সর্প দ্বীপ (ইউক্রেন)
স্থানীয় নাম: острів Зміїний | |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | কৃষ্ণ সাগর |
স্থানাঙ্ক | ৪৫°১৫′ উত্তর ৩০°১২′ পূর্ব / ৪৫.২৫০° উত্তর ৩০.২০০° পূর্ব |
আয়তন | ০.১৭ বর্গকিলোমিটার (০.০৬৬ বর্গমাইল) |
দৈর্ঘ্য | ০.৬৬২ কিমি (০.৪১১৩ মাইল) |
প্রস্থ | ০.৪৪০ কিমি (০.২৭৩৪ মাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৪১ মিটার (১৩৫ ফুট) |
প্রশাসন | |
ওব্লাস্ট | ওডেসা ওব্লাস্ট |
রায়ন | ইজমাইল রায়ন |
হ্রোমাদা | ভাইলকভ |
বৃহত্তর বসতি | বাইল |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | আনুমানিক ১০০ |
সর্প দ্বীপ বা জেমিনি দ্বীপ (ইউক্রেনীয়: острів Змії́ний, প্রতিবর্ণীকৃত: ostriv Zmiinyi; রোমানীয়: Insula Șerpilor; রুশ: Змеиный, প্রতিবর্ণীকৃত: Zmeinyy) ইউক্রেনের একটি দ্বীপ। এটি দানিউব বদ্বীপের কাছাকাছি কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি ইউক্রেনীয় আঞ্চলিক জলসীমার সীমানা নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ।
এই দ্বীপটি ধ্রুপদী কাল থেকে পরিচিত, এবং সেই যুগে এখানে অ্যাকিলিসের একটি গ্রিক মন্দির ছিল। বর্তমানে এটি ইউক্রেনের ওডেসা ওব্লাস্টের অংশ।
দ্বীপটিতে কিছু লোক বসবাস করে, ২০১২ সালে এখানে ৩০ জনেরও কম লোক বাস করত বলে জানা যায়। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে বাইল নামে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল জনবসতিপূর্ণ স্থান হিসেবে দ্বীপটির মর্যাদা সুসংহত করা। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রোমানিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের সময় এই গ্রাম প্রতিষ্ঠার ঘটনা ঘটে। সেই সময় সময় রোমানিয়া দ্বীপটির কারিগরি সংজ্ঞা এবং এর চারপাশের সীমানা নিয়ে বিরোধ করেছিল। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক আদালত সর্প দ্বীপের চারপাশের মহীসোপানের সীমানা নির্ধারণ করে। তারা রোমানিয়াকে বিতর্কিত সামুদ্রিক অঞ্চলের প্রায় ৮০% প্রদান করে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, রুশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ হামলা চালিয়ে সর্প দ্বীপ দখল করে নেয়। এরপর থেকে ইউক্রেন দ্বীপটিতে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে। ২০২২ সালের ৩০ শে জুন, ইউক্রেন ঘোষণা করে যে তারা রুশ বাহিনীকে তাড়িয়ে দ্বীপটি পুনঃআয়ত্বে নিয়েছে;[১] তবে রাশিয়া এই পিছু হটাকে "শুভেচ্ছার নিদর্শন" হিসেবে অভিহিত করে।[২]
তথ্যসূত্র
- ↑ "সর্প দ্বীপ থেকে সৈন্য সরল"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ৩০ জুন ২০২২।
- ↑ "ইউক্রেনের স্নেক দ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিল রাশিয়া"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।