আতা উল হক কাসমি
আতা উল হক কাসমি | |
---|---|
عطا الحق قاسمی | |
জন্ম | [১] | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
পেশা | কলাম লেখক, সাংবাদিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত, সাবেক অধ্যাপক, উর্দু সাহিত্যিক |
পরিচিতির কারণ | সংবাদপত্রে মজাদার কলাম লিখন |
সন্তান | ইয়াসির পীরজাদা,[২] পীরজাদা মুহাম্মদ ওমর কাসমি পিরজাদা মুহাম্মদ আলী উসমান কাসমি |
আতা উল হক কাসমি (পাঞ্জাবি, উর্দু: عطا الحق قاسمی) হলেন একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক, কলাম লেখক, নাট্যকার এবং কবি। তিনি প্রায় বিশটি বই রচনা করেছেন ও পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কলাম লিখেছেন।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন এবং কর্মজীবন
[সম্পাদনা]কাসমি ১৯৪৩ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার মূলত কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত।[৪] তার পিতা মাওলানা বাহাউল হক কাসমি অমৃতসরের মাও উচ্চ বিদ্যালয় এবং মাও কলেজে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর, তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে। তারা প্রথমে ওয়াজিরাবাদে বসতি স্থাপন করেন কিন্তু পরে লাহোরে চলে আসেন। আতা-উল হক কাসেমি লাহোরে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি লাহোরের মাও কলেজ থেকে স্নাতক লাভ করেন। আতা উল হক কাসমি প্রথমে উর্দু ভাষার সংবাদপত্র নওয়া-ই-ওয়াক্তে সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক মজিদ নিজামী এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি দৈনিক জং এবং অন্যান্য অনেক পত্রিকায় কলাম লিখতে শুরু করেন।
কাসমির কলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি সমাজের সামাজিক বৈষম্যগুলি ব্যঙ্গাত্মক রচনার মাধ্যমে তুলে ধরতেন। এছাড়া তিনি তার স্বৈরশাসন বিরোধী অবস্থান স্ব-কলামগুলিতে সাহসের সাথে তুলে ধরেন। দেশের গুরুতর বিষয়গুলিও হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরে লেখার কারণে তার লিখন শৈলী সমসাময়িক অন্যান্য লেখকদের থেকে আলাদা ছিল।[৫]
আতা উল হক কাসমি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত নরওয়ে ও থাইল্যান্ডে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] তার বই এবং সংবাদপত্রের কলামগুলির মধ্যে রয়েছে "কলাম তামাম", "শার গোশিয়ান", "হান্সনা রোনা মানা হে", "মাজিদ গঞ্জে ফারিস্তে" ইত্যাদি। তার রচিত টিভি ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে সর্বাধিক জনপ্রিয় পিটিভির নাটক "খাজা অ্যান্ড সন" (১৯৮৮), "শব দাইগ" এবং "শিদা তাল্লি" নামে পরিচিত "আপ কা খাদিম"। 'শব দাইগ' ও 'শীদা তাল্লি' পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন মুশতাক চৌধুরী। তাঁর ভ্রমণকাহিনীর মধ্যে "শোক-ই-আওয়ারগি" এবং "গোরন কে দেস মে" পাঠকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৫] ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে, তিনি লাহোর শিল্পকলা পরিষদের সম্মানসূচক চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করন।[৬][৭]
প্রবীণ পাকিস্তানি সাংবাদিক আলতাফ গওহর একবার তাকে পাকিস্তানের সবচেয়ে মজাদার সংবাদপত্রের কলামলেখক হিসাবে অভিহিত করেন। প্রখ্যাত লেখক মুশতাক আহমেদ ইউসুফি তাকে দেশের শ্রেষ্ঠ সংবাদপত্রের কলামলেখক বলে অভিহিত করেন। তিনি ৫২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন।[৩][৬][৮]
২০১৫ সালে, তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন, যেখানে তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৬][৮][৫] তিনি নাট্যকার হিসাবে ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানি টেলিভিশনের সাথে যুক্ত।[৬]
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]- ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তমঘা-ই হাসিন কারকারদেগি পুরস্কার[৬]
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার[৬][৫]
- ২০১৪ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক হিলাল-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার[৯][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ rekhta.org ওয়েবসাইটে আতাউল হক কাসমির কবিতা
- ↑ Yasir Pirzada (son of Ata ul Haq Qasmi) on pakistanherald.com website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে
- ↑ ক খ পাকিস্তান টাইমস (সংবাদপত্র)-এ আতা উল হক কাসমির প্রোফাইল
- ↑ "Ataul Haq Qasmi debunks myths about his state TV stint"। www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Ata-ul-Haq Qasmi appointed as Chairman PTV"। hipinpakistan.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫। ২৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে আতা উল হক কাসমির প্রোফাইল
- ↑ "Lahore Arts Council ( Ata ul Haq Qasmi, chairman, Board of Governors and other Members)"। লাহোর শিল্পকলা পরিষদ। অক্টোবর ২০১৩। ২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ Ata ul Haq Qasmi appointed Chairman of Pakistan Television Corporation on Aaj TV website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে
- ↑ "Recipients of civil, military awards"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২৩।