লালমনিরহাট জেলা
লালমনিরহাট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
লালমনিরহাট | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে লালমনিরহাট জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°০′ উত্তর ৮৯°১৫′ পূর্ব / ২৬.০০০° উত্তর ৮৯.২৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
সদরদপ্তর | লালমনিরহাট সদর উপজেলা |
জেলা প্রতিষ্ঠিত | ১৯৮৪ |
জাতীয় সংসদ আসন | |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | এইচ এম রকিব হায়দার |
আয়তন | |
• মোট | ১,২৪০.৯৩ বর্গকিমি (৪৭৯.১৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১২,৫১,৯৯৪ |
• জনঘনত্ব | ১,০০০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫.৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৫০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৫২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর জেলা ও কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা, পশ্চিমে নীলফামারী জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে; এগুলো হলোঃ
ইতিহাস
সম্পাদনাএ জেলার নাম কেন লালমনিরহাট হলো সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মত চালু আছে। সেগুলো হলো-
- মাটির নিচে লাল পাথর দেখতে পায়। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয়েছে লালমনি।
- স্বীকৃতিস্বরূপ এলাকার লোকজন নামে রাখে লালমনি ।
- ১৭৮৩ সালে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় 'লালমনি'। কালের বিবর্তনে 'হাট' শব্দটি 'লালমনি' শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নামকরণ হয়েছে 'লালমনিরহাট' ।
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
সম্পাদনালালমনিরহাট সদর উপজেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। সেটি হচ্ছে নিদারিয়া মসজিদ।[২] এছাড়া আছে ৬৯ হিজরি তথা ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের হারানো মসজিদ। এটির নাম সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ।[৩]
জনসংখ্যা
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলার মোট জনসংখ্যা ১২,৫৬,০৯৯। মোট পুরুষ ৬২৮,৭৯৯ এবং মোট মহিলা ৬২৭,৩০০ জন। লালমনিরহাটের জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০০০/কিমি। বেশিরভাগ লোক বাংলায় কথা বলে। এই জেলার বেশিরভাগই নাগরিকই মুসলিম। [৪]
শিক্ষা
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলায় ১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫টি কলেজ, ১৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮টি মাদ্রাসা, ৭৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, এবং প্রায় ২০০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[৫] জেলার শিক্ষার হার ৫৫.৬৫%। জেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের মধ্যে রয়েছেঃ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়
- লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ।
- হাতীবান্ধা এস এস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজ
- লালমনিরহাট সরকারি কলেজ
- আদিতমারী সরকারি কলেজ
- মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ
- উত্তর বাংলা কলেজ,
- মৌলভি আবুল হাশেম আহমেদ সিনিয়র মাদ্রাসা
- দইখাওয়া আদর্শ কলেজ হাতীবান্ধা
- পাটগ্রাম সরকারি কলেজ
- পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজ
- বড়খাতা ডিগ্রি কলেজ
- হাতিবান্ধা মহিলা কলেজ হাতিবান্ধা
- করিম উদ্দিন সরকারি কলেজ, কালিগঞ্জ চাপারহাট শামসুদ্দিন কমুরদ্দিন ডিগ্রি কলেজ
- হাজরানীয়া ডিগ্রি কলেজ কালীগঞ্জ
- শাখাতী উচ্চ বিদ্যালয়
- চামটাহাট উচ্চ বিদ্যালয়
- কে ইউ পি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
- বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়
- ফকির পাড়া আদর্শ মহিলা কলেজ
- রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
- নাজির হোসেন খন্দকার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বড়খাতা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- জমসেদ আলী কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
- বড়খাতা পাবলিক বিএম কলেজ
- ফকির পাড়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসা
- ফকির পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- শিয়াল খোওয়া স্কুল এন্ড কলেজ (কালিগঞ্জ)
- বেগম কামরুন্নেসা ডিগ্রি কলেজ (দুরাকুটি, লালমনিরহাট সদর)
- লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদরাসা
- তিস্তা ডিগ্রি কলেজ
- টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (ভোকেশনাল)
- ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
- বর্ডার গার্ড স্কুল এন্ড কলেজ
- লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- রেলওয়ে সি পি স্কুল
- মিশন স্কুল
- কবি শেখ ফজলুল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় (বড়বাড়ী)
- বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় , (বড়বাড়ী)
- রসুলপুর আব্দাল হোসেন বসুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়(বাউরা)
- ভাদাই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আদিতমারী, লালমনিরহাট
- ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় (মোগলহাট)
- তিস্তা ফাতিমাতুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসা
- ফাকল (PHaKAL) পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ
স্বাস্থ্য
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলা হাসপাতাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট), নিরাময় ক্লিনিক, দোয়েল ক্লিনিক বর্তমানে দোয়েল গেস্ট হাউজ ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সুন্দর ভাবে চালু রয়েছে।
- ফকির পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ০৪ ওয়ার্ড।
অর্থনীতি
সম্পাদনাকৃষি প্রধান হলেও বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এই জেলা। ৭২.৭৮% মানুষ কৃষক, ১০.৪৯% ব্যবসায়ী, ৩.৪৬% শ্রমিক এবং ৪.৪৫% চাকুরীজীবি। [৬]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাবাস, ট্রেন, সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, অটো রিক্সা এছাড়াও একটি প্রাচীন বিমান বন্দর আছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
সম্পাদনা- তমিজউদ্দীন প্রামাণিক - শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীর বিক্রম।
- আবিদ আলী - রাজনীতিবিদ।
- কাজী নুরুজ্জামান - রাজনীতিবিদ।
- মজিবর রহমান - রাজনীতিবিদ।
- হাসানুজ্জামান হাসান - রাজনীতিবিদ।
- শেখ রেয়াজউদ্দীন আহমদ - রাজনীতিবিদ।
- শেখ ফজলল করিম—স্বনামধন্য সাহিত্যিক
- ফকির মজনু শাহ - ভারতীয় ফকির, সাধক।
- আসাদুল হাবিব দুলু - সাবেক উপমন্ত্রী।
- মুসা ইব্রাহিম - বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী।
- সাথিরা জাকির - সাবেক ক্রিকেটার।
- করিম উদ্দিন আহমেদ - সাবেক সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
- নুরুজ্জামান আহমেদ - সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- আবুল হোসেন - রাজনীতিবিদ।
- চিত্তরঞ্জন দেব - স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য।
- মোঃ মোতাহার হোসেন - বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
- সালেহ উদ্দিন আহমেদ - সাবেক সংসদ সদস্য।
- জয়নুল আবেদিন সরকার - সাবেক সংসদ সদস্য।
- জি এম কাদের - রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।
- রইছউল আলম মন্ডল - আমলা।
- শাফিয়া খাতুন - ভাষা সৈনিক ও সাবেক সংসদ সদস্য।
- মেজর (অব)কামরুল ইসলাম ভূইঁয়া - সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
- মু. আবুল কাসেম: কৃষিবিদ।
- রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ - সাবেক মন্ত্রী।
- আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ - সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- ৬৯ হিজরীর হারানো মসজিদ
- লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- তিস্তা ব্যারেজ
- তিস্তা সড়ক সেতু
- তিস্তা রেল সেতু
- লালমনিরহাট বিমানবন্দর
- তিনবিঘা করিডোর
- সিন্দুরমতি লালমনিরহাট
- কবি শেখ ফজলুল করিমের বসত ভিটা,কাকিনা,কালিগঞ্জ
- কাকিনা জমিদার বাড়ি
- মহিমারঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়
- এক উঠানে মসজিদ ও মন্দির (পাশাপাশি স্থাপিত মসজিদ ও মন্দির,পুড়ান বাজার, কালিবাড়ি, জেলা শহর
- তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি
- শালবন
- ধবলসতী জামে মসজিদ(বিলুপ্ত)
- বুড়িমারী স্থল বন্দর জিরো পয়েন্ট
- ভূমি গবেষণা জাদুঘর পাটগ্রাম।
- মোগলহাট রেল বন্দর ( বিলুপ্ত)
- এক কাতার মসজিদ
- হারানো মসজিদ
নদ-নদী
সম্পাদনা- তিস্তা নদী
- ধরলা নদী
- সতী নদী
- সানিয়াজান নদী
- সিংগিমারী নদী
- ত্রিমোহনী নদী
- গিরীধারী নদী
- ভাটেশ্বরী নদী
- মালদহ নদী
- স্বর্ণামতি নদী ও
- রত্নাই নদী।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে লালমনিরহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "প্রত্নস্হলের তালিকা"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। http://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ এশিয়ার প্রথম মসজিদ সাহাবায়ে কেরাম, যায় যায় দিন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
- ↑ "এক নজরে লালমনিরহাট | lalmonirhat.gov.bd"। ১৪ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "লালমনিরহাট জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ"। ২৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ http://bbs.gov.bd/
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |