আইয়ো (প্রাকৃতিক উপগ্রহ)
আইয়ো (ইংরেজি: Io; /ˈaɪ.oʊ/) বা বৃহস্পতি ১ (ইংরেজি: Jupiter I) হল বৃহস্পতি গ্রহের চারটি গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলির মধ্যে সর্ব-অভ্যন্তরীণ ও তৃতীয় বৃহত্তম। চাঁদের থেকে আকারে সামান্য বড়ো আইয়ো হল সৌরজগতের চতুর্থ বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ। সৌরজগতের যে কোনও প্রাকৃতিক উপগ্রহের তুলনায় আইয়োর ঘনত্ব বেশি এবং সৌরজগতের যে কোনও জ্ঞাত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর তুলনায় আইয়োতে জলের পরিমাণ (আণবিক অনুপাত অনুযায়ী) সর্বনিম্ন। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও গ্যালিলি এই উপগ্রহটি আবিষ্কার করেন এবং এটির নামকরণ করা হয় গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র আইয়োর (হেরার স্ত্রী-পুরোহিত, যিনি জিউসের অন্যতমা প্রেমিকা হয়েছিলেন) নামানুসারে।
আবিষ্কার | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আবিষ্কারক | গ্যালিলিও গ্যালিলি | ||||||||
আবিষ্কারের তারিখ | ৮ জানুয়ারি, ১৬১০[১] | ||||||||
বিবরণ | |||||||||
উচ্চারণ | /ˈaɪ.oʊ/[২] বা গ্রিকো-লাতিন Īō (/ˈiː.oʊ/-এর প্রায় অনুরূপ) | ||||||||
নামকরণের উৎস | Ἰώ (Īō) | ||||||||
বিকল্প নামসমূহ | বৃহস্পতি ১ | ||||||||
বিশেষণ | আইয়োনীয় (ইংরেজি: /aɪˈoʊniən/[৩][৪]) | ||||||||
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য | |||||||||
অনুসূর | ৪২০০০০ কিমি (০.০০২৮০৭ জ্যো.এ.) | ||||||||
অপসূর | ৪২৩৪০০ কিমি (০.০০২৮৩০ জ্যো.এ.) | ||||||||
কক্ষপথের গড় ব্যাসার্ধ | ৪২১৭০০ কিমি (০.০০২৮১৯ জ্যো.এ.) | ||||||||
উৎকেন্দ্রিকতা | ০.০০৪১ | ||||||||
কক্ষীয় পর্যায়কাল | ১.৭৬৯১৩৭৭৮৬ দি (১৫২৮৫৩.৫০৪৭ সে, ৪২.৪৫৯৩০৬৮৬ ঘ) | ||||||||
গড় কক্ষীয় দ্রুতি | ১৭.৩৩৪ কিমি/সে | ||||||||
নতি | ০.০৫° (বৃহস্পতির নিরক্ষরেক্ষার প্রতি) ২.২১৩° (ক্রান্তিবৃত্তের প্রতি) | ||||||||
যার উপগ্রহ | বৃহস্পতি | ||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |||||||||
মাত্রাসমূহ | ৩,৬৬০.০ × ৩,৬৩৭.৪ × ৩,৬৩০.৬ কিমি[৫] | ||||||||
গড় ব্যাসার্ধ | ১৮২১.৬±০.৫ কিমি (০.২৮৬ পৃথিবী)[৬] | ||||||||
পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল | ৪১৯১০০০০ কিমি২ (০.০৮২ পৃথিবী) | ||||||||
আয়তন | ২.৫৩×১০১০ কিমি৩ (০.০২৩ পৃথিবী) | ||||||||
ভর | (৮.৯৩১৯৩৮±০.০০০০১৮)×১০২২ কিগ্রা (০.০১৫ পৃথিবী)[৬] | ||||||||
গড় ঘনত্ব | ৩.৫২৮±০.০০৬ গ্রা/সেমি৩ (০.৬৩৯ পৃথিবী)[৬] | ||||||||
বিষুবীয় পৃষ্ঠের অভিকর্ষ | ১.৭৯৬ মি/সে২ (০.১৮৩ জি) | ||||||||
মুক্তি বেগ | ২.৫৫৮ কিমি/সে | ||||||||
ঘূর্ণনকাল | সমলয় | ||||||||
বিষুবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণন বেগ | ২৭১ কিমি/ঘ | ||||||||
প্রতিফলন অনুপাত | ০.৬৩±০.০২[৬] | ||||||||
| |||||||||
আপাত মান | ৫.০২ (বিপরীত অবস্থান)[৭] | ||||||||
বায়ুমণ্ডল | |||||||||
পৃষ্ঠের চাপ | ৫০০µPa থেকে ৪mPa | ||||||||
গঠন | ৯০% সালফার ডাইঅক্সাইড | ||||||||
চারশোটিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে আইয়ো সৌরজগতের ভূতাত্ত্বিকভাবে সর্বাপেক্ষা সক্রিয় বস্তু।[৯][১০] এই চরম ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তাটি হল বৃহস্পতি ও অন্যান্য গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলির (ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো) মধ্যস্থলে বাঁধা পড়ে আইয়োর অভ্যন্তরভাগে যে উদ্ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় তার থেকে উৎসারিত জোয়ার-সংক্রান্ত তাপায়নের ফল। বেশ কয়েকটি আগ্নেয়গিরি থেকে উৎক্ষিপ্ত সালফার ও সালফার ডাইঅক্সাইডের স্তম্ভ পৃষ্ঠভাগের ৫০০ কিমি (৩০০ মা) পর্যন্ত উত্থিত হয়। আইয়োর পৃষ্ঠভাগে শতাধিক পর্বতও রয়েছে, যেগুলি আইয়োর সিলিকেট ভূত্বকের তলায় প্রবল চাপের ফলে উত্থিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে কয়েকটি পর্বতশৃঙ্গ পৃথিবীর পৃষ্ঠভাগের সর্বোচ্চ বিন্দু মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও উঁচু।[১১] বাহ্য সৌরজগতের অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপগ্রহ প্রধানত জলীয় বরফ দ্বারা গঠিত হলেও আইয়ো প্রধানত গঠিত হয়েছে একটি গলিত লৌহ বা আয়রন সালফাইড অন্তস্থল ঘিরে থাকা সিলিকেট পাথরে। আইয়োর পৃষ্ঠভাগের বেশিরভাগই গঠিত হয়েছে সালফার ও সালফার ডাইঅক্সাইডের হিমায়িত আবরণে ঢাকা বিস্তৃত সমভূমির দ্বারা।
আইয়োতে অগ্ন্যুৎপাত এই উপগ্রহের অনেক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। আগ্নেয় শিখা ও লাভার প্রবাহগুলি উপগ্রহটির পৃষ্ঠভাগে অনেক ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তন সূচিত করেছে এবং সালফারের অ্যালোট্রোপ ও যৌগগুলির জন্য পৃষ্ঠভাগটি হলুদ, লাল, সাদা, কালো ও সবুজ রঙের বিভিন্ন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম মাত্রায় রঞ্জিত হয়ে গিয়েছে। অসংখ্য সুপ্রসারিত লাভা প্রবাহের (যার মধ্যে কয়েকটি দৈর্ঘ্যে ৫০০ কিমি (৩০০ মা)-এরও বেশি) চিহ্নও পৃষ্ঠভাগে পাওয়া যায়। এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যে বস্তুগুলি উৎক্ষিপ্ত হয় তা দ্বারাই আইয়োর পাতলা, সামঞ্জস্যবিহীন বায়ুমণ্ডল ও বৃহস্পতির সুপ্রসারিত চৌম্বকমণ্ডলটির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আইয়োর আগ্নেয় উৎক্ষেপ বৃহস্পতির চারিধারে একটি বৃহৎ প্লাজমা টরাস সৃষ্টি করেছে।
সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিকাশে আইয়ো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। ১৬১০ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যালিলিও গ্যালিলি কর্তৃক অন্যান্য গ্যালিলিয়ান উপগ্রহের সঙ্গে আইয়োর আবিষ্কার সৌরজগতের কোপারনিকান মডেলের অনুমোদন, কেপলারের গতিসূত্রের বিকাশ ও প্রথম আলোর গতি পরিমাপকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর গোড়া পর্যন্ত পৃথিবী থেকে আইয়ো কেবলমাত্র আলোর একটি বিন্দু রূপেই দেখা যেত। তারপর এই উপগ্রহটির ঘন লাল মেরুদেশীয় ও উজ্জ্বল বিষুবীয় অঞ্চলগুলির মতো পৃষ্ঠভাগের বৃহৎ বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করা সম্ভবপর হয়। ১৯৭৯ সালে দু’টি ভয়েজার মহাকাশযান আইয়োকে ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় একটি জগৎ হিসেবে প্রকাশ করে এবং দেখা যায় যে এই উপগ্রহটিতে রয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের অসংখ্য চিহ্ন, বৃহৎ পর্বত এবং এমন এক নবীন পৃষ্ঠভাগ যাতে অভিঘাত গহ্বরের কোনও নিশ্চিত চিহ্ন পাওয়া যায় না। গ্যালিলিও মহাকাশযানটি ১৯৯০-এর দশকে এবং ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে উপগ্রহটির খুব কাছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইবাই প্রেরণ করে আইয়োর অভ্যন্তরীণ গঠন ও পৃষ্ঠভাগের উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। আইয়োর সঙ্গে বৃহস্পতির চৌম্বকক্ষেত্রের সম্পর্ক এবং আইয়োর কক্ষপথটিকে কেন্দ্র করে একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন বিকিরণ বলয়ের অস্তিত্বের কথা এই মহাকাশযানটির মাধ্যমেই জানা যায়। আইয়ো প্রতিদিন ৩,৬০০ রেম (৩৬ এসভি) আয়নায়নশীল বিকিরণ প্রাপ্ত হয়।[১২]
২০০০ সালে ক্যাসিনি-হাইগেন্স, ২০০৭ সালে নিউ হোরাইজনস ও ২০১৭ সাল থেকে জুনো কর্তৃক এবং সেই সঙ্গে পৃথিবী-ভিত্তিক দূরবীন ও হাবল স্পেস টেলিস্কোপ কর্তৃকও আরও পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে।
নামকরণ প্রণালী
সম্পাদনাসাইমন মারিয়াস গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলির একক আবিষ্কর্তা না হলেও, এই উপগ্রহগুলির যে নাম তিনি স্থির করেছিলেন তা-ই গৃহীত হয়েছিল। ১৬১৪ সালে প্রকাশিত Mundus Iovialis anno M.DC.IX Detectus Ope Perspicilli Belgici গ্রন্থে তিনি বৃহস্পতির বৃহৎ উপগ্রহগুলির মধ্যে সর্ব-অভ্যন্তরে অবস্থিত উপগ্রহটির একাধিক বিকল্প নাম প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবনাগুলির অন্যতম ছিল "বৃহস্পতির বুধ" ও "বাসব গ্রহগুলির মধ্যে প্রথম" নামগুলিও।[১৩] ১৬১৩ সালে জোহানেস কেপলারের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে তিনি নামকরণের এমন এক পরিকল্পনাও গ্রহণ করেন যেখানে প্রতিটি উপগ্রহের নামকরণ করা হয় গ্রিক পুরাণের জিউস বা জিউসের রোমান প্রতিরূপ জুপিটারের এক-এক প্রেমিক বা প্রেমিকার নামানুসারে। মারিয়াস বৃহস্পতির সর্ব-অভ্যন্তরের বৃহৎ উপগ্রহটির নামকরণ গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র আইয়োর নামানুসারে করেন:[১৪]
... Inprimis autem celebrantur tres fœminæ Virgines, quarum furtivo amore Iupiter captus & positus est, videlicet Io Inachi Amnis filia... Primus à me vocatur Io... [Io,] Europa, Ganimedes puer, atque Calisto, lascivo nimium perplacuere Jovi.
... প্রথমে, গোপন প্রেমের ছলনে জুপিটার কর্তৃক বন্দী হওয়া তিন যুবতী সম্মানিত হবেন, অর্থাৎ, ইনাকাস নদীর কন্যা আইয়ো… প্রথম [উপগ্রহটিকে] আমি আইয়ো বলে ডাকি… আইয়ো, ইউরোপা, বালক গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো কামুক জুপিটারকে অতিশয় তুষ্ট করেছিলেন।[১৫]
মারিয়াসের প্রস্তাবিত নামগুলি বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের পূর্বাবধি সর্বজনস্বীকৃত ছিল না।[১৬] প্রথম দিকের জ্যোতির্বিজ্ঞান সাহিত্যের অধিকাংশ জুড়েই আইয়োকে সাধারণভাবে উল্লেখ করা হত গ্যালিলিও প্রস্তাবিত পদ্ধতি অনুসারে এটির রোমান সংখ্যা সূচক দ্বারা "জুপিটার ১" বা "বৃহস্পতি ১" নামে,[১৭] অথবা "বৃহস্পতির প্রথম প্রাকৃতিক উপগ্রহ" হিসেবে।[১৮][১৯]
নামটির প্রথাগত ইংরেজি উচ্চারণটি হল /ˈaɪoʊ/,[২০] যদিও ক্ষেত্রবিশেষে অধিকতর ‘প্রামাণিক’ উচ্চারণ হিসেবে /ˈiːoʊ/-ও ব্যবহৃত হয়েছে।[২১] লাতিন ভাষায় নামটির দু’টি মূল অংশ রয়েছে: Īō ও (বিরল ক্ষেত্রে) Īōn।[২২] শেষোক্ত শব্দটিই ইংরেজি বিশেষণ Ionian-এর উৎস।[২৩][২৪][২৫]
আইয়োর বৈশিষ্ট্যগুলির নামকরণ করা হয়েছে আইয়ো পুরাণকথার সঙ্গে যুক্ত চরিত্র ও স্থানগুলির নামানুসারে এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের পুরাণে আগুন, আগ্নেয়গিরি, সূর্য ও ঝঞ্ঝার দেবদেবীদের এবং দান্তের ইনফারনো-র চরিত্র ও স্থানের নামানুসারে। এই নামগুলি আইয়োর পৃষ্ঠভাগের আগ্নেয়গিরি-সম্বন্ধীয় প্রকৃতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।[২৬] ভয়েজার ১ মহাকাশযান কর্তৃক প্রথম কাছ থেকে আইয়োর পৃষ্ঠভাগ পর্যবেক্ষণের পর থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন আইয়োর আগ্নেয়গিরি, পর্বত, মালভূমি ও বৃহৎ অ্যালবেডো বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য ২২৫টি নাম অনুমোদন করেছে। আইয়োর বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়গিরি-সম্বন্ধীয় বৈশিষ্ট্যের ধরনগুলির যে অনুমোদিত বর্গনামগুলি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে প্যাটারা ("খন্দ"; আগ্নেয় অবনমিত ভূমি), ফ্লুকটাস ("প্রবাহ"; লাভা প্রবাহ), ভ্যালিস ("উপত্যকা"; লাভা প্রণালী) এবং সক্রিয় উদ্গীরণ কেন্দ্র (এক-একটি নির্দিষ্ট আগ্নেয়গিরিতে সেই স্থান যেখানে স্তম্ভ সক্রিয়তাই আগ্নেয় সক্রিয়তার প্রথম চিহ্ন)। নামযুক্ত পর্বত, মালভূমি, স্তরবিশিষ্ট ভূখণ্ড ও ঢালাকৃতি আগ্নেয়গিরিগুলির ক্ষেত্রে যথাক্রমে মনস, মেনসা (টেবিল), প্লেনাম ও থোলাস (রোটুনডা) পরিভাষাগুলি ব্যবহৃত হয়েছে।[২৬] নামযুক্ত উজ্জ্বল অ্যালবেডো অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে রিজিও পরিভাষাটি প্রযুক্ত হয়ে থাকে। নামযুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির উদাহরণ হল প্রমিথিউস, প্যান মেনসা, ত্বষ্টৃ প্যাটারা ও ৎসুই গোয়াব ফ্লুকটাস।[২৭]
পর্যবেক্ষণের ইতিহাস
সম্পাদনা১৬১০ সালের ৭ জানুয়ারি গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম আইয়ো পর্যবেক্ষণ করেন বলে জানা যায়। এই পর্যবেক্ষণের কাজে তিনি পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ২০এক্স-পাওয়ার প্রতিফলক দূরবীন ব্যবহার করেছিলেন। যদিও এই পর্যবেক্ষণকালে দূরবীনটির নিম্ন ক্ষমতার জন্য গ্যালিলিও আইয়ো ও ইউরোপাকে পৃথকভাবে শনাক্ত করতে পারেননি; দু’টিকেই নথিভুক্ত করেছিলেন আলোর একক বিন্দু হিসেবে। পরের দিন অর্থাৎ ১৬১০ সালের ৮ জানুয়ারি বৃহস্পতি পরিমণ্ডল পর্যবেক্ষণের সময় প্রথম গ্যালিলিও আইয়ো ও ইউরোপাকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। তাই ৮ জানুয়ারি তারিখটিকেই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন আইয়ো আবিষ্কারের তারিখ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।[১] ১৬১০ সালের মার্চ মাসে গ্যালিলিওর সিডেরিয়াস নানসিয়াস গ্রন্থে আইয়ো ও বৃহস্পতির অন্যান্য গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলির আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়।[২৮] ১৬১৪ সালে প্রকাশিত মান্ডাস জোভিয়ালিস গ্রন্থে সাইমন মারিয়াস দাবি করেন যে, গ্যালিলিওর আবিষ্কারের এক সপ্তাহ আগে ১৬০৯ সালেই তিনি আইয়ো ও বৃহস্পতির অন্যান্য উপগ্রহগুলি আবিষ্কার করেছিলেন। এই দাবিটি সম্পর্কে গ্যালিলিও নিঃসন্দেহ ছিলেন না। তিনি মারিয়াসের বইটির বিরুদ্ধে কুম্ভীলকবৃত্তির অভিযোগ উত্থাপন করেন। উল্লেখ্য, মারিয়াসের প্রথম নথিবদ্ধ পর্যবেক্ষণের তারিখটি ছিল জুলীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১৬০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর; যা গ্যালিলিও ব্যবহৃত তারিখ অর্থাৎ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১৬১০ সালের ৮ জানুয়ারির সমান।[২৯] যাই হোক, গ্যালিলিও মারিয়াসের পূর্বে নিজের বইটি প্রকাশ করেছিলেন বলে এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব গ্যালিলিওকেই দেওয়া হয়।[৩০]
পরবর্তী আড়াই শতাব্দীকাল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দূরবীনে আইয়ো একটি সমাধান-না-হওয়া, পঞ্চম-ম্যাগনিচিউড আলোর বিন্দুই থেকে যায়। সপ্তদশ শতাব্দীতে আইয়ো ও ওন্যান্য গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলিকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত; তার মধ্যে ছিল দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণের আদি পদ্ধতিসমূহ,[৩১] কেপলারের তৃতীয় গ্রহীয় গতিসূত্রের বৈধকরণ এবং বৃহস্পতি থেকে পৃথিবীতে আলোর গতির সময় নির্ধারণ।[২৮] জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিওভান্নি ক্যাসিনি ও অন্যান্যদের কৃত এফিমেরিডেসের ভিত্তিতে পিয়ের-সাইমন লাপ্লাস আইয়ো, ইউরোপা ও গ্যানিমিডের কক্ষীয় অনুনাদের ব্যাখ্যায় একটি গাণিতিক তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।[২৮] পরবর্তীকালে জানা যায় যে এই তিনটি প্রাকৃতিক উপগ্রহের ভূতত্ত্বের উপর এই অনুনাদের প্রভাব অপরিসীম।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং বিংশ শতাব্দীতে দূরবীন প্রযুক্তির উন্নতিসাধনের ফলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আইয়োর পৃষ্ঠভাগের বৃহৎ বৈশিষ্ট্যগুলিকে চাক্ষুষ করতে সক্ষম হন। ১৮৯০-এর দশকে এডওয়ার্ড ই. বার্নার্ড প্রথম আইয়োর বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলে ঔজ্জ্বল্যের পার্থক্যগুলি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি সঠিকভাবেই ধরতে পেরেছিলেন যে এর কারণ আইয়োর আকৃতি সহকারী জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম পিকারিং-এর মত অনুযায়ী ডিম্বাকার বলে অথবা ইতিপূর্বে বার্নার্ড কর্তৃকই প্রস্তাবিত দু’টি পৃথক বস্তু নয়, বরং দুই অঞ্চলের মধ্যে রং ও অ্যালবেডোর পার্থক্য।[১৮][১৯][৩২] দূরবীনের মাধ্যমে সম্পাদিত পরবর্তী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আইয়োর স্বতন্ত্র লালচে-বাদামি মেরু অঞ্চল এবং হলুদ-সাদা বিষুবীয় পট্টির বিষয়ে নিশ্চিত হন।[৩৩]
বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে দূরবীনে কৃত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আইয়োর বেদস্তুর প্রকৃতিটির আভাস পেতে শুরু করেন। বর্ণালি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আইয়োর পৃষ্ঠভাগে জলীয় বরফের অস্তিত্ব নেই, যেখানে অন্যান্য গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলিতে জলীয় বরফ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে।[৩৪] কোনও কোনও পর্যবেক্ষণের ফলে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে যে আইয়োর পৃষ্ঠভাগে সোডিয়াম লবণ ও সালফার গঠিত উদ্বায়ী পদার্থেরই প্রাধান্য রয়েছে।[৩৫] রেডিওটেলিস্কোপিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বৃহস্পতির চৌম্বকমণ্ডলের উপর আইয়োর প্রভাবের কথা জানা গিয়েছে; ডেকামেট্রিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিস্ফোরণগুলি আইয়োর কক্ষীয় পর্যায়কালের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে।[৩৬]
পায়োনিয়ার
সম্পাদনাপ্রথম যে দু’টি মহাকাশযান আইয়ো অতিক্রম করে সেগুলি হল পায়োনিয়ার ১০ ও পায়োনিয়ার ১১। এই দুই মহাকাশযান যথাক্রমে ১৯৭৩ সালের ৩ ডিসেম্বর এবং ১৯৭৪ সালের ২ ডিসেম্বর আইয়োর নিকটবর্তী হয়েছিল।[৩৭] বেতার পরীক্ষণের মাধ্যমে আইয়োর ভরের উৎকৃষ্ট পরিগণনা সম্ভব হয় এবং সেই সঙ্গে এই উপগ্রহটির আকার সম্পর্কেও সবচেয়ে ভালো তথ্য পাওয়া যায়। এর থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলির মধ্যে আইয়োর ঘনত্ব সর্বাধিক এবং এটি জলীয় বরফের পরিবর্তে প্রধানত সিলিকেট পাথর দ্বারা গঠিত।[৩৮] পায়োনিয়ার মহাকাশযানটির মাধ্যমে আইয়োতে একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল এবং আইয়োর কক্ষপথের কাছে প্রবল বিকিরণ বলয়গুলির অস্তিত্বের কথাও জানা যায়। দু’টি মহাকাশযানের মধ্যে পায়োনিয়ার ১১ মহাকাশযানের ক্যামেরাটিই কেবল আইয়োর ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হয়। এই ছবিগুলিতে আইয়োর উত্তর মেরু অঞ্চলটি পর্যবেক্ষিত হয়।[৩৯] পায়োনিয়ার ১০ মহাকাশযানটির অতিক্রমণের সময় ক্লোজ-আপ চিত্র গ্রহণেরও পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু উচ্চ-বিকিরণযুক্ত পরিবেশের কারণে সেগুলি হারিয়ে যায়।[৩৭]
ভয়েজার
সম্পাদনা১৯৭৯ সালে ভয়েজার ১ ও ভয়েজার ২ প্রোব দু’টি আইয়ো অতিক্রম করে। এই দুই প্রোবের উন্নততর চিত্রগ্রহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক বেশি অনুপুঙ্খ আলোকচিত্র গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ১৯৭৯ সালের ৫ মার্চ তারিখে ভয়েজার ১ আইয়োর ২০,৬০০ কিমি (১২,৮০০ মা) দূরত্ব দিয়ে উপগ্রহটিকে অতিক্রম করে।[৪০] গৃহীত আলোকচিত্রগুলি থেকে আইয়োর পৃষ্ঠভাগে অভিঘাত গহ্বর-বিহীন একটি অদ্ভুত বহুবর্ণ ভূপ্রকৃতির সন্ধান পাওয়া যায়।[৪১][৪২] সর্বোচ্চ-রেজোলিউশন ছবিগুলিতে অদ্ভুত আকারবিশিষ্ট গহ্বর, মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও উঁচু পর্বত এবং আগ্নেয় লাভা প্রবাহের অনুরূপ বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ একটি অপেক্ষাকৃত নবীন পৃষ্ঠভাগের সন্ধান পাওয়া যায় যায়।
এই অভিযানের অব্যবহিত পরেই ভয়েজার নেভিগেশন ইঞ্জিনিয়ার লিন্ডা এ. মোরাবিটো একটি ছবিতে আইয়োর পৃষ্ঠভাগ থেকে উত্থিত একটি উদ্গীরণ স্তম্ভ লক্ষ্য করেন।[৪৩] ভয়েজার ১ কর্তৃক গৃহীত আরেকটি ছবিতে দেখা যায় এই রকম নয়টি উদ্গীরণ স্তম্ভ আইয়োর পৃষ্ঠভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে আইয়োতে আগ্নেয় সক্রিয়তার অস্তিত্ব রয়েছে।[৪৪] ভয়েজার ১ আইয়োর মুখোমুখি হওয়ার অল্পকাল আগে প্রকাশিত একটি পত্রে এই সিদ্ধান্তটির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন স্ট্যান পিল, প্যাট্রিক ক্যাসেন ও আর. টি. রেনল্ডস। লেখকেরা অনুমান করেছিলেন যে আইয়োর অভ্যন্তরভাগ নিশ্চয়ই ইউরোপা ও গ্যানিমিডের সঙ্গে এই উপগ্রহটির কক্ষীয় অনুনাদের ফলে উদ্ভূত গুরুত্বপূর্ণ জোয়ার-সম্বন্ধীয় তাপায়নের মধ্য দিয়ে গিয়েছে (এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য "জোয়ার-সম্বন্ধীয় তাপায়ন" অনুচ্ছেদটি দেখুন)।[৪৫] এই ফ্লাইবাই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গিয়েছে যে আইয়োর পৃষ্ঠভাগে সালফার ও সালফার ডাইঅক্সাইড হিমেরই প্রাধান্য। এই যৌগগুলি এই উপগ্রহের পাতলা বায়ুমণ্ডল ও আইয়োর কক্ষপথে কেন্দ্রীভূত প্লাজমা টোরাসটিকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। (এটিও ভয়েজার কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়)।[৪৬][৪৭][৪৮]
১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই ভয়েজার ২ ১১,৩০,০০০ কিমি (৭,০০,০০০ মা) দূরত্ব থেকে আইয়ো অতিক্রম করে। যদিও এই মহাকাশযানটি ভয়েজার ১-এর মতো খুব কাছ দিয়ে আইয়ো অতিক্রম করেনি, তবুও দুই মহাকাশযান থেকে গৃহীত আলোকচিত্রগুলিকে তুলনা করে দেখা গিয়েছে দু’টি অভিযানের মধ্যবর্তী চার মাসে আইয়োর পৃষ্ঠভাগে বেশ কিছু পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে ভয়েজার ২ বৃহস্পতির জগৎ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই মহাকাশযান থেকে আইয়োকে অর্ধচন্দ্রাকারে পর্যবেক্ষণের সময় দেখা যায় যে মার্চ মাসে পর্যবেক্ষিত নয়টি উদ্গীরণ স্তম্ভ জুলাই মাসেও সক্রিয় রয়েছে, যেখানে একমাত্র পেলে আগ্নেয়গিরিটিতেই দুই ফ্লাইবাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে অগ্ন্যুৎপাত থেমেছে।[৪৯]
গ্যালিলিও
সম্পাদনাভয়েজার প্রোবের বৃহস্পতি অতিক্রমণের পর মধ্যবর্তী বছরগুলিতে পৃথিবী-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। এরপর পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করার ছয় বছর পর ১৯৯৫ সালে গ্যালিলিও মহাকাশযানটি বৃহস্পতির নিকট উপস্থিত হয়। বৃহস্পতির তীব্রতম বিকিরণ বলয়গুলির একটির মধ্যে আইয়োর অবস্থান দীর্ঘকালীন নিকট ফ্লাইবাইকে অসম্ভব করে তুলেছিল, কিন্তু গ্যালিলিও মহাকাশযানটি এটির দুই বছর ব্যাপী বৃহস্পতি মণ্ডল পর্যবেক্ষণের অভিযানে কক্ষপথে প্রবেশের অব্যবহিত পূর্বে উপগ্রহটির নিকটবর্তী হতে পেরেছিল। ১৯৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নিকট ফ্লাইবাইয়ের সময় কোনও আলোকচিত্র গৃহীত না হলেও এই অভিযানের ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সম্ভব হয়। এর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ সৌরজগতের শিলাময় গ্রহগুলির অনুরূপ লৌহনির্মিত বৃহৎ অন্তস্থল।[৫০]
ক্লোজ-আপ ছবির অভাব ও যান্ত্রিক সমস্যার ফলে আহরিত তথ্য পৃথিবীতে প্রেরণে অতিমাত্রায় অসুবিধা সত্ত্বেও গ্যালিলিও মহাকাশযানের প্রাথমি অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আবিষ্কৃত হয়। গ্যালিলিও পিল্লান প্যাটারায় একটি প্রধান অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবগুলি পর্যবেক্ষণ করে এবং নিশ্চিত করে যে এই উপগ্রহে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উৎক্ষিপ্ত পদার্থ ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ ম্যাফিক ও অতিম্যাফিক উপাদান সহ সিলিকেট ম্যাগমা দ্বারা গঠিত।[৫১] প্রাথমিক অভিযানের সময় প্রায় প্রত্যেক প্রদক্ষিণেই দূর থেকে আইয়োর আলোকচিত্র গৃহীত হয়েছিল। এই ছবিগুলি থেকে জানা যায় আইয়োতে অনেকগুলি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (পৃষ্ঠভাগে শীতলায়িত ম্যাগমা থেকে তাপ নিঃসরণ ও আগ্নেয় উদ্গীরণ স্তম্ভ উভয়ই), ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য-সমন্বিত অসংখ্য পর্বত রয়েছে এবং ভয়েজার ও গ্যালিলিও মহাকাশযানের অভিযানের মধ্যবর্তী সময়ে ও গ্যালিলিও-র প্রদক্ষিণের মধ্যেও এই উপগ্রহে পৃষ্ঠভাগে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।[৫২]
গ্যালিলিও অভিযান দুইবার সম্প্রসারিত হয় – ১৯৯৭ ও ২০০০ সালে। এই সম্প্রসারিত অভিযানের সময় ১৯৯৯ সালের শেষভাবে ও ২০০০ সালের গোড়ার দিকে প্রোবটি তিনবার আইয়োর নিকটবর্তী হয় এবং ২০০১ সালের শেষভাবে ও ২০০২ সালের গোড়ার দিকে আবার তিনবার আইয়োর নিকটবর্তী হয়। এই অভিযানগুলির সময় কৃত পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় যে, আইয়োর আগ্নেয়গিরি ও পর্বতগুলি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া চলছে, কোনও চৌম্বক ক্ষেত্রের অস্তিত্ব নেই এবং সেই সঙ্গে আগ্নেয়গিরিগুলির সক্রিয়তার মাত্রাও জানা যায়।[৫২]
ক্যাসিনি
সম্পাদনা২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির দিকে যাওয়ার সময় অল্পকালের জন্য দূর থেকে বৃহস্পতি মণ্ডলের মুখোমুখি হয়। এর ফলে এই মহাকাশযানটি গ্যালিলিও-র সঙ্গে একযোগে বৃহস্পতি ও তার উপগ্রহগুলিকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পায়। এই পর্যবেক্ষণগুলি থেকে ত্বষ্টৃ প্যাটারায় একটি নতুন উদ্গীরণ স্তম্ভ প্রকাশ পায় এবং আইয়োর অরোরা সম্পর্কে অন্তর্জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয়।[৫৩]
নিউ হোরাইজনস
সম্পাদনাপ্লুটো ও কাইপার বেষ্টনীর দিকে যাত্রার সময় ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউ হোরাইজনস মহাকাশযানটি বৃহস্পতি মণ্ডল ও আইয়ো অতিক্রম করে। এই অভিযানের সময় দূর থেকে অনেক বার আইয়োকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণলব্ধ ছবিগুলির মধ্যে ছিল ত্বষ্টৃ প্যাটারায় একটি বিরাট উদ্গীরণ স্তম্ভের ছবি। এর ফলে ১৯৭৯ সালে পেলের উদ্গীরণ স্তম্ভটি পর্যবেক্ষণের পর আইয়োনীয় আগ্নেয় উদ্গীরণ স্তম্ভের বৃহত্তম শ্রেণিটিকে প্রথম বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।[৫৪] এছাড়াও নিউ হোরাইজনস গিররু প্যাটারার কাছে একটি আগ্নেয়গিরির আলোকচিত্র গ্রহণ করে। এটি সেই সময় অগ্ন্যুৎপাতের আদি পর্যায়ে ছিল। গ্যালিলিও অভিযানের পরে সংঘটিত একাধিক অগ্ন্যুৎপাতের আলোকচিত্রও নিউ হোরাইজনস কৃত ধৃত হয়েছিল।[৫৪]
কক্ষপথ ও আবর্তন
সম্পাদনাবৃহস্পতির চৌম্বকমণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক
সম্পাদনাভূতত্ত্ব
সম্পাদনাঅভ্যন্তরীণ
সম্পাদনাজোয়ার-সংক্রান্ত তাপায়ন
সম্পাদনাপৃষ্ঠভাগ
সম্পাদনাঅগ্ন্যুৎপাত
সম্পাদনাপর্বত
সম্পাদনাবায়ুমণ্ডল
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ ব্লু, জেনিফার (৯ নভেম্বর ২০০৯)। "প্ল্যানেট অ্যান্ড স্যাটেলাইট নেমস অ্যান্ড ডিসকভারস"। ইউএসজিএস।
- ↑ টেমপ্লেট:Lexico
টেমপ্লেট:MW - ↑ এস. ডব্লিউ. কিয়েফার (১৯৮২) "আইয়োনিয়ান ভলক্যানিজম", ডেভিড মরিসন সম্পাদিত, স্যাটেলাইটস অফ জুপিটার, ৩য় খণ্ড, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন
- ↑ "ইলেকট্রন বিমস অ্যান্ড আইয়ন কম্পোজিশন মেজারড অ্যাট আইয়ো অ্যান্ড ইন ইটস টোরাস", সায়েন্স, ১৯৯৬ অক্টোবর ১৮
- ↑ টমাস, পি. সি. (১৯৯৮)। "দ্য শেপ অফ আইয়ো ফ্রম গ্যালিলিও লিম্ব মেজারমেন্টস" [গ্যালিলিও লিম্ব মেজারমেন্টস থেকে আইয়োর আকৃতি]। ইকারাস। ১৩৫ (১): ১৭৫–১৮০। ডিওআই:10.1006/icar.1998.5987। বিবকোড:1998Icar..135..175T।
|display-authors=ও অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ইয়োম্যানস, ডোনাল্ড কে. (১৩ জুলাই ২০০৬)। "প্ল্যানেটারি স্যাটেলাইট ফিজিক্যাল প্যারামিটারস" [গ্রহীয় উপগ্রহের ভৌত পরিমাপ]। জেপিএল সোলার সিস্টেম ডায়নামিকস।
- ↑ "ক্ল্যাসিক স্যাটেলাইটস অফ দ্য সোলার সিস্টেম" [সৌরজগতের ধ্রুপদি উপগ্রহ]। অবজারভাটোরিও আরভাল। ৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ র্যাথবান, জে. এ.; স্পেনসার, জে. আর.; ট্যামপারি, এল. কে.; মার্টিন, টি. জেড.; বার্নার্ড, এল.; ট্র্যাভিস, এল. ডি. (২০০৪)। "ম্যাপিং অফ আইয়ো'জ থার্মাল রেডিয়েশন বাই দ্য গ্যালিলিও ফোটোপোলারিমিটার-রেডিওমিটার (পিপিআর) ইনস্ট্রুমেন্ট" [গ্যালিলিও ফোটোপোলারিমিটার-রেডিওমিটার (পিপিআর) যন্ত্রে কৃত আইয়োর তাপীয় বিকিরণের মানচিত্র অঙ্কন]। ইকারাস। ১৬৯ (১): ১২৭–১৩৯। ডিওআই:10.1016/j.icarus.2003.12.021। বিবকোড:2004Icar..169..127R।
- ↑ রোজালি এমসি লোপেস (২০০৬)। "আইয়ো: দ্য ভলক্যানিক মুন [আইয়ো: আগ্নেয় চাঁদ]"। লুসি-অ্যান ম্যাকফাডেন; পল আর. ওয়েইসম্যান; টরেন্স ভি. জনসন। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য সোলার সিস্টেম [সৌরজগৎ কোষ]। অ্যাকাডেমিক প্রেস। পৃষ্ঠা ৪১৯–৪৩১। আইএসবিএন 978-0-12-088589-3।
- ↑ লোপেস, আর. এম. সি. (২০০৪)। "লাভা লেকস অন আইয়ো: অবজারভেশনস অফ আইয়ো'জ ভলক্যানিক অ্যাক্টিভিটি ফ্রম গ্যালিলিও এনআইএমএস ডিউরিং দ্য ২০০১ ফ্লাই-বাইজ" [আইয়োতে লাভা হ্রদ: ২০০১ ফ্লাই-বাইয়ের সময় গ্যালিলিও এনআইএমএস থেকে আইয়োর আগ্নেয় সক্রিয়তা]। ইকারাস। ১৬৯ (১): ১৪০–১৭৪। ডিওআই:10.1016/j.icarus.2003.11.013। বিবকোড:2004Icar..169..140L।
|display-authors=ও অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ শেংক, পি. (২০০১)। "দ্য মাউন্টেনস অফ আইয়ো: গ্লোবাল অ্যান্ড জিওলজিক্যাল পার্সপেকটিভস ফ্রম ভয়েজার অ্যান্ড গ্যালিলিও" [আইয়োর পর্বত: ভয়েজার ও গ্যালিলিও থেকে দৃষ্ট সার্বিক ও ভূতাত্ত্বিক রূপ]। জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ। ১০৬ (ই১২): ৩৩২০১–৩৩২২২। ডিওআই:10.1029/2000JE001408 । বিবকোড:2001JGR...10633201S।
|display-authors=ও অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ "২০০০ ফেব্রুয়ারি ২৯, এসপিএস ১০২০ (ইনট্রোডাকশন টু স্পেস সায়েন্সেস)"। সিএসইউফ্রেসনো.এডু। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০০। ২৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ মারিয়াস, এস. (১৬১৪)। "Mundus Iovialis anno M.DC.IX Detectus Ope Perspicilli Belgici" [১৬০৯ সালে একটি বেলজিয়ান স্পাই-গ্লাসের মাধ্যমে আবিষ্কৃত বৃহস্পতির জগৎ]। দি অবজার্ভেটরি। ৩৯: ৩৬৭। বিবকোড:1916Obs....39..367.।
- ↑ ভ্যান হেলডেন, অ্যাল (১৯৯৫)। "স্যাটেলাইটস অফ জুপিটার" [বৃহস্পতির প্রাকৃতিক উপগ্রহসমূহ]।
- ↑ মারিয়া, সাইমন (১৬১৪)। Mundus Iovialis: anno MDCIX detectus ope perspicilli Belgici, hoc est, quatuor Jovialium planetarum, cum theoria, tum tabulæ। নুরেমবার্গ: সাম্পটিবাস অ্যান্ড টাইপিস আইয়োহ্যানিস লউরি। পৃষ্ঠা বি২, রেক্টো ও ভার্সো (চিত্র ৩৫ ও ৩৬), শেষ পৃষ্ঠায় এরাটুম সহ (চিত্র ৭৮)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০।
- ↑ মারাজ্জিনি, ক্লডিও (২০০৫)। "I nomi dei satelliti di Giove: da Galileo a Simon Marius" [বৃহস্পতির প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলির নাম: গ্যালিলিও থেকে সাইমন মারিয়াস]। লেটারে ইতালানে। ৫৭ (৩): ৩৯১–৪০৭। জেস্টোর 26267017।
- ↑ "আইয়ো: ওভারভিউ"। নাসা। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২।
- ↑ ক খ বার্নার্ড, ই. ই. (১৮৯৪)। "অন দ্য ডার্ক পোলস অ্যান্ড ব্রাইট ইকুইটোরাল বেল্ট অফ দ্য ফার্স্ট স্যাটেলাইট অফ জুপিটার"। মান্থলি নোটিশেস অফ দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। ৫৪ (৩): ১৩৪–১৩৬। ডিওআই:10.1093/mnras/54.3.134 । বিবকোড:1894MNRAS..54..134B।
- ↑ ক খ বার্নার্ড, ই. ই. (১৮৯১)। "অবজার্ভেশনস অফ দ্য প্ল্যানেট জুপিটার অ্যান্ড হিজ স্যাটেলাইটস ডিউরিং ১৮৯০ উইথ দ্য ১২-ইঞ্চ ইকুইটোরাল অফ দ্য লিক অবজার্ভেটরি"। মান্থলি নোটিশেস অফ দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। ৫১ (৯): ৫৪৩–৫৫৬। ডিওআই:10.1093/mnras/51.9.543 । বিবকোড:1891MNRAS..51..543B।
- ↑ "Io2" । অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। (Sসাবস্ক্রিপশন বা পার্টিশিপেটিং ইনস্টিটিউট মেম্বারশিপ প্রয়োজনীয়.)
টেমপ্লেট:Lexico
টেমপ্লেট:MW
টেমপ্লেট:Dict.com - ↑ টেমপ্লেট:Dict.com
- ↑ genitives Iūs and Iōnis: টেমপ্লেট:L&S
- ↑ মরিসন অ্যান্ড ম্যাথিউজ (১৯৮২) স্যাটেলাইটস অফ জুপিটার, ১ম খণ্ড, পৃ. ৬৪৯
- ↑ ম্যাকইউয়ান ও অন্যান্য, 'Lithosphere and Surface of Io', Schubert et al., 'Satellite Interiors', এবং শেংক ও অন্যান্য, 'এজেস অ্যান্ড ইন্টিরিয়রস', ব্যাগেনল ও অন্যান্য সম্পাদিত (২০০৭) জুপিটার: দ্য প্ল্যানেট, স্যাটেলাইটস অ্যান্ড ম্যাগনেটোস্ফিয়ার গ্রন্থে
- ↑ জ্যোতির্বিজ্ঞানের বাইরে "Ionian" শব্দটির সঙ্গে আইয়োনিয়ার সম্পর্ক নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু মূল লাতিনে অপর শব্দাংশটির অনুসারী "Ioan" /aɪˈoʊən/ বিশেষণটি পাওয়া যায় না।
- ↑ ক খ ব্লু, জেনিফার। "ক্যাটেগরিজ ফর নেমিং ফিচারস অন প্ল্যানেটস অ্যান্ড স্যাটেলাইটস"। ইউ.এস. জিওলজিক্যাল সার্ভে। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ ব্লু, জেনিফার (১৪ জুন ২০০৭)। "আইয়ো নোমেনক্লেচার টেবিল অফ কনটেন্টস"। ইউ.এস. জিওলজিক্যাল সার্ভে। ২৯ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ক্রুকশ্যাংক, ডি. পি.; নেলসন, আর. এম. (২০০৭)। "আ হিস্ট্রি অফ দি এক্সপ্লোরেশন অফ আইয়ো"। লোপেজ, আর. এম. সি.; স্পেনসার, জে. আর.। আইয়ো আফটার গ্যালিলিও। স্প্রিংগার-প্র্যাক্সিস। পৃষ্ঠা ৫–৩৩। আইএসবিএন 978-3-540-34681-4।
- ↑ ভ্যান হ্যালডেন, অ্যালবার্ট (১৪ জানুয়ারি ২০০৪)। "দ্য গ্যালিলিও প্রোজেক্ট / সায়েন্স / সাইমন মারিয়াস"। রাইস বিশ্ববিদ্যালয়।
- ↑ বালকে, রন। "ডিসকভারি অফ দ্য গ্যালিলিয়ান স্যাটেলাইটস"। জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি। ৬ জানুয়ারি ১৯৯৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ ও'কনার, জে. জে.; রবার্টসন, ই. এফ. (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। "লঙ্গিচিউড অ্যান্ড দি আকাদেমি রয়্যালে"। সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়। ২৫ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০০৭।
- ↑ ডবিনস, টি.; শিহান, ডব্লিউ. (২০০৪)। "দ্য স্টোরি অফ জুপিটার'স এগ মুনস"। স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ। ১০৭ (১): ১১৪–১২০। বিবকোড:2004S&T...107a.114D।
- ↑ মিন্টন, আর. বি. (১৯৭৩)। "দ্য রেড পোলার ক্যাপস অফ আইয়ো"। কমিউনিকেশনস অফ দ্য লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ল্যাবরেটরি। ১০: ৩৫–৩৯। বিবকোড:1973CoLPL..10...35M।
- ↑ লি, টি. (১৯৭২)। "স্পেকট্রাল অ্যালবেডোজ অফ দ্য গ্যালিলিয়ান স্যাটেলাইটস"। কমিউনিকেশনস অফ দ্য লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ল্যাবরেটরি। ৯ (৩): ১৭৯–১৮০। বিবকোড:1972CoLPL...9..179L।
- ↑ ফানালে, এফ. পি. (১৯৭৪)। "আইয়ো: আ সারফেস ইভাপোরাইট ডিপোজিট?"। সায়েন্স। ১৮৬ (৪১৬৭): ৯২২–৯২৫। এসটুসিআইডি 205532। ডিওআই:10.1126/science.186.4167.922। পিএমআইডি 17730914। বিবকোড:1974Sci...186..922F।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ বিগ, ই. কে. (১৯৬৪)। "ইনফ্লুয়েন্স অফ দ্য স্যাটেলাইট আইয়ো অন জুপিটার'স ডেকামেট্রিক এমিশন"। নেচার। ২০৩ (৪৯৪৯): ১০০৮–১০১০। এসটুসিআইডি 12233914। ডিওআই:10.1038/2031008a0। বিবকোড:1964Natur.203.1008B।
- ↑ ক খ ফিমেল, আর. ও. (১৯৭৭)। "ফার্স্ট ইনটু দি আউটার সোলার সিস্টেম"। পায়োনিয়ার ওডিসি। নাসা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০০৭।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ আন্ডারসন, জে. ডি. (১৯৭৪)। "গ্র্যাভিটেশনাল প্যারামিটারস অফ দ্য জুপিটার সিস্টেম ফ্রম দ্য ডপলার ট্রেকিং অফ পায়োনিয়ার ১০"। সায়েন্স। ১৮৩ (৪১২২): ৩২২–৩২৩। এসটুসিআইডি 36510719। ডিওআই:10.1126/science.183.4122.322। পিএমআইডি 17821098। বিবকোড:1974Sci...183..322A।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ "পায়োনিয়ার ১১ ইমেজেস অফ আইয়ো"। গ্যালিলিও হোম পেজ। ৯ এপ্রিল ১৯৯৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ "ভয়েজার মিশন ডেসক্রিপশন"। নাসা পিডিএস রিংস মোড। ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭।
- ↑ স্মিথ, বি. এ. (১৯৭৯)। "দ্য জুপিটার সিস্টেম থ্রু দি আইজ অফ ভয়েজার ১"। সায়েন্স। ২০৪ (৪৩৯৬): ৯৫১–৯৭২। এসটুসিআইডি 33147728। ডিওআই:10.1126/science.204.4396.951। পিএমআইডি 17800430। বিবকোড:1979Sci...204..951S।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ "জুপিটার মুনস শোজ কালার, এরোশন সাইনস"। দ্য মিলওয়াউকি সেন্টিনেল। ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল। ৬ মার্চ ১৯৭৯। পৃষ্ঠা ২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মোরাবিটো, এল. এ. (১৯৭৯)। "ডিসকভারি অফ কারেন্টলি অ্যাকটিভ এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ভলক্যানিজম"। সায়েন্স। ২০৪ (৪৩৯৬): ৯৭২। এসটুসিআইডি 45693338। ডিওআই:10.1126/science.204.4396.972। পিএমআইডি 17800432। বিবকোড:1979Sci...204..972M।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ স্ট্রোম, আর. জি. (১৯৭৯)। "ভলক্যানিক ইরাপশন প্ল্যুমস অন আইয়ো"। নেচার। ২৮০ (৫৭২৫): ৭৩৩–৭৩৬। এসটুসিআইডি 8798702। ডিওআই:10.1038/280733a0 । বিবকোড:1979Natur.280..733S।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ পিল, এস. জে. (১৯৭৯)। "মেল্টিং অফ আইয়ো বাই টাইডাল ডিসিপেশন" (পিডিএফ)। সায়েন্স। ২০৩ (৪৩৮৩): ৮৯২–৮৯৪। এসটুসিআইডি 21271617। ডিওআই:10.1126/science.203.4383.892। পিএমআইডি 17771724। বিবকোড:1979Sci...203..892P। ২০২০-০২-১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ সোডারব্লোম, এল. এ. (১৯৮০)। "স্পেকট্রোফোটোমেট্রি অফ আইয়ো: প্রিলিমিনারি ভয়েজার ১ রেজাল্টস"। জিওফিজিক্স রিসার্চ লেটারস। ৭ (১১): ৯৬৩–৯৬৬। ডিওআই:10.1029/GL007i011p00963। বিবকোড:1980GeoRL...7..963S।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ পার্ল, জে. সি. (১৯৭৯)। "আইডেন্টিফিকেশন অফ গ্যাসিয়াস SO
2 অ্যান্ড নিউ আপার লিমিটস ফর আদার গ্যাসেস অন আইয়ো"। নেচার। ২৮৮ (৫৭২৫): ৭৫৭–৭৫৮। এসটুসিআইডি 4338190। ডিওআই:10.1038/280755a0 । বিবকোড:1979Natur.280..755P।|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ ব্রডফুট, এ. এল. (১৯৭৯)। "এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট অবজার্ভেশনস ফ্রম ভয়েজার ১ এনকাউন্টার উইথ জুপিটার"। সায়েন্স। ২০৪ (৪৩৯৬): ৯৭৯–৯৮২। এসটুসিআইডি 1442415। ডিওআই:10.1126/science.204.4396.979। পিএমআইডি 17800434। বিবকোড:1979Sci...204..979B।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ স্ট্রোম, আর. জি.; শ্নাইডার, এন. এম. (১৯৮২)। "ভলক্যানিক ইরাপশনস অন আইয়ো"। মরিসন, ডি.। স্যাটেলাইটস অফ জুপিটার। ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা প্রেস। পৃষ্ঠা ৫৯৮–৬৩৩। আইএসবিএন 0-8165-0762-7।
- ↑ আন্ডারসন, জে. ডি. (১৯৯৬)। "গ্যালিলিও গ্র্যাভিটি রেজাল্টস অ্যান্ড দি ইন্টারনাল স্ট্রাকচার অফ আইয়ো"। সায়েন্স। ২৭২ (৫২৬২): ৭০৯–৭১২। এসটুসিআইডি 24373080। ডিওআই:10.1126/science.272.5262.709। পিএমআইডি 8662566। বিবকোড:1996Sci...272..709A।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ ম্যাকইওয়ান, এ. এস. (১৯৯৮)। "হাই-টেম্পারেচার সিলিকেট ভলক্যানিজম অন জুপিটার'স মুন আইয়ো" (পিডিএফ)। সায়েন্স। ২৮১ (৫৩৭৩): ৮৭–৯০। এসটুসিআইডি 28222050। ডিওআই:10.1126/science.281.5373.87। পিএমআইডি 9651251। বিবকোড:1998Sci...281...87M। ২০২০-০৯-২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ ক খ পেরি, জে. (২০০৭)। "আ সামারি অফ দ্য গ্যালিলিও মিশন অ্যান্ড ইটস অবজার্ভেশনস অফ আইয়ো"। লোপেজ, আর. এম. সি.; স্পেনসার, জে. আর.। আইয়ো আফটার গ্যালিলিও। স্প্রিংগার-প্র্যাক্সিস। পৃষ্ঠা ৩৫–৫৯। আইএসবিএন 978-3-540-34681-4।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ পোর্কো, সি. সি. (২০০৩)। "ক্যাসিনি ইমেজিং অফ জুপিটার'স অ্যাটমোস্ফিয়ার, স্যাটেলাইটস, অ্যান্ড রিংস" (পিডিএফ)। সায়েন্স। ২৯৯ (৫৬১২): ১৫৪১–১৫৪৭। এসটুসিআইডি 20150275। ডিওআই:10.1126/science.1079462। পিএমআইডি 12624258। বিবকোড:2003Sci...299.1541P।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ ক খ স্পেনসার, জে. আর. (২০০৭)। "আইয়ো ভলক্যানিজম সিন বাই নিউ হোরাইজনস: আ মেজর ইরাপশন অফ দ্য ত্বষ্টৃ ভলক্যানো" (পিডিএফ)। বিজ্ঞান। ৩১৮ (৫৮৪৮): ২৪০–২৪৩। এসটুসিআইডি 36446567। ডিওআই:10.1126/science.1147621। পিএমআইডি 17932290। বিবকোড:2007Sci...318..240S। ২০২০-০৪-১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
|display-authors=এবং অন্যান্য
অবৈধ (সাহায্য) - ↑ স্পেনসার, জে.। "জন স্পেনসার'স অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ভিজুয়ালাইজেশনস"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাসাধারণ তথ্য
সম্পাদনা- আইয়ো প্রোফাইল - নাসা’জ সোলার সিস্টেম এক্সপ্লোরেশন সাইট
- বিল আরনেটের আইয়ো ওয়েবপেজ - দ্য নাইন প্ল্যানেটস ওয়েবসাইট
- আইও ওভারভিউ মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের উইন্ডোজ টু দি ইউনিভার্স থেকে
- কেলভিন হ্যামিলটনের আইয়ো পেজ - ভিউজ অফ দ্য সোলার সিস্টেম ওয়েবসাইট থেকে
চলচ্চিত্র
সম্পাদনা- হাই রেজোলিউশন ভিডিও – আইয়োর ঘূর্ণনের সিম্যুলেশন, শন ডোরান কৃত
ছবি
সম্পাদনা- আইয়োর নাসা চিত্রাবলির ক্যাটালগ
- আইয়োর গ্যালিলিও চিত্রাবলি
- আইয়োর নিউ হোরাইজনস চিত্রাবলি
- ভিন্ন নিউ হোরাইজনস ইমেজারের মাধ্যমে আইয়ো
মানচিত্র
সম্পাদনা- আইয়ো গ্লোবাল বেসম্যাপস – ইউএসজিএস অ্যাস্ট্রোজিওলজি সায়েন্স সেন্টার (গ্যালিলিও ও ভয়েজার কর্তৃক গৃহীত চিত্রাবলির ভিত্তিতে)
- আইয়ো নামকরণ প্রণালী ও স্থাননাম সহ মানচিত্র -ইউএসজিএস প্ল্যানেটারি নোমেনক্লেচার পেজ থেকে
- আইয়োর ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্র – গুগল ম্যাপ কৃত
অতিরিক্ত তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- আইয়ো ডায়নামো – শিক্ষাগত ওয়েবসাইট দি এক্সপ্লোরেশন অফ দি আর্থ’স ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে
- নাসা’জ স্টানিং ডিসকভারিজ অন জুপিটার’স লার্জেস্ট মুনস | আওয়ার সোলার সিস্টেম’স মুনস
- দ্য কনানড্রাম পোজড বাই আইয়ো’জ মিনিমাম সারফেস টেম্পারেচারস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুলাই ২০২১ তারিখে
- আইয়ো মাউন্টেন ডেটাবেস
- ক্যাসিনি অবজারভেশনস অফ আইয়ো’জ ভিজিবল অরোরি – ইউএসজিএস অ্যাস্ট্রোজিওলজি সায়েন্স সেন্টার
- দ্য গিশ বার টাইমস, জেসন পেরির আইয়ো-সংক্রান্ত ব্লগ