বিষয়বস্তুতে চলুন

হাতিয়ান্দহ গণহত্যা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Heliophilous (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:১৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (নতুন পাতা)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

হাতিয়ান্দহ গণহত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় চিহ্নিত রাজাকারদের সহায়তায়[] পাকিস্তানি দখলদারি সেনাবাহিনী দ্বারা বাংলাদেশের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ বাজারের অদূরে শীতলীতলা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার বাঙ্গালী হিন্দুদের উপর সংগঠিত হত্যাকান্ডকে বোঝায়।[] ১৯৭১ সালের ৯ মে এই হত্যাকাণ্ডে ২০ জন বাঙ্গালী হিন্দুকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়।[][]

হত্যাকাণ্ড

সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ বাজারের অদূরে শীতলীতলা এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৫টি সাঁজোয়া গাড়ি করে গ্রামে প্রবেশ করে আক্রমণ করে। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে পুরুষদের ধরে এনে হত্যা করা হয়। বাড়ির মহিলা ও মেয়েদের সাথে হানাদার বাহিনী অশালীন ব্যবহার করার প্রতিবাদ করায় যুবক রথিকান্তকে রাস্তায় ফেলে হান্টার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। রাস্তার পাশে ২৬ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে ধরে এনে লাইনে দাঁড় করানো হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অন্য একটি লাইনে প্রায় সমসংখ্যক মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দাঁড় করালেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের উপর রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায় এবং ব্রাশফায়ারে মারা যান ২০ জন। কয়েকজন গুলি খেলেও প্রাণে বেঁচে যান।

ভবিষ্যৎ ফল

ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা প্রাণ বাঁচাতে টানা পাঁচ দিনের পথ অতিক্রান্ত করে ভারতে চলে আসেন। গণহত্যার পর মৃতদেহগুলো পাশের ডোবাতে একত্রিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ২০০৯ সালে গণ কবরের উপর ফলক স্থাপন করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

  1. "নাটোরের ৪৬ রাজাকারের তালিকা"Bangladesh Journal Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  2. shipon, Mehedi। "Barta24 - নাটোর মুক্ত দিবস আজ"Barta24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  3. "নীরব অহংকারে দাঁড়িয়ে আছে নাটোরের হাতিয়ান্দহ গণহত্যার নামফলক"BSSNEWS। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬। 
  4. "বিজয় আমার অহংকার : নাটোর | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪