নাগেশ্বর মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সংশোধন |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সংশোধন |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক হিন্দু মন্দির |
|||
{{Infobox Mandir |
|||
| name = নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ |
| name = নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ |
||
| image = Nageshwar Temple.jpg |
| image = Nageshwar Temple.jpg |
||
| image_alt = |
| image_alt = |
||
| caption = নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির |
| caption = নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির |
||
| pushpin_map = |
| pushpin_map = ভারত |
||
| map_caption = ভারতে নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের অবস্থান |
|||
| map_caption = Nageshvara Jyotirlinga location in India |
|||
|latd=22.3359|longd=69.0869 |
|latd=22.3359|longd=69.0869 |
||
| coordinates_region = IN |
| coordinates_region = IN |
||
| coordinates_display= inline,title |
| coordinates_display= inline,title |
||
| other_names = |
| other_names = |
||
| proper_name = |
| proper_name = |
||
| devanagari = |
| devanagari = |
||
| sanskrit_translit = |
| sanskrit_translit = |
||
৩৬ নং লাইন: | ৩৩ নং লাইন: | ||
| website = |
| website = |
||
}} |
}} |
||
'''নাগেশ্বর মন্দির''' [[ভারত]]এর [[গুজরাট]] রাজ্যে অবস্থিত হিন্দুদের এক অন্যতম ধর্মীয় পীঠস্থান। গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত এই মন্দিরের শিবলিংগকে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত দ্বাদশ জ্যোতির্লিংগের অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যানে এই মন্দির ঐতিহাসিক কাল থেকে ভক্তদের জন্য আকর্ষণের স্থল হয়ে আসছে। শিব উপাসকরা নাগেশ্বর মন্দিরের জ্যোতির্লিংগ দর্শন পরম পবিত্র বলে গণ্য করে। |
'''নাগেশ্বর মন্দির''' [[ভারত]]এর [[গুজরাট]] রাজ্যে অবস্থিত হিন্দুদের এক অন্যতম ধর্মীয় পীঠস্থান। গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত এই মন্দিরের শিবলিংগকে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত দ্বাদশ জ্যোতির্লিংগের অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যানে এই মন্দির ঐতিহাসিক কাল থেকে ভক্তদের জন্য আকর্ষণের স্থল হয়ে আসছে। শিব উপাসকরা নাগেশ্বর মন্দিরের জ্যোতির্লিংগ দর্শন পরম পবিত্র বলে গণ্য করে। |
||
[[File:Nageshwar.JPG|thumb|250px|right|নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগ মন্দির, জামনগর, গুজরাট]] |
[[File:Nageshwar.JPG|thumb|250px|right|নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগ মন্দির, জামনগর, গুজরাট]] |
||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
শিব পুরাণ অনুসারে, এই অঞ্চলে পুরাকালে দারুক নামে এক রাক্ষস রাজত্ব করত। দারুকের উৎপাতে সব মানুষ পরিত্রাণের জন্য মধুসূদন সুঁবরিব লগাত পরিছিল। দারুকের পত্নী ছিল দারুকী। দারুকী দেবী [[পার্বতী]]র উপাসিকা ছিল। পার্বতী দারুকীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হয়ে তাঁদের রাজত্ব করা অরণ্যটির নাম দারুকবন আখ্যা দেন। সঙ্গে এই আশীর্বাদ প্রদান করেন যে, দারুকী যেখান দিয়েই যাবে দারুকবনও সেই স্থান দিয়ে গমন করবে। পরবর্তী সময়ে দেবতারা দারুকের রাজ্য আক্রমণ করায় দারুক নিজ পত্নীকে পার্বতীর বরদান সুপ্রয়োগ করার জন্য আদেশ দেয়। সেই হিসাবে দারুকী সাগরতীর দিয়ে পলায়ন করে এবং দারুকবনও সেই জায়গা দিয়ে গমন করে। নিরাপদ স্থান থেকে দারুক পুনরায় সকলের উপর অত্যাচার আরম্ভ করার জন্য ধরে। এবার দারুক সুপ্রিয় নামে একজন লোক এবং তাঁর সহচরদের অপহরণ করে বন্দী করে রাখে। সুপ্রিয় ছিল [[মহাদেব]]এর পরম উপাসক। সুপ্রিয় বন্দীগৃহে কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে শিবলিংগ স্থাপন করে মহাদেবের স্ত্ততি আরম্ভ করে। সুপ্রিয়র প্রার্থনােত সন্ত্তষ্ট হয়ে মহাদেব দর্শন দেন এবং দারুককে বধ করার জন্য সুপ্রিয়কে অস্ত্র প্রদান করেন। মহাদেবের বরদানে ধন্য হয়ে সুপ্রিয় দারুককে বধ করতে সক্ষম হয়। এর পর সুপ্রিয় মহাদেবকে সেই স্থানে বিরাজমান হয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করায় মহাদেব নিজ জ্যোতি দ্বারা জ্যোতির্লিংগ স্থাপন করে নিজ ভক্তের মনোকামনা পূরণ করেন। <ref> Chaturvedi, B. K. (2006), Shiv Purana (First ed.), New Delhi: Diamond Pocket Books (P) Ltd, ISBN 81-7182-721-7 </ref> এই মন্দিরে মহাদেবকে নাগেশ্বর অর্থাৎ নাগ (সাপ)এর ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়। দেবী পার্বতী এই স্থানে নাগেশ্বরী রূপে বিরাজিতা আছেন বলে ভক্তরা বিশ্বাস করে। |
শিব পুরাণ অনুসারে, এই অঞ্চলে পুরাকালে দারুক নামে এক রাক্ষস রাজত্ব করত। দারুকের উৎপাতে সব মানুষ পরিত্রাণের জন্য মধুসূদন সুঁবরিব লগাত পরিছিল। দারুকের পত্নী ছিল দারুকী। দারুকী দেবী [[পার্বতী]]র উপাসিকা ছিল। পার্বতী দারুকীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হয়ে তাঁদের রাজত্ব করা অরণ্যটির নাম দারুকবন আখ্যা দেন। সঙ্গে এই আশীর্বাদ প্রদান করেন যে, দারুকী যেখান দিয়েই যাবে দারুকবনও সেই স্থান দিয়ে গমন করবে। পরবর্তী সময়ে দেবতারা দারুকের রাজ্য আক্রমণ করায় দারুক নিজ পত্নীকে পার্বতীর বরদান সুপ্রয়োগ করার জন্য আদেশ দেয়। সেই হিসাবে দারুকী সাগরতীর দিয়ে পলায়ন করে এবং দারুকবনও সেই জায়গা দিয়ে গমন করে। নিরাপদ স্থান থেকে দারুক পুনরায় সকলের উপর অত্যাচার আরম্ভ করার জন্য ধরে। এবার দারুক সুপ্রিয় নামে একজন লোক এবং তাঁর সহচরদের অপহরণ করে বন্দী করে রাখে। সুপ্রিয় ছিল [[মহাদেব]]এর পরম উপাসক। সুপ্রিয় বন্দীগৃহে কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে শিবলিংগ স্থাপন করে মহাদেবের স্ত্ততি আরম্ভ করে। সুপ্রিয়র প্রার্থনােত সন্ত্তষ্ট হয়ে মহাদেব দর্শন দেন এবং দারুককে বধ করার জন্য সুপ্রিয়কে অস্ত্র প্রদান করেন। মহাদেবের বরদানে ধন্য হয়ে সুপ্রিয় দারুককে বধ করতে সক্ষম হয়। এর পর সুপ্রিয় মহাদেবকে সেই স্থানে বিরাজমান হয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করায় মহাদেব নিজ জ্যোতি দ্বারা জ্যোতির্লিংগ স্থাপন করে নিজ ভক্তের মনোকামনা পূরণ করেন। <ref> Chaturvedi, B. K. (2006), Shiv Purana (First ed.), New Delhi: Diamond Pocket Books (P) Ltd, ISBN 81-7182-721-7 </ref> এই মন্দিরে মহাদেবকে নাগেশ্বর অর্থাৎ নাগ (সাপ)এর ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়। দেবী পার্বতী এই স্থানে নাগেশ্বরী রূপে বিরাজিতা আছেন বলে ভক্তরা বিশ্বাস করে। |
||
[[File:Jageshwar main.JPG|right|thumb|250px| উত্তরাঞ্চলের আলমোরায় অবস্থিত যোগেশ্বর মন্দির। মন্দিরের কাছে অবস্থিত পবিত্র দেবদারু গাছের বনানি ]] |
[[File:Jageshwar main.JPG|right|thumb|250px| উত্তরাঞ্চলের আলমোরায় অবস্থিত যোগেশ্বর মন্দির। মন্দিরের কাছে অবস্থিত পবিত্র দেবদারু গাছের বনানি ]] |
||
== |
==মন্দিরের অবস্থিতি সম্পর্কে মতবিরোধ== |
||
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ দেখা যায়। পৌরাণিক আখ্যান বর্ণিত সেই দারুকবন আসলে কোন স্থান ছিল সেটি সঠিক ভাবে জানার উপায় নেই। একাংশ নাগেশ্বর মন্দিরের বর্তমান স্থান গুজরাটের বিরোধ করে বলে যে, মহাকাব্যে বর্ণিত দ্বারকাবনকে একাংশ দারুকবন আখ্যা দিয়ে নাগেশ্বর মন্দিরের স্থান গুজরাট বলে বিভ্রান্ত করছে। পৌরাণিক আখ্যান সমূহে দ্বারকাধিপতি [[শ্রীকৃষ্ণ]]এর [[সোমনাথ মন্দির]]এর উপাসনা করার কথা জানা যায়, যদিও নাগেশ্বর মন্দিরের দ্বারকা (বা গুজরাটে) অবস্থিতি সম্পর্কে কোনো বর্ণিত আখ্যান নেই। তারা বলেন যে, দারুকবন শব্দটি আসলে দারু-বন (বা দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ বনানি) শব্দ থেকে এসেছে। সেই হিসাবে গুজরাটে দারুকবন ছিল বলে কেউ কেউ কল্পনা করতে অস্বীকার করেন । কারণ [[দেবদারু]] গাছের আধিক্য গুজরাট অঞ্চলে দেখা যায় না। দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ দারুকবনের ভিত্তিতে তাঁরা নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থান [[হিমালয়]]এর পাদদেশের উত্তরাঞ্চলে বলে মতপোষণ করেন। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত [[যোগেশ্বর মন্দির]]ই প্রকৃত নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগ বলে একাংশ দাবী উত্থাপন করি আসছেন। <ref> Lochtefeld, James G. (2002), The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M, Rosen Publishing Group, p. 122, ISBN 0-8239-3179-X </ref> |
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ দেখা যায়। পৌরাণিক আখ্যান বর্ণিত সেই দারুকবন আসলে কোন স্থান ছিল সেটি সঠিক ভাবে জানার উপায় নেই। একাংশ নাগেশ্বর মন্দিরের বর্তমান স্থান গুজরাটের বিরোধ করে বলে যে, মহাকাব্যে বর্ণিত দ্বারকাবনকে একাংশ দারুকবন আখ্যা দিয়ে নাগেশ্বর মন্দিরের স্থান গুজরাট বলে বিভ্রান্ত করছে। পৌরাণিক আখ্যান সমূহে দ্বারকাধিপতি [[শ্রীকৃষ্ণ]]এর [[সোমনাথ মন্দির]]এর উপাসনা করার কথা জানা যায়, যদিও নাগেশ্বর মন্দিরের দ্বারকা (বা গুজরাটে) অবস্থিতি সম্পর্কে কোনো বর্ণিত আখ্যান নেই। তারা বলেন যে, দারুকবন শব্দটি আসলে দারু-বন (বা দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ বনানি) শব্দ থেকে এসেছে। সেই হিসাবে গুজরাটে দারুকবন ছিল বলে কেউ কেউ কল্পনা করতে অস্বীকার করেন । কারণ [[দেবদারু]] গাছের আধিক্য গুজরাট অঞ্চলে দেখা যায় না। দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ দারুকবনের ভিত্তিতে তাঁরা নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থান [[হিমালয়]]এর পাদদেশের উত্তরাঞ্চলে বলে মতপোষণ করেন। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত [[যোগেশ্বর মন্দির]]ই প্রকৃত নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগ বলে একাংশ দাবী উত্থাপন করি আসছেন। <ref> Lochtefeld, James G. (2002), The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M, Rosen Publishing Group, p. 122, ISBN 0-8239-3179-X </ref> |
||
==তথ্য সংগ্রহ:== |
==তথ্য সংগ্রহ:== |
||
{{সূত্র তালিকা}} |
|||
{{reflist}} |
|||
==বাহ্যিক সংযোগ== |
==বাহ্যিক সংযোগ== |
||
{{refbegin|2}} |
{{refbegin|2}} |
||
*{{Citation | ref=Chaturvedi | last=Chaturvedi | first=B. K. | year=2006 | title=Shiv Purana | place= |
*{{Citation | ref=Chaturvedi | last=Chaturvedi | first=B. K. | year=2006 | title=Shiv Purana | place=নতুন দিল্লি| publisher= Diamond Pocket Books (P) Ltd | edition=১ম | isbn=81-7182-721-7 | trans-title= | language=ইংরেজি | url=http://books.google.com/books?id=bchgql0em9YC&pg=PA58&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=tatJT_lXtIayAvm-2OoI&ved=0CEEQ6AEwAw#v=onepage&q&f=false}} |
||
*{{Citation | ref=Eck | last=Eck | first=Diana L. | year=1999 | title=Banaras, city of light | place= |
*{{Citation | ref=Eck | last=Eck | first=Diana L. | year=1999 | title=Banaras, city of light | place=নিউ ইয়র্ক| publisher= Columbia University Press | edition=১ম | isbn=0-231-11447-8 | trans-title= | language=ইংরেজি | url=http://books.google.com/books?id=J57C4d8Bv6UC&pg=PA107&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=uCxKT_eNKczMsQLV9vj6BA&ved=0CGEQ6AEwCA#v=onepage&q=jyotirlinga&f=false}} |
||
*{{Citation |ref=Gwynne|last=Gwynne|first=Paul |authorlink= |coauthors= |title=World Religions in Practice: A Comparative Introduction|year=2009|publisher=Blackwell Publication |location=Oxford |isbn=978-1-4051-6702-4|url=http://books.google.com/books?id=tdsRKc_knZoC&pg=PT271&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=uCxKT_eNKczMsQLV9vj6BA&ved=0CGcQ6AEwCQ#v=onepage&q=jyotirlinga&f=false}}. |
*{{Citation |ref=Gwynne|last=Gwynne|first=Paul |authorlink= |coauthors= |title=World Religions in Practice: A Comparative Introduction|year=2009|publisher=Blackwell Publication |location=Oxford |isbn=978-1-4051-6702-4|trans-title= | language=ইংরেজি | url=http://books.google.com/books?id=tdsRKc_knZoC&pg=PT271&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=uCxKT_eNKczMsQLV9vj6BA&ved=0CGcQ6AEwCQ#v=onepage&q=jyotirlinga&f=false}}. |
||
*{{cite book | ref = Harding | last = Harding | first = Elizabeth U. | authorlink = | coauthors = | title = Kali: The Black Goddess of Dakshineswar | chapter = God, the Father | publisher = Motilal Banarsidass | year = 1998 | pages = 156–157 | isbn = 978-81-208-1450-9}} |
*{{cite book | ref = Harding | last = Harding | first = Elizabeth U. | authorlink = | coauthors = | title = Kali: The Black Goddess of Dakshineswar | chapter = God, the Father | publisher = Motilal Banarsidass | year = 1998 | pages = 156–157 | isbn = 978-81-208-1450-9}} |
||
*{{Citation | ref = Lochtefeld| last = Lochtefeld | first = James G. | title = The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M | year = 2002 | publisher=Rosen Publishing Group | isbn=0-8239-3179-X | page=122 | url=http://books.google.com/books?id=5kl0DYIjUPgC}} |
*{{Citation | ref = Lochtefeld| last = Lochtefeld | first = James G. | title = The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M | year = 2002 | publisher=Rosen Publishing Group | isbn=0-8239-3179-X | page=122 | trans-title= | language=ইংরেজি | url=http://books.google.com/books?id=5kl0DYIjUPgC}} |
||
*{{Citation | last=R. | ref=R. | first=Venugopalam | year=2003 | title=Meditation: Any Time Any Where | place=Delhi | publisher= B. Jain Publishers (P) Ltd. | edition=First | isbn=81-8056-373-1 | url=http://books.google.com/books?id=ZtnNw_hiA9oC&pg=PT113&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=p5FJT87jJsOHsgLpg_zqCA&ved=0CDsQ6AEwAg#v=onepage&q=jyotirlinga&f=false}} |
*{{Citation | last=R. | ref=R. | first=Venugopalam | year=2003 | title=Meditation: Any Time Any Where | place=Delhi | publisher= B. Jain Publishers (P) Ltd. | edition=First | isbn=81-8056-373-1 | trans-title= | language=ইংরেজি | url=http://books.google.com/books?id=ZtnNw_hiA9oC&pg=PT113&dq=jyotirlinga&hl=en&sa=X&ei=p5FJT87jJsOHsgLpg_zqCA&ved=0CDsQ6AEwAg#v=onepage&q=jyotirlinga&f=false}} |
||
*{{cite book | last = Vivekananda | ref = Vivekananda | first = Swami | title = The Complete Works of Swami Vivekananda | chapter = The Paris Congress of the History of Religions | |
*{{cite book | last = Vivekananda | ref = Vivekananda | first = Swami | title = The Complete Works of Swami Vivekananda | chapter = The Paris Congress of the History of Religions | chaptertrans-title= | language=ইংরেজি | url = http://www.ramakrishnavivekananda.info/vivekananda/volume_4/translation_prose/the_paris_congress.htm | volume = Vol.4}} |
||
{{refend}} |
{{refend}} |
||
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Nageshvara Jyotirlinga}} |
|||
{{commons category}} |
|||
{{শৈবধর্ম}} |
|||
{{Shaivism}} |
|||
{{Hindu holy cities}} |
|||
[[বিষয়শ্রেণী: |
[[বিষয়শ্রেণী:গুজরাটের হিন্দু মন্দির]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের শিব মন্দির]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্লিঙ্গ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্লিঙ্গ]] |
১৫:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | দ্বারকা |
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
নাগেশ্বর মন্দির ভারতএর গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত হিন্দুদের এক অন্যতম ধর্মীয় পীঠস্থান। গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত এই মন্দিরের শিবলিংগকে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত দ্বাদশ জ্যোতির্লিংগের অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যানে এই মন্দির ঐতিহাসিক কাল থেকে ভক্তদের জন্য আকর্ষণের স্থল হয়ে আসছে। শিব উপাসকরা নাগেশ্বর মন্দিরের জ্যোতির্লিংগ দর্শন পরম পবিত্র বলে গণ্য করে।
পুরাণ বর্ণিত আখ্যান
শিব পুরাণ অনুসারে, এই অঞ্চলে পুরাকালে দারুক নামে এক রাক্ষস রাজত্ব করত। দারুকের উৎপাতে সব মানুষ পরিত্রাণের জন্য মধুসূদন সুঁবরিব লগাত পরিছিল। দারুকের পত্নী ছিল দারুকী। দারুকী দেবী পার্বতীর উপাসিকা ছিল। পার্বতী দারুকীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হয়ে তাঁদের রাজত্ব করা অরণ্যটির নাম দারুকবন আখ্যা দেন। সঙ্গে এই আশীর্বাদ প্রদান করেন যে, দারুকী যেখান দিয়েই যাবে দারুকবনও সেই স্থান দিয়ে গমন করবে। পরবর্তী সময়ে দেবতারা দারুকের রাজ্য আক্রমণ করায় দারুক নিজ পত্নীকে পার্বতীর বরদান সুপ্রয়োগ করার জন্য আদেশ দেয়। সেই হিসাবে দারুকী সাগরতীর দিয়ে পলায়ন করে এবং দারুকবনও সেই জায়গা দিয়ে গমন করে। নিরাপদ স্থান থেকে দারুক পুনরায় সকলের উপর অত্যাচার আরম্ভ করার জন্য ধরে। এবার দারুক সুপ্রিয় নামে একজন লোক এবং তাঁর সহচরদের অপহরণ করে বন্দী করে রাখে। সুপ্রিয় ছিল মহাদেবএর পরম উপাসক। সুপ্রিয় বন্দীগৃহে কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে শিবলিংগ স্থাপন করে মহাদেবের স্ত্ততি আরম্ভ করে। সুপ্রিয়র প্রার্থনােত সন্ত্তষ্ট হয়ে মহাদেব দর্শন দেন এবং দারুককে বধ করার জন্য সুপ্রিয়কে অস্ত্র প্রদান করেন। মহাদেবের বরদানে ধন্য হয়ে সুপ্রিয় দারুককে বধ করতে সক্ষম হয়। এর পর সুপ্রিয় মহাদেবকে সেই স্থানে বিরাজমান হয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করায় মহাদেব নিজ জ্যোতি দ্বারা জ্যোতির্লিংগ স্থাপন করে নিজ ভক্তের মনোকামনা পূরণ করেন। [১] এই মন্দিরে মহাদেবকে নাগেশ্বর অর্থাৎ নাগ (সাপ)এর ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়। দেবী পার্বতী এই স্থানে নাগেশ্বরী রূপে বিরাজিতা আছেন বলে ভক্তরা বিশ্বাস করে।
মন্দিরের অবস্থিতি সম্পর্কে মতবিরোধ
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ দেখা যায়। পৌরাণিক আখ্যান বর্ণিত সেই দারুকবন আসলে কোন স্থান ছিল সেটি সঠিক ভাবে জানার উপায় নেই। একাংশ নাগেশ্বর মন্দিরের বর্তমান স্থান গুজরাটের বিরোধ করে বলে যে, মহাকাব্যে বর্ণিত দ্বারকাবনকে একাংশ দারুকবন আখ্যা দিয়ে নাগেশ্বর মন্দিরের স্থান গুজরাট বলে বিভ্রান্ত করছে। পৌরাণিক আখ্যান সমূহে দ্বারকাধিপতি শ্রীকৃষ্ণএর সোমনাথ মন্দিরএর উপাসনা করার কথা জানা যায়, যদিও নাগেশ্বর মন্দিরের দ্বারকা (বা গুজরাটে) অবস্থিতি সম্পর্কে কোনো বর্ণিত আখ্যান নেই। তারা বলেন যে, দারুকবন শব্দটি আসলে দারু-বন (বা দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ বনানি) শব্দ থেকে এসেছে। সেই হিসাবে গুজরাটে দারুকবন ছিল বলে কেউ কেউ কল্পনা করতে অস্বীকার করেন । কারণ দেবদারু গাছের আধিক্য গুজরাট অঞ্চলে দেখা যায় না। দেবদারু গাছে পরিপূর্ণ দারুকবনের ভিত্তিতে তাঁরা নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগের প্রকৃত অবস্থান হিমালয়এর পাদদেশের উত্তরাঞ্চলে বলে মতপোষণ করেন। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত যোগেশ্বর মন্দিরই প্রকৃত নাগেশ্বর জ্যোতির্লিংগ বলে একাংশ দাবী উত্থাপন করি আসছেন। [২]
তথ্য সংগ্রহ:
- ↑ Chaturvedi, B. K. (2006), Shiv Purana (First ed.), New Delhi: Diamond Pocket Books (P) Ltd, ISBN 81-7182-721-7
- ↑ Lochtefeld, James G. (2002), The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M, Rosen Publishing Group, p. 122, ISBN 0-8239-3179-X
বাহ্যিক সংযোগ
- Chaturvedi, B. K. (২০০৬), Shiv Purana (ইংরেজি ভাষায়) (১ম সংস্করণ), নতুন দিল্লি: Diamond Pocket Books (P) Ltd, আইএসবিএন 81-7182-721-7
- Eck, Diana L. (১৯৯৯), Banaras, city of light (ইংরেজি ভাষায়) (১ম সংস্করণ), নিউ ইয়র্ক: Columbia University Press, আইএসবিএন 0-231-11447-8
- Gwynne, Paul (২০০৯), World Religions in Practice: A Comparative Introduction (ইংরেজি ভাষায়), Oxford: Blackwell Publication, আইএসবিএন 978-1-4051-6702-4 .
- Harding, Elizabeth U. (১৯৯৮)। "God, the Father"। Kali: The Black Goddess of Dakshineswar। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 156–157। আইএসবিএন 978-81-208-1450-9।
- Lochtefeld, James G. (২০০২), The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M (ইংরেজি ভাষায়), Rosen Publishing Group, পৃষ্ঠা 122, আইএসবিএন 0-8239-3179-X
- R., Venugopalam (২০০৩), Meditation: Any Time Any Where (ইংরেজি ভাষায়) (First সংস্করণ), Delhi: B. Jain Publishers (P) Ltd., আইএসবিএন 81-8056-373-1
- Vivekananda, Swami। "The Paris Congress of the History of Religions"। The Complete Works of Swami Vivekananda (ইংরেজি ভাষায়)। Vol.4।
শৈবধর্ম |
---|
সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিকের অংশ |