেবিও ১৯৬৮ সালে পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী ছিলেন।
গের্ড মুলার ছিলেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৯৭০ এবং ১৯৭২ সালে দুবার এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সর্বকালের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, চারটি গোল্ডেন জুতা জিতেছেন, পাশাপাশি পরপর দুটি। ২০১৪–১৫ সালে তার রেকর্ড যথাক্রমে ৪৮ গোল এবং ৯৬ পয়েন্ট।

ক্লাব অনুসারে বিজয়ী

[সম্পাদনা]
ক্লাব অনুযায়ী ইউরোপীয় সোনালী জুতো বিজয়ী
ক্লাব মোট খেলোয়াড়
স্পেন বার্সেলোনা
স্পেন রিয়াল মাদ্রিদ
জার্মানি বায়ার্ন মিউনিখ
রোমানিয়া দিনামো বুকুরেতি
পর্তুগাল পোর্তু
বুলগেরিয়া সিএসকেএ সোফিয়া
ইংল্যান্ড লিভারপুল
নেদারল্যান্ডস Ajax
পর্তুগাল স্পোর্টিং সিপি
ইংল্যান্ড আর্সেনাল
পর্তুগাল বেনফিকা
স্কটল্যান্ড র‍েঞ্জার্স
আর্মেনিয়া হোমনেটম্যান
অস্ট্রিয়া অস্ট্রিয়া ভিয়েনা
অস্ট্রিয়া রাপিড ভিয়েনা
বেলজিয়াম লিয়ার্স
বুলগেরিয়া বোতেভ প্লোভডিভ
সাইপ্রাস ওমোনিয়া নিকোসিয়া
ইংল্যান্ড ম্যানচেস্টার সিটি
ইংল্যান্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ইংল্যান্ড সান্ডারল্যান্ড
ফ্রান্স মার্সেই
জর্জিয়া (রাষ্ট্র) মার্গভেটি
ইতালি ফিওরেন্তিনা
ইতালি লাৎসিয়ো
ইতালি রোমা
নেদারল্যান্ডস আল্কমার
নেদারল্যান্ডস ভিতেসে
স্কটল্যান্ড সেল্টিক
স্পেন আতলেতিকো মাদ্রিদ
স্পেন দেপোর্তিভো লা কোরুনিয়া
স্পেন ভিয়ারিয়াল
তুরস্ক গালাতাসারায়
ওয়েলস পোর্থমাডগ
যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র রেড স্টার বেলগ্রেড

জাতীয়তা অনুসারে বিজয়ী

[সম্পাদনা]
জাতীয়তার ভিত্তিতে ইউরোপীয় সোনালী জুতো বিজয়ী
জাতীয়তা মোট খেলোয়াড়
 পর্তুগাল
 আর্জেন্টিনা
 নেদারল্যান্ডস
 উরুগুয়ে
 বুলগেরিয়া
 ইতালি
 ব্রাজিল
 রোমানিয়া
 অস্ট্রিয়া
 ওয়েলস
 যুগোস্লাভিয়া
 ফ্রান্স
 পশ্চিম জার্মানি
 স্কটল্যান্ড
 পোল্যান্ড
 আর্মেনিয়া
 বেলজিয়াম
 সাইপ্রাস
 ইংল্যান্ড
 জর্জিয়া
 গ্রিস
 মেক্সিকো
 সুইডেন
 তুরস্ক
 নরওয়ে

লিগ অনুসারে বিজয়ী

[সম্পাদনা]
লিগ অনুসারে ইউরোপীয় সোনালী জুতো বিজয়ী
লিগ মোট খেলোয়াড়
স্পেন লা লিগা ১৫
ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ
পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগা
নেদারল্যান্ডস এরেডিভিজি
জার্মানি বুন্দেসলিগা
ইতালি সেরিয়ে আ
বুলগেরিয়া পারভা লিগা
স্কটল্যান্ড স্কটিশ প্রিমিয়ার ডিভিশন
রোমানিয়া লিগা আই
অস্ট্রিয়া অস্ট্রীয় বুন্দেসলিগা
ফ্রান্স লিগ ১
সাইপ্রাস সাইপ্রিয়ট প্রথম ডিভিশন
বেলজিয়াম বেলজীয় প্রো লিগ
তুরস্ক সুপার লিগ
যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র যুগোস্লাভ প্রথম লীগ
ওয়েলস কেমরে প্রিমিয়ার
আর্মেনিয়া আর্মেনিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
জর্জিয়া (রাষ্ট্র) উমাগলেসি লিগা

২০২২–২৩ মৌসুম স্ট্যান্ডিং

[সম্পাদনা]
১৫ জুন ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
২০২২–২৩ ইউরোপীয় সোনালী জুতো র‍্যাঙ্কিং
র‍্যাঙ্ক খেলোয়াড় ক্লাব লিগ গোল মিনিট[N ১] ফ্যাক্টর[N ২] পয়েন্ট
নরওয়ে আরলিং হোলান্দ ম্যানচেস্টার সিটি ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩৬ ২৭৭৬ ৭২
ইংল্যান্ড হ্যারি কেন টটেনহ্যাম হটস্পার ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগ ৩০ ৩৪০৮ ৬০
ফ্রান্স কিলিয়ান এমবাপে পারি সাঁ-জেরমাঁ ফ্রান্স লিগ ১ ২৯ ২৮২২ ৫৮
ফ্রান্স আলেক্সাঁদ্র লাকাজেত লিয়োনে ফ্রান্স লিগ ১ ২৭ ২৯৩৫ ৫৪
নাইজেরিয়া ভিক্টর ওসিমহেন নাপোলি ইতালি সেরিয়ে আ ২৬ ২৫৮২ ৫২
কানাডা জনাথন ডেভিড লিল ফ্রান্স লিগ ১ ২৪ ৩১৭৯ ৪৮
পোল্যান্ড রবের্ত লেভানদোভস্কি বার্সেলোনা স্পেন লা লিগা ২৩ ২৮৫২ ৪৬
ইকুয়েডর এনের ভালেনসিয়া ফেনারবাহচে তুরস্ক সুপার লিগ ২৯ ২২৫৬ ১.৫ ৪৩.৫
আর্জেন্টিনা লাউতারো মার্তিনেস ইন্টার মিলান ইতালি সেরিয়ে আ ২১ ২৫৭৪ ৪২
১০ বেলজিয়াম লুইস ওপেন্দা লঁস ফ্রান্স লিগ ১ ২১ ২৫৩২ ৪২
টীকা
  1. পয়েন্টে টাই হলে, খেলোয়াড়দের র‍্যাঙ্কিং করা হয় সবচেয়ে কম মিনিট খেলার ভিত্তিতে।
  2. উয়েফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচটি দেশের চ্যাম্পিয়নশিপের ফ্যাক্টর ২। ৬ তম থেকে 22 তম স্থানে থাকা দেশগুলির ফ্যাক্টর ১.৫। অন্যান্য দেশে ১ এর ফ্যাক্টর আছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Golden Boot: The Quotients Decide It All"soccerphile.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ 
  2. "European Golden Shoe"European Sports Magazine। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২ 
  3. "The European Golden Shoe"। FIFA। ১৩ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২ 
  4. "What does Cristiano Ronaldo need to secure his fifth Golden Boot?"। Marca। ২৩ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ 
  5. "Golden Boot ("Soulier d'Or") Awards"RSSSF.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৯ 
  6. "Macedonia's Pancev awarded Golden boot....15 years late"Dnaindia.com। ৪ আগস্ট ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]