আকসা মসজিদ, রাবওয়া
আকসা মসজিদ, রাবওয়া | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | আহ্মদীয়া |
অবস্থান | |
অবস্থান | রাবওয়া, চিনিওট, পাঞ্জাব, পাকিস্তান |
প্রশাসন | আহ্মদীয়া সম্প্রদায় |
স্থানাঙ্ক | ৩১°৪৫′৬″ উত্তর ৭২°৫৪′৩৮″ পূর্ব / ৩১.৭৫১৬৭° উত্তর ৭২.৯১০৫৬° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | আবদুল রশিদ |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মুঘল স্থাপত্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৭২ |
নির্মাণ ব্যয় | ১.৫ মিলিয়ন রুপি |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ২০,০০০ |
মিনার | ৬ |
মিনারের উচ্চতা | ২০ মিটার এবং ১২ মিটার |
স্থানের এলাকা | ১.৬ একর (৬,৫০০ মি২) |
আকসা মসজিদ পাকিস্তানের আহ্মদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৬৬ সালে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। মসজিদটি ১৯৭২ সালের ৩১ মার্চ আহ্মদীয়া সম্প্রদায়ের বিশ্বব্যাপী প্রধান মির্জা নাসির আহমেদ উদ্বোধন করে।[১] [২]এটি রাবওয়ার আহ্মদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান মসজিদ যেখানে ২০,০০০ জন মুসল্লী থাকতে পারে।[৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নির্মাণ
[সম্পাদনা]মোবারক মসজিদের ধারণক্ষমতা অপর্যাপ্ত হওয়ায় ১৯৬৪ সালে রাবওয়াতে একটি জামে মসজিদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য ১৯৬৪ সালের ৭ জুলাই আল-ফজল পত্রিকার মাধ্যমে একটি আবেদন করা হয় এবং ওই বছরের ২১ জুলাই নাগাদ তহবিলের ব্যবস্থা করা হয় এবং সংবাদপত্রে আবেদন বন্ধ করা হয়। ১৯৬৬ সালের ২৮ অক্টোবর ৫,০০০ অতিথির উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রয়াত মির্জা নাসির আহমেদ ভারতের আকসা মসজিদ থেকে আনা একটি পাথর দিয়ে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।[৫] [৬] [৭] [২]
১৯৮৪ পরবর্তী
[সম্পাদনা]১৯৮৪ সালের ২৬ এপ্রিল পাকিস্তান একটি অধ্যাদেশ পাস করে এবং বিশ্বব্যাপী আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান মির্জা তাহির আহমদ লন্ডনে চলে যান। ওই সময়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং পাকিস্তানে আহমদীদের নিপীড়নের কারণে মসজিদ চত্বরের চারপাশে একটি সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় [৮] ১৯৮৬ সালে এবং শেষ হয় ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
নির্মাণ এবং নকশা
[সম্পাদনা]সেই সময়ে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান মির্জা বশির-উদ-দীন মাহমুদ আহমেদ-এর নির্দেশে আবদুল রশিদ মসজিদের নকশা তৈরি করেছিলেন। নির্মাণের ব্লুপ্রিন্ট তার জীবদ্দশায় প্রস্তুত করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে তার দ্বারা ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। মসজিদের কলামবিহীন প্রধান হলটির আয়তন ১,৬৪০ বর্গ মিটার এবং প্রাঙ্গণের আয়তন ৪,৫২০ বর্গ মিটার। মসজিদটির মূল নকশা বাদশাহী মসজিদ এবং জামে মসজিদ, দিল্লি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যায়। ৬,৫০০ মিটার 2 বড় কম্পাউন্ডের সাথে মসজিদটি ২০,০০০ জন মুসল্লি ধারণ করতে পারে। [৯] [১০] মসজিদটিতে মোট ৬টি মিনার রয়েছে যার মধ্যে চারটি প্রায় ২০ মিটার এবং দুটি ১২ মিটার উঁচু।[৫] [১১]
মসজিদটি নির্মাণে আনুমানিক ১.৫০ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছে, যার বেশিরভাগই মুহাম্মদ সিদ্দিক বানী বহন করেছিলেন, যদিও তার অনুরোধের কারণে তার মৃত্যু পর্যন্ত তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তার মৃত্যুর পর বাকি খরচ দেন শেখ আবদুল মজিদ।[১] [১২] [২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Nusrat Jehan Project" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ ক খ গ Shahid, Dost Muhammad (২০০০)। Tarikh-e-Ahmadiyyat। 23। পৃষ্ঠা 589।
- ↑ Zahra-Malik, Mehreen (২০১৭-১২-২৭)। "Shunned by Pakistan's Muslims, Ahmadis Find Refuge in a City of Their Own"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ Valentine, Simon Ross (২০০৮)। Islam and the Ahmadiyya Jama'at: History, Belief, Practice (ইংরেজি ভাষায়)। Hurst Publishers। আইএসবিএন 978-1-85065-916-7।
- ↑ ক খ "Khilafat and Mujaddidiyyat" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ Shahid, Dost Muhammad। Tarikh-e-Ahmadiyyat। পৃষ্ঠা 591।
- ↑ Shahid, Dost Muhammad। Tarikh-e-Ahmadiyyat। পৃষ্ঠা 587।
- ↑ Shahid, Dost Muhammad। Tarikh-e-Ahmadiyyat। পৃষ্ঠা 48–49।
- ↑ Zahra-Malik, Mehreen (২০১৭-১২-২৭)। "Shunned by Pakistan's Muslims, Ahmadis Find Refuge in a City of Their Own (Published 2017)"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ Valentine, Simon Ross (২০০৮)। Islam and the Ahmadiyya Jama'at: History, Belief, Practice (ইংরেজি ভাষায়)। Hurst & Company। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 978-1-85065-916-7।
- ↑ Shahid, Dost Muhammad। Tarikh-e-Ahmadiyyat। পৃষ্ঠা 47।
- ↑ Shahid, Dost Muhammad। Tarikh-e-Ahmadiyyat। পৃষ্ঠা 46।
বহি:সংযোগ
[সম্পাদনা]- প্যানোরামিও-তে: আকসা মসজিদ, রাবওয়াহ