ভীম চন্দ্র নাগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Heliophilous (আলোচনা | অবদান) তথ্যসূত্র + ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
Heliophilous (আলোচনা | অবদান) তথ্যছক + ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
[[হুগলী জেলা|হুগলী জেলার]] [[জনাই রোড রেলওয়ে স্টেশন|জনাইয়ের]] বাসিন্দা ১৯২৬ সালে প্রাণচন্দ্র নাগ কলকাতার [[বউবাজার|বউবাজারে]] একটি ছোটো মিষ্টির দোকান খোলেন। তার পুত্র ভীমচন্দ্র নাগ পরবর্তী কালে দোকানের দায়িত্ব নেন। তার তৈরি কড়াপাকের মিষ্টি মিষ্টির ইতিহাসে অন্যতম। ১৮৫৬ সালে লেডি ক্যানিংয়ের জন্মদিনে ভীম নাগ বিশেষ একপ্রকার ভাজা মিষ্টি তৈরি করেন।<ref name="oxford" /> সেই মিষ্টি গভর্নর জেনারেলের স্ত্রীর ভাল লেগে যাওয়ার ভীম নাগ তার সম্মানার্থে পরবর্তীকালে মিষ্টিটার নাম রাখেন '''''লেডি ক্যানিং'''''। পরে লোকমুখে [[লেডিকেনি (মিষ্টি)|লেডিকেনী]] নামে পরিচিত হয়।<ref name="oxford">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=XPNgBwAAQBAJ|শিরোনাম=The Oxford Companion to Sugar and Sweets|শেষাংশ১=Krondl|প্রথমাংশ১=Michael|শেষাংশ২=Rath|প্রথমাংশ২=Eric|শেষাংশ৩=Mason|প্রথমাংশ৩=Laura|শেষাংশ৪=Quinzio|প্রথমাংশ৪=Geraldine|শেষাংশ৫=Heinzelmann|প্রথমাংশ৫=Ursula|তারিখ=1 April 2015|প্রকাশক=Oxford University Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=9780199313624|সংগ্রহের-তারিখ=25 September 2015}}</ref> |
[[হুগলী জেলা|হুগলী জেলার]] [[জনাই রোড রেলওয়ে স্টেশন|জনাইয়ের]] বাসিন্দা ১৯২৬ সালে প্রাণচন্দ্র নাগ কলকাতার [[বউবাজার|বউবাজারে]] একটি ছোটো মিষ্টির দোকান খোলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/amp/editorial/we-should-try-to-get-gi-patent-for-bengali-traditional-sweet-sandesh-1.902944|শিরোনাম=সন্দেশের স্বত্ব কেন পেলাম না|তারিখ=2018-11-24|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-11-30}}</ref> তার পুত্র ভীমচন্দ্র নাগ পরবর্তী কালে দোকানের দায়িত্ব নেন। তার তৈরি কড়াপাকের মিষ্টি মিষ্টির ইতিহাসে অন্যতম। ১৮৫৬ সালে লেডি ক্যানিংয়ের জন্মদিনে ভীম নাগ বিশেষ একপ্রকার ভাজা মিষ্টি তৈরি করেন।<ref name="oxford" /> সেই মিষ্টি গভর্নর জেনারেলের স্ত্রীর ভাল লেগে যাওয়ার ভীম নাগ তার সম্মানার্থে পরবর্তীকালে মিষ্টিটার নাম রাখেন '''''লেডি ক্যানিং'''''। পরে লোকমুখে [[লেডিকেনি (মিষ্টি)|লেডিকেনী]] নামে পরিচিত হয়।<ref name="oxford">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=XPNgBwAAQBAJ|শিরোনাম=The Oxford Companion to Sugar and Sweets|শেষাংশ১=Krondl|প্রথমাংশ১=Michael|শেষাংশ২=Rath|প্রথমাংশ২=Eric|শেষাংশ৩=Mason|প্রথমাংশ৩=Laura|শেষাংশ৪=Quinzio|প্রথমাংশ৪=Geraldine|শেষাংশ৫=Heinzelmann|প্রথমাংশ৫=Ursula|তারিখ=1 April 2015|প্রকাশক=Oxford University Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=9780199313624|সংগ্রহের-তারিখ=25 September 2015}}</ref> |
||
=== ঘড়ি === |
=== ঘড়ি === |
০৬:৪৪, ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভীম চন্দ্র নাগ কলকাতায় ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ১৯৪ বছরের পুরনো মিষ্টির দোকান। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক) ঘোষিত কলকাতার ১৪ টি হেরিটেজ দোকানের অন্যতম। দোকানের পান্তুয়াকে সেরা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস
হুগলী জেলার জনাইয়ের বাসিন্দা ১৯২৬ সালে প্রাণচন্দ্র নাগ কলকাতার বউবাজারে একটি ছোটো মিষ্টির দোকান খোলেন।[২] তার পুত্র ভীমচন্দ্র নাগ পরবর্তী কালে দোকানের দায়িত্ব নেন। তার তৈরি কড়াপাকের মিষ্টি মিষ্টির ইতিহাসে অন্যতম। ১৮৫৬ সালে লেডি ক্যানিংয়ের জন্মদিনে ভীম নাগ বিশেষ একপ্রকার ভাজা মিষ্টি তৈরি করেন।[৩] সেই মিষ্টি গভর্নর জেনারেলের স্ত্রীর ভাল লেগে যাওয়ার ভীম নাগ তার সম্মানার্থে পরবর্তীকালে মিষ্টিটার নাম রাখেন লেডি ক্যানিং। পরে লোকমুখে লেডিকেনী নামে পরিচিত হয়।[৩]
ঘড়ি
ভীম নাগের দোকানে বাংলায় ডায়াল লেখা কুক অ্যান্ড কেলভি কোম্পানীর ঘড়ি আছে। ১৮৫৮ সাল নাগাদ লন্ডনের কুক অ্যান্ড কেলভি যখন একচেটিয়া ব্যবসায় ভারত-সহ বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন একবার সেই কোম্পানির মালিক চার্লস কেলভি ভীম চন্দ্র নাগের দোকানে মিষ্টি খান। সেই মিষ্টি খেয়ে তিনি একেবারে মোহিত হয়ে পড়েন। দেওয়ালে তাকিয়ে কোনও ঘড়ি দেখতে না পেয়ে তার কারণ জানতে চাওয়ায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ভীম নাগ তার অপারগতার কথা জানালে সাহেব তিনি খুশি হয়ে এই দোকানে একটা দেওয়াল ঘড়ি উপহার দেবেন বলে।[৪]
নাগমশাই সন্তর্পণে জানান, তাঁর কর্মচারীরা ইংরেজী পড়তে পারেন না। তাই সম্ভব হলে বাংলায় লেখা ঘড়ি দেওয়া হলে সকলের সুবিধে হবে। তার অনুরোধে লন্ডন থেকে বাংলা হরফে লেখা ডায়াল তৈরি করে নিয়ে আসা হয়। সেই ঘড়ি এখনও শোভা পায় ভীম নাগের দোকানে।[৫][৬][৭]
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মুখে ভীম নাগ
রাজা রামমোহন, রাণী রাসমণি, বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখার্জী সকলেই ভীম নাগের সন্দেশের ভক্ত ছিলেন। আশুতোষ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সেরে প্রতি সন্ধেতেই ভীম নাগের দোকানে ঢুঁ মারতেন।[১] ইতিহাসবিদদের মতে, ভীম নাগের মিষ্টি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও খুব ভালবাসতেন। তাই রাণী রাসমণি যখনই পরমহংসের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন এক হাঁড়ি ভীম নাগের মিষ্টি নিয়ে যেতেন। দক্ষিনেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠালগ্নে ভীম চন্দ্র নাগ থেকে তিন মণ মিষ্টি নৌকা পথে দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিল। বর্তমানে প্যাঁড়া, ক্ষীরের পুতুলের পাশাপাশি আধুনিক প্রজন্মের পেস্তা সন্দেশ, স্ট্রবেরি সন্দেশের মতো ফিউশনাল মিষ্টিতেও ভীম নাগ প্রস্তুত করে।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "Tribute to iconic food stops"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
- ↑ "সন্দেশের স্বত্ব কেন পেলাম না"। anandabazar.com। ২০১৮-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
- ↑ ক খ Krondl, Michael; Rath, Eric; Mason, Laura; Quinzio, Geraldine; Heinzelmann, Ursula (১ এপ্রিল ২০১৫)। The Oxford Companion to Sugar and Sweets (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 9780199313624। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ Krondl, Michael (২০১১)। Sweet Invention: A History of Dessert (ইংরেজি ভাষায়)। Chicago Review Press। পৃষ্ঠা ৬৭–৭০। আইএসবিএন 9781556529542। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ Bose, Shib Chunder (১৮৮৩)। The Hindoos as they are: A description of the manners, customs, and inner life of Hindoo Society in Bengal (ইংরেজি ভাষায়) (২য় সংস্করণ)। কলকাতা: Thacker, Spink and Co.। পৃষ্ঠা 51।
- ↑ Krondl, Michael (২০১০)। "The Sweetshops of Kolkata"। Gastronomica (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ (৩): ৫৮। ডিওআই:10.1525/gfc.2010.10.3.58।
- ↑ "বাংলা-ঘড়ির বর্ষ পুজো"। EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।