মার্টিন ব্যারন
মার্টিন ব্যারন (জন্ম অক্টোবর ২৪, ১৯৫৪) একজন আমেরিকান সাংবাদিক যিনি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক ছিলেন।[১] তিনি এর আগে ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দ্য বস্টন গ্লোবের সম্পাদক ছিলেন।
মার্টিন ব্যারন | |
---|---|
জন্ম | |
মাতৃশিক্ষায়তন | লেহাই বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | দ্য বস্টন গ্লোব, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, দ্য মিয়ামি হেরাল্ড |
ব্যারন ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে স্পটলাইট চলচ্চিত্রে তার চিত্রায়ন এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের তেহরান ব্যুরো প্রধান জেসন রেজাইয়ানের মুক্তিতে তার সম্পৃক্ততা থেকে উচ্চতর খ্যাতি অর্জন করেন, যিনি ১৮ মাস ইরানে বন্দী থাকার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিলেন।[২]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
সম্পাদনাব্যারন ফ্লোরিডার টাম্পায় একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার বাবা-মা ইস্রায়েল থেকে অভিবাসিত হন। তিনি বার্কলে প্রিপারেটরি স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং স্কুলের ছাত্র কাগজে কাজ করেন। তিনি লেহাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাট্রিককরেছিলেন যেখানে তিনি ব্রাউন এবং হোয়াইট ছাত্র সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতায় ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং চার বছরে অনার্স সহ এমবিএ উভয়ই অর্জন করেন, ১৯৭৬ সালে স্নাতক হন।[৪] তিনি স্নাতক হিসাবে স্নাতক ক্লাস নেওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতি পেয়েছিলেন।[৫] ব্যারন স্প্যানিশ ভাষায় সাবলীল।[৬]
ক্যারিয়ার
সম্পাদনা১৯৭৬ সালে স্নাতক হওয়ার পর ব্যারন মিয়ামি হেরাল্ডের হয়ে কাজ শুরু করেন; তিনি ১৯৭৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে এবং ১৯৯৬ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে চলে যান।[৭] তিনি ২০০০ সালে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে হেরাল্ডে ফিরে আসেন এবং কিউবায় প্রত্যাবর্তন এবং ২০০০ সালের নির্বাচন সহ অসংখ্য মূল গল্পের কভারেজের নেতৃত্ব দেন।[৮]
জুলাই ২০০১ সালে ব্যারন দ্য বস্টন গ্লোবের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে ম্যাথু ভি স্টরিনের স্থলাভিষিক্ত হন।[৯] গ্লোবে তার সম্পাদকীয় শব্দ আন্তর্জাতিক ঘটনা থেকে স্থানীয়ভাবে কেন্দ্রীভূত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দিকে পত্রিকাটির কভারেজ স্থানান্তরিত করে। বোস্টন ক্যাথলিক যৌন নির্যাতন কেলেঙ্কারির গ্লোবের কভারেজ ২০০৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করে।[৪][৭]
২০১২ সালে ব্যারনকে আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০]
জনপ্রিয় সংস্কৃতি
সম্পাদনা২০১৫ সালে বস্টন ক্যাথলিক চার্চের যাজক শিশু উত্ত্যক্তকরণ কেলেঙ্কারীর বস্টন গ্লোবের কভারেজ কে কেন্দ্র করে নির্মিত স্পটলাইট চলচ্চিত্রে ব্যারনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিয়েভ শ্রাইবার।[১১] ছবিটি 88 তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে।[১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Robertson, Katie। "Marty Baron Will Retire From The Washington Post"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Mullin, Benjamin (১৭ জানুয়ারি ২০১৬)। "Washington Post confirms: Jason Rezaian has left Iran"। The Poynter Institute। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Starobin, Paul (ডিসেম্বর ১৭, ২০১২)। "Martin Baron's Plan to Save The Washington Post"।
- ↑ ক খ Paul Starobin (১৭ ডিসেম্বর ২০১২)। "Martin Baron's Plan to Save The Washington Post"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "MacMillan, Amanda. "Marty Baron '76: The Baron of D.C.," Lehigh University Department of Journalism & Communication."। ১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Silver, James (অক্টোবর ৩০, ২০১৬)। "Martin Baron: 'We took Donald Trump seriously from the beginning'"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Holmes, Baxter (November 24, 2015). "Is Martin Baron the Best News Editor of All Time?". Esquire. esquire.com. Retrieved 23 March 2017.
- ↑ "Biography: Martin Baron | Reporting an Explosive Truth: The Boston Globe and Sexual Abuse in the Catholic Church"। ccnmtl.columbia.edu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২।
- ↑ Kennedy, Dan (July 19, 2001). "Goodbye to all that: Marty Baron's arrival at the Boston Globe marks not just the end of the Matt Storin era, but of the Tom Winship era as well ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-১০-২৩ তারিখে". The Phoenix (Boston). Retrieved 23 March 2017.
- ↑ "Daniel Day-Lewis celebrates with American Academy of Arts and Sciences inductees in Cambridge"। Boston.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ "Spotlight (2015/I)"। IMDb। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Horton, Helena (২০১৬-০২-২৯)। "Spotlight shocks by winning Best Picture Oscar at the Academy Awards"। Daily Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।