মিশেল ডোমিঙ্গে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সংশোধন |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক পদস্থ কর্মকর্তা |
|||
{{Infobox officeholder |
|||
| name = মিশেল ডোমিঙ্গে |
| name = মিশেল ডোমিঙ্গে |
||
| image = Michel Domingue (President d'Haiti 1874-1876).jpg |
| image = Michel Domingue (President d'Haiti 1874-1876).jpg |
||
৩৬ নং লাইন: | ৩৬ নং লাইন: | ||
'''মিশেল ডোমিঙ্গে''' ১৪ জুন ১৮৭৪ থেকে ১৫ এপ্রিল ১৮৭৬ পর্যন্ত হাইতির একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। |
'''মিশেল ডোমিঙ্গে''' ১৪ জুন ১৮৭৪ থেকে ১৫ এপ্রিল ১৮৭৬ পর্যন্ত হাইতির একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। |
||
মিশেল ডোমিঙ্গে ১৮১৩ সালে লেস কেয়েসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে স্নাতক লাভ করেন এবং [[সুদ (বিভাগ)| |
মিশেল ডোমিঙ্গে ১৮১৩ সালে লেস কেয়েসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে স্নাতক লাভ করেন এবং [[সুদ (বিভাগ)|সুদে]] [[হাইতির সশস্ত্র বাহিনী|সেনা]] ইউনিটের কমান্ডার হন। |
||
তিনি ৮ই মে ১৮৬৮ থেকে ১৮৬৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইতির দক্ষিণে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যগুলির সভাপতি ছিলেন। ১৮৭৪ সালের ১১ই জুন, জেনারেল ডোমিঙ্গে হাইতির রাষ্ট্রপতি হিসাবে আট বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। |
তিনি ৮ই মে ১৮৬৮ থেকে ১৮৬৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইতির দক্ষিণে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যগুলির সভাপতি ছিলেন। ১৮৭৪ সালের ১১ই জুন, জেনারেল ডোমিঙ্গে হাইতির রাষ্ট্রপতি হিসাবে আট বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। |
||
ডমিঙ্গে, তিনি মূলত একজন সৈনিক ছিলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক হবার মর্যাদা বা কৌশল তার ছিল না। তাই তিনি জনসাধারণের কাজ পরিচালনা করার জন্য সেপটিমাস রামাউকে [[List of Heads of State of Haiti|রাষ্ট্রের সচিবদের পরিষদের]] উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৭৪ সালে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। সেপটিমাস রামাউ এইভাবে হাইতির প্রকৃত শাসক হন, যদিও পদ অনুসারে তিনি ডমিঙ্গের অধীনস্থ ছিলেন। রামাউ ছিল প্রকৃতিগতভাবেই স্বৈরাচারী এবং দাপুটে, অন্যদিকে মিশেল ডমিঙ্গের পদটি ছিল আলংকারিক। ডমিঙ্গের নিকট তেমন কোনো ক্ষমতাই ছিল না। ডমিঙ্গের দুর্বলতা রামাউকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়। |
ডমিঙ্গে, তিনি মূলত একজন সৈনিক ছিলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক হবার মর্যাদা বা কৌশল তার ছিল না। তাই তিনি জনসাধারণের কাজ পরিচালনা করার জন্য সেপটিমাস রামাউকে [[List of Heads of State of Haiti|রাষ্ট্রের সচিবদের পরিষদের]] উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৭৪ সালে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। সেপটিমাস রামাউ এইভাবে হাইতির প্রকৃত শাসক হন, যদিও পদ অনুসারে তিনি ডমিঙ্গের অধীনস্থ ছিলেন। রামাউ ছিল প্রকৃতিগতভাবেই স্বৈরাচারী এবং দাপুটে, অন্যদিকে মিশেল ডমিঙ্গের পদটি ছিল আলংকারিক। ডমিঙ্গের নিকট তেমন কোনো ক্ষমতাই ছিল না। ডমিঙ্গের দুর্বলতা রামাউকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়। |
||
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে ডমিঙ্গের প্রথম কাজটি ছিল [[ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র|ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের]] সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা। চুক্তিটি দেশ দুটির পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং বিশেষত তাদের মধ্যে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সীমান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটায় যা সীমান্তে শান্তি এনে দেয়। সেপ্টিমাস রামাউও ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি [[ইগনাসিও মারিয়া গঞ্জালেজের]] সাথে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ডোমিঙ্গের সেনাবাহিনীর প্রধান, জেনারেল এন লেগারকে নতুন চুক্তি তৈরি করতে [[সান্টো ডোমিঙ্গো]]তে প্রেরণ করা হয়েছিল। ১৮৭৪ সালের ৯ নভেম্বর [[পোর্ট-অ-প্রিন্স]]ে ফিরে আসার পরে, ডমিনিকার সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি এবং বাণিজ্য ও নৌচলাচল চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য তার সাথে ডমিনিকান আলোচকগণও ছিলেন। এই হাইতি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেয় ও স্বাধীনতা মেনে নেয় এবং ২০শে জানুয়ারি, ১৮৭৫ সালে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। |
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে ডমিঙ্গের প্রথম কাজটি ছিল [[ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র|ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের]] সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা। চুক্তিটি দেশ দুটির পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং বিশেষত তাদের মধ্যে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সীমান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটায় যা সীমান্তে শান্তি এনে দেয়। সেপ্টিমাস রামাউও ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি [[ইগনাসিও মারিয়া গঞ্জালেজের]] সাথে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ডোমিঙ্গের সেনাবাহিনীর প্রধান, জেনারেল এন লেগারকে নতুন চুক্তি তৈরি করতে [[সান্টো ডোমিঙ্গো]]তে প্রেরণ করা হয়েছিল। ১৮৭৪ সালের ৯ নভেম্বর [[পোর্ট-অ-প্রিন্স]]ে ফিরে আসার পরে, ডমিনিকার সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি এবং বাণিজ্য ও নৌচলাচল চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য তার সাথে ডমিনিকান আলোচকগণও ছিলেন। এই হাইতি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেয় ও স্বাধীনতা মেনে নেয় এবং ২০শে জানুয়ারি, ১৮৭৫ সালে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। |
||
৪৬ নং লাইন: | ৪৬ নং লাইন: | ||
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই সাফল্য সত্ত্বেও হাইতির ঘরোয়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। ডোমিঙ্গে ফ্রান্সের সাথে ঋণ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন, যা কয়েক বছর ধরে হাইতির অর্থনীতিকে সংকটে ফেলতে পারত। অবশেষে, দুর্নীতি ও জালিয়াতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে জেনারেল ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেইসার পিয়েরিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডমিঙ্গে ১৫ই মে, ১৮৭৫ সালে একটি সমন জারি করেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ [[পিয়ের থোমা বোইসরন্ড-কানাল]] এই আর্থিক নীতি এবং ঋণের সমালোচনা করেছিলেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বোইস্রন্ড কানাল এবং অন্যান্য বিরোধীরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেজার পিয়ের নিহত হন। দুই জেনারেলের মৃত্যুর জন্য সেপটিমাস রামাউকে দায়ী করা হয় ও পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি রাস্তায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল। |
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই সাফল্য সত্ত্বেও হাইতির ঘরোয়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। ডোমিঙ্গে ফ্রান্সের সাথে ঋণ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন, যা কয়েক বছর ধরে হাইতির অর্থনীতিকে সংকটে ফেলতে পারত। অবশেষে, দুর্নীতি ও জালিয়াতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে জেনারেল ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেইসার পিয়েরিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডমিঙ্গে ১৫ই মে, ১৮৭৫ সালে একটি সমন জারি করেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ [[পিয়ের থোমা বোইসরন্ড-কানাল]] এই আর্থিক নীতি এবং ঋণের সমালোচনা করেছিলেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বোইস্রন্ড কানাল এবং অন্যান্য বিরোধীরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেজার পিয়ের নিহত হন। দুই জেনারেলের মৃত্যুর জন্য সেপটিমাস রামাউকে দায়ী করা হয় ও পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি রাস্তায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল। |
||
১৮৭৬ সালের ১৫ এপ্রিল ডোমিঙ্গে পদত্যাগ করেন এবং [[জামাইকা]]র [[কিংস্টনে]] নির্বাসনে চলে যান, যেখানে এক বছর পরে তাঁর মৃত্যু হয়। |
১৮৭৬ সালের ১৫ এপ্রিল ডোমিঙ্গে পদত্যাগ করেন এবং [[জামাইকা]]র [[কিংস্টনে]] নির্বাসনে চলে যান, যেখানে এক বছর পরে তাঁর মৃত্যু হয়। |
||
ডোমিঙ্গের পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যরা এখনও হাইতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে, যদিও তারা তাদের শেষ নাম (বংশ নাম) পরিবর্তন করেছেন। |
ডোমিঙ্গের পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যরা এখনও হাইতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে, যদিও তারা তাদের শেষ নাম (বংশ নাম) পরিবর্তন করেছেন। |
১৪:২৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মিশেল ডোমিঙ্গে | |
---|---|
১১তম হাইতির রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৪ জুন ১৮৭৪ – ১৫ এপ্রিল ১৮৭৬ | |
পূর্বসূরী | নিসেজ সেজেট |
উত্তরসূরী | পিয়ের থোমা বোইসরন্ড-কানাল |
হাইতির অস্থায়ী সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৭ ডিসেম্বর ১৮৬৯ – ১৬ মার্চ ১৮৭০ | |
রাষ্ট্রপতি | নিসেজ সেজেট |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | লেস সায়েস, হাইতি | ২৮ জুলাই ১৮১৩
মৃত্যু | ২৪ মে ১৮৭৭ কিংস্টন, জামাইকা | (বয়স ৬৩)
জাতীয়তা | হাইতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | পাওলিন স্ট্রেট্ম্যান |
জীবিকা | সেনা |
মিশেল ডোমিঙ্গে ১৪ জুন ১৮৭৪ থেকে ১৫ এপ্রিল ১৮৭৬ পর্যন্ত হাইতির একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
মিশেল ডোমিঙ্গে ১৮১৩ সালে লেস কেয়েসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে স্নাতক লাভ করেন এবং সুদে সেনা ইউনিটের কমান্ডার হন।
তিনি ৮ই মে ১৮৬৮ থেকে ১৮৬৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইতির দক্ষিণে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যগুলির সভাপতি ছিলেন। ১৮৭৪ সালের ১১ই জুন, জেনারেল ডোমিঙ্গে হাইতির রাষ্ট্রপতি হিসাবে আট বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ডমিঙ্গে, তিনি মূলত একজন সৈনিক ছিলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক হবার মর্যাদা বা কৌশল তার ছিল না। তাই তিনি জনসাধারণের কাজ পরিচালনা করার জন্য সেপটিমাস রামাউকে রাষ্ট্রের সচিবদের পরিষদের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৭৪ সালে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। সেপটিমাস রামাউ এইভাবে হাইতির প্রকৃত শাসক হন, যদিও পদ অনুসারে তিনি ডমিঙ্গের অধীনস্থ ছিলেন। রামাউ ছিল প্রকৃতিগতভাবেই স্বৈরাচারী এবং দাপুটে, অন্যদিকে মিশেল ডমিঙ্গের পদটি ছিল আলংকারিক। ডমিঙ্গের নিকট তেমন কোনো ক্ষমতাই ছিল না। ডমিঙ্গের দুর্বলতা রামাউকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়।
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে ডমিঙ্গের প্রথম কাজটি ছিল ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা। চুক্তিটি দেশ দুটির পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং বিশেষত তাদের মধ্যে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সীমান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটায় যা সীমান্তে শান্তি এনে দেয়। সেপ্টিমাস রামাউও ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইগনাসিও মারিয়া গঞ্জালেজের সাথে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ডোমিঙ্গের সেনাবাহিনীর প্রধান, জেনারেল এন লেগারকে নতুন চুক্তি তৈরি করতে সান্টো ডোমিঙ্গোতে প্রেরণ করা হয়েছিল। ১৮৭৪ সালের ৯ নভেম্বর পোর্ট-অ-প্রিন্সে ফিরে আসার পরে, ডমিনিকার সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি এবং বাণিজ্য ও নৌচলাচল চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য তার সাথে ডমিনিকান আলোচকগণও ছিলেন। এই হাইতি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেয় ও স্বাধীনতা মেনে নেয় এবং ২০শে জানুয়ারি, ১৮৭৫ সালে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই সাফল্য সত্ত্বেও হাইতির ঘরোয়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। ডোমিঙ্গে ফ্রান্সের সাথে ঋণ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন, যা কয়েক বছর ধরে হাইতির অর্থনীতিকে সংকটে ফেলতে পারত। অবশেষে, দুর্নীতি ও জালিয়াতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে জেনারেল ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেইসার পিয়েরিকে গ্রেপ্তারের জন্য ডমিঙ্গে ১৫ই মে, ১৮৭৫ সালে একটি সমন জারি করেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পিয়ের থোমা বোইসরন্ড-কানাল এই আর্থিক নীতি এবং ঋণের সমালোচনা করেছিলেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বোইস্রন্ড কানাল এবং অন্যান্য বিরোধীরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাইস এবং পিয়ের মনপ্লেজার পিয়ের নিহত হন। দুই জেনারেলের মৃত্যুর জন্য সেপটিমাস রামাউকে দায়ী করা হয় ও পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি রাস্তায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
১৮৭৬ সালের ১৫ এপ্রিল ডোমিঙ্গে পদত্যাগ করেন এবং জামাইকার কিংস্টনে নির্বাসনে চলে যান, যেখানে এক বছর পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ডোমিঙ্গের পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যরা এখনও হাইতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে, যদিও তারা তাদের শেষ নাম (বংশ নাম) পরিবর্তন করেছেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী রাষ্ট্রের সচিবদের পরিষদ |
হাইতির রাষ্ট্রপতি ১৮৭৪-১৮৭৬ |
উত্তরসূরী পিয়ের থোমা বোইসরন্ড-কানাল |