ভাবানুভূতির ইতিহাস
আবেগের ইতিহাস মানুষের আবেগের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক গবেষণার ক্ষেত্র যা বিশেষত সাংসস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক পর্বের মধ্যকার অভিজ্ঞতা এবং আবেগের প্রকাশ মধ্যে প্রকারভেদকে বোঝায়। বিশ শতকের শুরুতে লুসিয়ান ফেব্রা এবং পিটার গের মত লেখকদের নিয়ে, বিস্তারিত পরিসরে একটি পদ্ধতিগত ধারা প্রয়োগ করা হয়।
ব্যাপ্তি
[সম্পাদনা]গত দশকে, ঐতিহাসিক গবেষণার জগতে আবেগের ইতিহাস একটি ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীল এবং বৌদ্ধিকভাবে উদ্দীপক শাখা হিসাবে বিকশিত হয়েছে। যদিও আবেগের ইতিহাসের পূর্বসূর রয়েছে— বিশেষত ফেব্রেরের হিস্টোরি ডেস সেনসিবিললিটিস [১] বা সমকামির মনস্তত্ত্ব ইতিহাস (Gay's Psychohistory)।[২] শাখাটি ধারণাগত ইতিহাস, ঐতিহাসিক গঠনবাদ এবং দৈহিক ইতিহাস ইত্যাদি নব্য ঐতিহাসিকরেখা পদ্ধতিতে পদ্ধতিগত রূপান্তর করে। [৩]
আবেগের সমাজবিজ্ঞান বা আবেগের নৃবিজ্ঞানের মত, আবেগের ইতিহাস অনুভূতির প্রকাশের ভিত্তির উপর কেবল স্বতঃসিদ্ধ করেই নয়, সে অনুভূতিগুলো আত্মস্থও করা হয়। সংস্কৃতি এবং ইতিহাস যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং একই সাথে অনুভূতির পাশাপাশি তাদের প্রকাশভঙ্গিও পরিবর্তিত হচ্ছে। অনুভূতির সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা এবং শক্তিমত্তা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পরিবর্তনশীল। অনেক ঐতিহাসিকের দৃষ্টিতে, আবেগ কেবল ইতিহাসের একটি মৌলিক বিভাগ, যেমনটা শ্রেণি, বর্ণ বা লিঙ্গ একেকটি বিভাগ।
পদ্ধতি
[সম্পাদনা]সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিগত পন্থায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আবেগ অনুভূতির কোনো কোনো ঐতিহাসিক তাদের গবেষণা আবেগবিদ্যার শিরোনামে আবেগের ধরন এবং নিয়মের অনুভূতির ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে সীমাবদ্ধ রাখেন। [৪] বিশেষত সাম্প্রতিক অতীতে, আবেগের ইতিহাসের পদ্ধতিগত কলেবরে আনুষ্ঠানিক, গঠনবাদী এবং অনুশীলন তত্ত্ব পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দিকে প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে মৌলিক পদ্ধতিগত ধারণাগুলির মধ্যে রয়েছে: অনুভূতিশীলতা,[৫] আবেগীয় অভ্যাস এবং সংবেদনশীল অনুশীলন। [৬] অতিরিক্তভাবে এমন কয়েকটি পদ রয়েছে যা সংবেদনশীল সম্প্রদায়,[৭] শাসনব্যবস্থা,[৮] এবং সংবেদনশীল শৈলীর মতো অনুভূতির সংস্কৃতির বিভিন্ন সুযোগ এবং বাধ্যতামূলক প্রভাব বর্ণনা করে। [৯] অতি সাম্প্রতিককালে, আবেগের ইতিহাস স্নায়ুবিজ্ঞানে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত হয়ে উঠেছে যা আবেগের ইতিহাসকে বৃহৎ পরিসরে জীবসাংস্কৃতিক ইতিহাসতত্ত্বের একটি অংশ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। [১০]
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]ভূমিকা
[সম্পাদনা]- রব বাডাইস, The History of Emotions, ম্যানচেস্টার: ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি প্রেস, 2018।
- জন প্লাম্পার, Geschichte und Gefühl.Grundlagen der Emotionsgeschichte, মিউনিখ: সিডেলার 2012
- বারবারা রোজেনউইন এবং রিকার্ডো ক্রিস্টিয়ানি, What is the History of Emotions? কেমব্রিজ: রাজনীতি, 2018।
সাহিত্য
[সম্পাদনা]- Rob Boddice, The History of Emotions: Past, Present, Future, in: Revista de Estudios Sociales, 62 (2017), pp. 10–15.
- Rob Boddice, The History of Emotions, in: New Directions in Social and Cultural History, ed. Sasha Handley, Rohan McWilliam, Lucy Noakes, London: Bloomsbury, 2018.
- Susan J. Matt, Current Emotion Research in History: Or, Doing History from the Inside Out, in: Emotion Review 3, 1 (2011), p. 117–124.
- Bettina Hitzer, Emotionsgeschichte - ein Anfang mit Folgen. Forschungsbericht.[১১]
- Anna Wierzbicka, The “History of Emotions” and the Future of Emotion Research, in: Emotion Review 2, 3 (2010), p. 269-273.
- Barbara Rosenwein, Problems and Methods in the History of Emotions.[১২]
- William M. Reddy, Historical Research on the Self and Emotions, in : Emotion Review 1, 4 (2009), p. 302-315.
- Florian Weber, Von der klassischen Affektenlehre zur Neurowissenschaft und zurück. Wege der Emotionsforschung in den Geistes- und Sozialwissenschaften, in: Neue Politische Literatur 53 (2008), p. 21-42.
- Daniela Saxer, Mit Gefühl handeln. Ansätze der Emotionsgeschichte.[১৩]
- Alexandra Przyrembel, Sehnsucht nach Gefühlen. Zur Konjunktur der Emotionen in der Geschichtswissenschaft, in: L’homme 16 (2005), p. 116-124।
- Rüdiger Schnell, Historische Emotionsforschung. Eine mediävistische Standortbestimmung, in: Frühmittelalterliche Studien 38 (2004), p. 173-276.
পদ্ধতিগত আলোচনা
[সম্পাদনা]- AHR Conversation: The Historical Study of Emotions.[১৪]
- Frank Biess, Discussion Forum „History of Emotions“ (with Alon Confino, Ute Frevert, Uffa Jensen, Lyndal Roper, Daniela Saxer), in: German History 28 (2010), H. 1, p. 67-80.
- Maren Lorenz: Tiefe Wunden. Gewalterfahrung in den Kriegen der Frühen Neuzeit ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে, in: Ulrich Bielefeld/Heinz Bude/Bernd Greiner (Hg.): Gesellschaft - Gewalt – Vertrauen. Jan Philipp Reemtsma zum 60. Geburtstag, Hamburger Edition: Hamburg 2012, S. 332–354.
- Jan Plamper, The History of Emotions: An Interview with William Reddy, Barbara Rosenwein, and Peter Stearns, in: History and Theory 49, no. 2 (2010): 237–265.
গবেষণাকেন্দ্র ও সংস্থাসমূহ
[সম্পাদনা]- ACCESS - অ্যামস্টারডাম সেন্টার ক্রস-ডিসিপ্লিনারি ইমোশন অ্যান্ড সেন্সরি স্টাডিজ [১৫]
- এআরসি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর দি হিস্টোরি অফ ইমোশনস (1100-1800) [১৬]
- সেন্টার ফর দি হিস্টোরি অব ইমোশনস, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক-ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভলপমেন্ট, বার্লিন [১৭]
- NACHE দি নর্থ আমেরিকান চ্যাপ্টার অন দ হিস্টোরি অব ইমোশন[১৮]
- কুইন মেরি সেন্টার ফর দি হিস্টোরি অফ ইমোশনস, লন্ডন [১৯]
- Les Émotions au Moyen Age (EMMA) [২০]
- CHEP: এন ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর দি কালচারাল হিস্টোরি অফ ইমোশনস ইন প্রিমডার্নিটি[২১]
- দি ইমোশনস প্রজেক্ট: আবেগের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নির্মাণ: গ্রীক দৃষ্টিকোণ, অক্সফোর্ড [২২]
- Historia cultural del concimiento. Discursos, prácticas, representaciones, Centro de Ciencias humanas y sociales, মাদ্রিদ।[২৩]
- ক্লাস্টার অফ এক্সিলেন্স "ল্যাঙুয়েজেস অফ ইমোশন", এফইউ বার্লিন।[২৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lucien Febvre, La sensibilité et l’histoire. Comment reconstituer la vie affective d’autrefois?, in: Annales d’histoire sociale 3 (1941), p. 5-20.
- ↑ See Peter Gay’s main work: The Bourgeois Experience. Victoria to Freud, 5 volumes, New York 1984-1998.
- ↑ On the precursors of the history of the emotions see: Jan Plamper, Geschichte und Gefühl. Grundlagen der Emotionsgeschichte, München: Siedler 2012, p. 53-72.
- ↑ The term emotionology can be traced back to: Peter N. Stearns / Carol Z. Stearns, Emotionology. Clarifying the History of Emotions and Emotional Standards, in: The American Historical Review 90, 4 (1985), p. 813-830 and Rom Harré (ed.), The Social Construction of Emotion, Oxford 1986.
- ↑ William M. Reddy, Against Constructionism. The Historical Ethnography of Emotions, in: Current Anthropology 38,3 (1997), p. 327-351.
- ↑ See: Monique Scheer, Are Emotions a Kind of Practice (and Is That What Makes Them Have a History)? A Bourdieuan Approach to Understanding Emotion, in: History and Theory 51, no. 2 (May 2012), p. 193-220.
- ↑ Barbara H. Rosenwein, Worrying about Emotions in History, in: The American Historical Review 107, 3 (2002), p. 821-845.
- ↑ William M. Reddy, The Navigation of Feeling, Cambridge 2001.
- ↑ For a discussion on different concepts, see Benno Gammerl, Emotional Styles - Concepts and Challenges, in: Rethinking History 16, 2 (2012), p. 161-175.
- ↑ Rob Boddice, The History of Emotions, Manchester: Manchester University Press, 2018.
- ↑ "Emotionsgeschicte - ein Anfang mit Folgen" (পিডিএফ)। Hsozkult.geschite.hu-berlin.de। ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Barbara H. Rosenwein। "Problems and Methods in the history of Emotions" (পিডিএফ)। Passionsincontext.de। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ [১]
- ↑ Rosenwein, Barbara H.; Reddy, William M.; Plamper, Jan; Livingston, Julie; Lean, Eugenia; Eustace, Nicole (২০১২)। "TAHR Conversions : The Historical Study of Emotions"। The American Historical Review। 117 (5): 1487–1531। ডিওআই:10.1093/ahr/117.5.1487।
- ↑ "ACCESS | Amsterdam Centre for Cross-Disciplinary Emotions and Senses Studies"। Access-emotionsandsenses.nl। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "Home | ARC Centre of Excellence for the History of Emotion"। Historyofemotions.org.au। ২০১২-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "History of Emotions | Max Planck Institute for Human Development"। Mpib-berlin.mpg.de। ২০১৫-০৫-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "The North American Chapter on the History of Emotion"। nachemotion.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০১।
- ↑ "The Centre for the History of the Emotions, Queen Mary, University of London"। Qmul.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "Les émotions au Moyen Âge, carnet d'EMMA"। Emma.hypotheses.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "CHEP : An International Network for the Cultural History of Emotions in Premodernity"। নভেম্বর ৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১৫।
- ↑ "Welcome - School of Archaeology - University of Oxford"। Emotions.classics.ox.ac.uk। ২০১৫-০২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "Historia cultural del conocimiento. Discursos, prácticas, representaciones | Centro de Ciencias Humanas y Sociales"। Cchs.csic.es। ২০১০-০৬-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
- ↑ "Languages of Emotion: Startseite"। Languages-of-emotion.de। ২০১১-০৫-২৮। ২০১৫-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আবেগের ইতিহাস ব্লগ, কুইন মেরি সেন্টার ফর দি হিস্টোরি অব ইমোশনস
- আবেগের ব্লগের CHE ইতিহাস, আবেগের ইতিহাসের জন্য (ইউরোপ ১১০০-১৮০০)
- আবেগের সমাজবিজ্ঞান হিস্টোরি অব ইমোশন্স ডেটাবেজ (ইউরোপ ১১০০-১৮০০)
- "আবেগের ইতিহাস - গবেষণার অন্তর্দৃষ্টি"