বিষয়বস্তুতে চলুন

সী ডগস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সী ডগস ছিল ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথের সময়কার জলদস্যু এবং তারা এলিজাবেথান জলদস্যু হিসেবেও পরিচিত ছিল।[] তারা ১৫৬০ থেকে ১৬০৫ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এসব জলদস্যুরা ছিল রাণী প্রথম এলিজাবেথের অনুমোদিত জলদস্যু যারা সাচরাচর স্প্যানীয় জাহাজ আক্রমণ করত; এমনকি যখন তাদের সাথে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করত না তখনও। রাণীর অনুমতির জন্যই মূলত তারা জলদস্যুতা করত এবং তাদের জন্য লেটার অফ মার্কি নামে একটি সরকারি অনুমতিপত্রও জাড়ি করা হয়েছিল।[]

১৫৬০-এর দশকে জন হকিন্স ছিলেন সী ডগসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যিনি সাধারনত ক্যরিবীয় অঞ্চলে স্প্যানীয়দের আক্রমণ করতেন।[] সী ডগসরা এছাড়াও আফ্রিকায় দাস বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিল। স্যার জন হকিন্স ব্রিটিশ দাস বাণিজ্যের প্রথমদিককার ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত কারণ তিনিই প্রথম ত্রিজাতিয় দাস বাণিজ্য শেষে সেখান থেকে মুনাফা অর্জনে সমর্থ হন। কিন্তু তিনি আফ্রিকা থেকে দাস নিয়ে ইংল্যাণ্ডে আসা প্রথম ব্যক্তি নন।

স্যার ফ্রান্সিস ড্রেকও সী ডগসের একজন সদস্য ছিলেন এবং তিনি অধিুনিককালে প্রশান্ত উপকূলে সানফ্রান্সিসকোতে স্প্যানীয় জাহাজ আক্রমণ ও লুট করতেন। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্রযাত্রায় তিনি প্রশান্ত উপকূলে স্প্যানীয় জাহাজ আক্রমণের জন্য বের হন এবং ইংল্যান্ডে ফেরার পথে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে সমুদ্র-পথে বিশ্ব-ভ্রমণ করতে সমর্থ হন।[]

১৯৮৮ সালে স্প্যানিশ আর্মাডা ধ্বংসের পিছনে সী ডগসের সদস্য ফ্রান্সিস ড্রেক, জন হকিন্স, ওয়াল্টার রেলিগমার্টিন ফ্রোবিশের সকলেই যুক্ত ছিলেন।[] অন্যান্য বিখ্যাত সী ডগসদের মধ্যে ছিলেন, থমাস ক্যাভেন্ডিশ, হামফ্রে গিলবার্টসহ আরো অনেকে।

১৬০৪ সালে স্পেনের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরও অনেক সী ডগস বারবারী উপকূলে তাদের জলদস্যু কার্যক্রম চালিয়ে যায় ও এরফলে অ্যাংলো-তুর্কী জলদস্যুতার উত্থান ঘটে যা পরবর্তীতে ইংরেজ সিংহাসনের বিব্রতের কারণ হয়ে উঠে।[][]

পদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. English/British naval history to 1815: a guide to the literature Eugene L. Rasor p.247 [১]
  2. "Elizabethan Sea Dogs 1560-1605 Angus Konstam, Angus McBride"। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  3. United States history to 1877 Nelson Klose, Robert F. Jones p.17
  4. "Elizabethan Sea Dogs 1560-1605 by Angus Konstam, Angus McBride p.3"। ২৮ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  5. Sick economies: drama, mercantilism, and disease in Shakespeare's England Jonathan Gil Harris p.152ff [২]
  6. Mimesis and Empire: The New World, Islam, and European Identities Barbara Fuchs p.121 [৩]