রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল
রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল, প্রথম ব্যারন বেডেন-পাওয়েল, ওএম, জিসিএমজি, জিসিভিও, কেসিবি (ইংরেজি: Robert Stephenson Smyth Baden-Powell; ফেব্রুয়ারি ২২ , ১৮৫৭ - ৮ জানুয়ারি, ১৯৪১) স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত হয়ে আছেন। এছাড়াও, তিনি ইংরেজ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তার পূর্ণ নাম রবার্ট স্টিভেন্সন স্মিথ লর্ড বেডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল। স্কাউটদের মাঝে তিনি বি.পি. এবং গিলওয়েলের বেডেন পাওয়েল নামেও সমাধিক পরিচিত। বেডেন পাওয়েল এর বাবা ছিলেন অক্সফোর্ড এর প্রফেসর আর.এইচ.জি পাওয়েল ও মা হেনরিয়েটা গেসা।
কর্মজীবন
বেডেন পাওয়েল লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৮৭৬ সালে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ১৩ নং হসাসদলে যোগদান করেন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাংলো-এশেনতি এবং বোয়ের যুদ্ধসহ প্রভৃতি ব্রিটিশ উপনিবেশে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং বেশ কিছু ইতিহাস প্রসিদ্ধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, মাল্টায় নিয়োজিত ছিলেন। সামরিক জীবনের শেষদিকে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান এবং অশ্বারোহী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সামারিক বাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি সফলতা পান ম্যাফেকিং অবরোধে। সেজন্যেই তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। পরবর্তীতে ১৯১০ সালে বেডেন পাওয়েল লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
স্কাউটিং
সামরিক জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষ করে ম্যাফেকিংয়ের যুদ্ধ থেকে তিনি ধারণা পান বালকদেরকে দিয়েও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমাধা করা যেতে পারে। ম্যাফেকিংয়ের যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক বালকদলের অবদান দেখে তিনি অভিভূত হন এবং এরপর থেকেই বালকদেরকে নিয়ে কিছু একটা করার পরিকল্পনা চলতে থাকে। পরবর্তীতে মাত্র ২০ জন বালক নিয়ে ১৯০৭ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে স্কাঊট আন্দোলন বা বয় স্কাউট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ প্রসঙ্গে তিনি তার প্রথম পুস্তিকা 'হ্যান্ডবুক ফর বয়েজ' লিখেন। স্কাউটক্রাফটকে ভিত্তি করে উডব্যাজ প্রোগ্রাম শুরু করেন যা জুলু সম্প্রদায়ের জীবনগাঁথাকে ঘিরে পরিচালিত হয়েছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
জানুয়ারি, ১৯১২ সালে রবার্ট বেডেন পাওয়েল স্কাউটের বিশ্ব সফরের অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের পথে বের হয়েছেন। পথিমধ্যে ওলেভ সেন্ট ক্লেয়ার সোমেজর সাথে পরিচিত হন।[১][২] ২৩ বছর বয়সী ওলেভ এবং ৫৫ বছর বয়সী রবার্ট ২২ ফেব্রুয়ারি একই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পাওয়েলের অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির কারণে একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে বাগদান পর্ব সমাপণ করেন। কঠোর গোপনীয়তায় তারা পার্কস্টোনের সেন্ট পিটার্স চার্চে ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৩][৪] ইংল্যান্ডের স্কাউট এবং গাইডেরা প্রত্যেকই এক পেনি করে চাঁদা সংগ্রহ করে বেডেন-পাওয়েল দম্পতির জন্যে বিয়ের উপহারস্বরূপ একটি গাড়ী দেয়। ব্রাউনসী আইল্যান্ডের সেন্ট ম্যারি'জ চার্চের অভ্যন্তরে তাদের বিয়ের স্মারক চিহ্ন রয়েছে।
রবার্ট বেডেন-পাওয়েল এবং ওলেভ বেডেন পাওয়েল হ্যাম্পশায়ারের বেন্টলের কাছাকাছি প্যাক্স হিলে ১৯১৯ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন।[৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Baden-Powell, Olave. "Window on My Heart". The Autobiography of Olave, Lady Baden-Powell, G.B.E.as told to Mary Drewery. Hodder and Stoughton. Retrieved 16 November 2006."। ২১ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ ""Fact Sheet: The Three Baden-Powell's: Robert, Agnes, and Olave" (PDF). Girl Guides of Canada. Archived from the original on 9 March 2008. Retrieved 2 January 2007." (পিডিএফ)। ৯ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০০৮।
- ↑ "Baden-Powell: Two lives of Hero" by William Hillcourt, Heineman, 1964, p. 335.
- ↑ "Olave St Clair Baden-Powell (née Soames), Baroness Baden-Powell; Robert Baden-Powell, 1st Baron Baden-Powell". National Portrait Gallery. Retrieved 16 November 2006.
- ↑ "Wey people, the big names of the valley". Wey River freelance community. Retrieved 29 April 2007.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |